সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক : বিশ্বজুড়ে বসবাস, কাজ এবং ভ্রমণের জন্য সেরা শহরগুলির তালিকায় টানা ১১তম বারের মতো শীর্ষস্থান দখল করেছে ব্রিটেনের রাজধানী লন্ডন। রেজোনেন্স কনসালটেন্সি এবং ইপসোসের সহযোগিতায় প্রকাশিত ২০২৫-২৬ সালের বার্ষিক ওয়ার্ল্ডস বেস্ট সিটিস রিপোর্টে এই তথ্য উঠে এসেছে।
ইউরোপীয় শহরগুলির দাপটের মধ্যেই এই বছর মাত্র দুটি এশীয় শহর সেরা তালিকায় ১০ নম্বরের মধ্যে আছে। সামগ্রিক র্যাঙ্কিংয়ে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চিরন্তন হৃদস্পন্দন নামে পরিচিত নিউইয়র্ক, এরপর তৃতীয় স্থানে রয়েছে প্রেমের শহর প্যারিস।
তালিকার প্রথম দশে এশিয়ার শহরগুলির মধ্যে চতুর্থ স্থানে আছে টোকিও এবং ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে সিঙ্গাপুর। এছাড়াও সেরা দশের বাকি শহরগুলি হলো মাদ্রিদ (পঞ্চম), রোম (সপ্তম), দুবাই (অষ্টম), বার্লিন (নবম) এবং বার্সেলোনা (দশম)। দুবাই পশ্চিম এশিয়ার মধ্যে সেরা স্থান ধরে রেখেছে।
এই বছর মোট ২৭০টিরও বেশি শহরের ওপর সমীক্ষা চালানো হয়, যাদের জনসংখ্যা ১০ লক্ষের বেশি।
শহরগুলির সামগ্রিক অভিজ্ঞতা কেমন তা বোঝার জন্য এই রিপোর্টে শিক্ষা, সংস্কৃতি, সংযোগ, নাইটলাইফ এবং নিরাপত্তাসহ শহরের জীবনযাত্রার বিভিন্ন দিক বিবেচনা করা হয়েছে। সবগুলো বিষয় বিশ্লেষণ করার পর প্রতিটি শহরকে তিনটি প্রধান স্তম্ভের ওপর ভিত্তি করে একটি প্লেস পাওয়ার স্কোর দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে শহরে জীবনযাপন কতটা আরামদায়ক ও সুবিধাজনক, তা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে বিবেচনার বিষয় হলো জীবনযাত্রার খরচ, পরিচ্ছন্নতা এবং স্বাস্থ্য পরিষেবা। এটি শহরের বাসিন্দারা কতটা সুখী এবং সেখানে মানুষের সংস্কৃতি, আকর্ষণ, নাইটলাইফ কেমন, তা তুলে ধরে। কর্মসংস্থান, শিক্ষা এবং আয়ের মাত্রার ভিত্তিতে শহরের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কতটা, তা এই স্তম্ভের মাধ্যমে যাচাই করা হয়েছে।
সূত্র: এনডিটিভি







