সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক : চলমান উত্তেজনা নিয়ে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনা শুরু হতে পারে। রবিবার এ কথা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভেনেজুয়েলা আলোচনা করতে চায় উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, ‘আমরা মাদুরোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করতে পারি। দেখতে চাই এ আলোচনা কী ফলাফল এনে দেয়।’
এদিকে প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্বাঞ্চলে কথিত মাদকবাহী নৌযানে ফের হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এতে নৌযানটিতে থাকা তিনজন নিহত হয়েছেন। রবিবার দেশটির প্রতিরক্ষা দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সাউদার্ন কমান্ড সামাজিকযোগাযোগ মাধ্যমে জানিয়েছে, নৌযানটি অবৈধ মাদক পাচারে জড়িত ছিল। পরিচিত মাদকপাচার রুট দিয়ে মাদক নিয়ে চলাচল করছিল।
সেপ্টেম্বরের প্রথমদিক থেকে মাদক বহনের অভিযোগে নৌযানে হামলা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। সর্বশেষ এই হামলা ছিল দেশটির সামরিক বাহিনীর ২১তম হামলা। পেন্টাগনের তথ্য অনুযায়ী, এ হামলায় ৮০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। কংগ্রেসের আইনপ্রণেতা, মানবাধিকার সংস্থা ও মার্কিন মিত্র দেশগুলো এসব হামলার আইনি বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
তবে, ট্রাম্প প্রশাসন জানিয়েছে, তাদের এই হামলা পরিচালনার আইনি অধিকার রয়েছে। বিচার বিভাগ এ বিষয়ে আইনগত মতামত প্রদান করেছে। যা এই অভিযানের বৈধতা সমর্থন করে। একই সঙ্গে অভিযানে অংশ নেওয়া মার্কিন সামরিক সদস্যরা মামলার আওতামুক্ত বলেও জানানো হয়েছে।
তবে, প্রশাসন কেন নৌযানগুলো না আটকিয়ে হামলা করছে সে বিষয়ে কিছু জানায়নি। আইনগত কারণও ব্যাখ্যা করেনি।
দক্ষিণ ও মধ্য ক্যারিবীয় অঞ্চলে অবস্থিত ভেনেজুয়লাকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডের পেছনে প্রধান অভিযোগ, ভেনেজুয়েলা ক্রস-ক্যারিবীয় ব্যবহার করে মাদকপাচারে জড়িত। তারা মাদকের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
মার্কিন প্রশাসন দক্ষিণ ক্যারিবীয় অঞ্চলে এর আগে একাধিক যুদ্ধজাহাজ ও সাবমেরিন মোতায়েন করেছিল। রবিবার মোতায়েন করেছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিমানবাহী রণতরি ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ড। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান







