বিহারের নির্বাচন শুরু থেকেই সুষ্ঠু ছিল না, অভিযোগ রাহুল গান্ধীর

সংগৃহীত ছবি

 

অনলাইন ডেস্ক : বিহারের নির্বাচনে শোচনীয় পরাজয় হয়েছে ভারতের প্রধান বিরোধীদল কংগ্রেসের। তবে ভোটের ফলাফল নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন দলটির নেতা রাহুল গান্ধী। ভোট চুরির অভিযোগ সরাসরি না তুললেও এই নির্বাচনের সুষ্ঠুতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।

শুক্রবার রাতে ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে রাহুল গান্ধী লেখেন, “বিহারের লাখ লাখ ভোটার, যারা মহাগাঠবন্ধন জোটের প্রার্থীদের ভোট দিয়েছেন— তাদের প্রতি অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। বিহারের এই ফলাফল সত্যিই বিস্ময়কর। আমরা এমন একটি নির্বাচনে জয় লাভ করতে পারিনি, যা শুরু থেকেই সুষ্ঠু ছিল না।”

তিনি আরও লেখেন, “আমাদের লড়াই সংবিধান ও গণতন্ত্রকে রক্ষার লড়াই। কংগ্রেস এবং ইনডিয়া জোট এই ভোটের ফলাফল গভীরভাবে পর্যালোচনা করবে গণতন্ত্রকে রক্ষার লড়াইকে অধিকতর কার্যকর করতে আরও বেশি সচেষ্ট হবে।”

পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম প্রতিবেশী রাজ্য বিহারের বিধানসভায় আসনসংখ্যা মোট ২৪৩টি। নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়েছে দুই দফায়। গত ৬ নভেম্বর প্রথম দফায় ১২১ আসনে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। এ দফায় ভোট পড়ে ৬৫ শতাংশের বেশি।

পরে ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হয় ১২২টি আসনে। এ দফায় ভোট পড়েছিল ৬৮ শতাংশের বেশি। দুই দফা মিলিয়ে প্রায় ৬৭ শতাংশ ভোট পড়েছে এই নির্বাচনে।

এই নির্বাচনে মূলত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে বিজেপি-জনতা দল ইউনাইডেট (জেডিইউ) নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট এবং কংগ্রেস-রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি) নেতৃত্বাধীন জোট মহাগাঠবন্ধনের মধ্যে। শুক্রবার রাতে ফলাফল ঘোষণার পর দেখা যায়, বিধানসভার ২৪২টি আসনের মধ্যে ২০২টিতে জয় পেয়েছেনে এনডিএ জোটের প্রার্থীরা। বিরোধী মহাগাঠবন্ধন জোটের প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন ৩৫টি আসনে।

এনডিএ জোটের সবচেয়ে বড় শরিক দল বিজেপি জয় পেয়েছে ৮৯টি আসনে। জোটের দ্বিতীয় শরিক এবং বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের নেতৃত্বাধীন জেডিইউ ৮৫টি আসনে জয় পয়েছে। এছাড়া বিহারের রাজনীতিবিদ এবং ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চিরাগ পাসওয়ানের লোক জনশক্তি পার্টি ১৯টি এবং আরেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন রাম মাঝির নেতৃত্বাধীন আওয়াম মোর্চা পার্টি জিতেছে ৫টি আসনে।

জোটের আরেক শরিক আরজেডির ফলাফল কংগ্রেসের চেয়েও খারাপ। ২০২০ সালের নির্বাচনে ১৪৪ আসনে প্রার্থী দিয়ে ৭৫টিতে জয় পেয়েছিল আরজেডি। এবার ১৪৩টি আসনে প্রার্থী দিয়ে ২৫টিতে জয়ী হয়েছে দলটি। সূত্র:  এনডিটিভি

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে যুবক নিহত

» ‘ক্ষমতায় গেলে সংবিধানে আল্লাহর প্রতি আস্থা পুনর্বহাল করবে বিএনপি’

» গণভোটের চারটি প্রশ্নের একটিতে ‘না’ বলার সুযোগ কোথায়: রিজভী

» আজ যেসব এলাকায় টানা ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না

» সুদের টাকা চাইতে গিয়ে যুবককে রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যা

» ঢাকার ৪৪টি পুকুর ও জলাশয় সংস্কার কাজের উদ্বোধন করলেন পরিবেশ উপদেষ্টা

» মুসলমানদের মৌলিক দাবি আদায় না হলে আমরা সেই সংবিধান মানি না

» খতমে নবুওয়ত সম্মেলনে বিএনপি-জামায়াতসহ রাজনৈতিক দলের নেতারা

» গত ৩ বারের মতো নির্বাচন হলে জাতির ভাগ্যে নামবে চরম দুর্ভোগ: মিয়া গোলাম পরওয়ার

» রাজনৈতিক দলের পদধারী কেউ প্রেসক্লাবের কমিটিতে থাকতে পারবে না: সারজিস আলম

 

সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,

ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,

নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন: ই-মেইল : [email protected],

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

বিহারের নির্বাচন শুরু থেকেই সুষ্ঠু ছিল না, অভিযোগ রাহুল গান্ধীর

সংগৃহীত ছবি

 

অনলাইন ডেস্ক : বিহারের নির্বাচনে শোচনীয় পরাজয় হয়েছে ভারতের প্রধান বিরোধীদল কংগ্রেসের। তবে ভোটের ফলাফল নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন দলটির নেতা রাহুল গান্ধী। ভোট চুরির অভিযোগ সরাসরি না তুললেও এই নির্বাচনের সুষ্ঠুতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।

শুক্রবার রাতে ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে রাহুল গান্ধী লেখেন, “বিহারের লাখ লাখ ভোটার, যারা মহাগাঠবন্ধন জোটের প্রার্থীদের ভোট দিয়েছেন— তাদের প্রতি অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। বিহারের এই ফলাফল সত্যিই বিস্ময়কর। আমরা এমন একটি নির্বাচনে জয় লাভ করতে পারিনি, যা শুরু থেকেই সুষ্ঠু ছিল না।”

তিনি আরও লেখেন, “আমাদের লড়াই সংবিধান ও গণতন্ত্রকে রক্ষার লড়াই। কংগ্রেস এবং ইনডিয়া জোট এই ভোটের ফলাফল গভীরভাবে পর্যালোচনা করবে গণতন্ত্রকে রক্ষার লড়াইকে অধিকতর কার্যকর করতে আরও বেশি সচেষ্ট হবে।”

পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম প্রতিবেশী রাজ্য বিহারের বিধানসভায় আসনসংখ্যা মোট ২৪৩টি। নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়েছে দুই দফায়। গত ৬ নভেম্বর প্রথম দফায় ১২১ আসনে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। এ দফায় ভোট পড়ে ৬৫ শতাংশের বেশি।

পরে ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হয় ১২২টি আসনে। এ দফায় ভোট পড়েছিল ৬৮ শতাংশের বেশি। দুই দফা মিলিয়ে প্রায় ৬৭ শতাংশ ভোট পড়েছে এই নির্বাচনে।

এই নির্বাচনে মূলত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে বিজেপি-জনতা দল ইউনাইডেট (জেডিইউ) নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট এবং কংগ্রেস-রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি) নেতৃত্বাধীন জোট মহাগাঠবন্ধনের মধ্যে। শুক্রবার রাতে ফলাফল ঘোষণার পর দেখা যায়, বিধানসভার ২৪২টি আসনের মধ্যে ২০২টিতে জয় পেয়েছেনে এনডিএ জোটের প্রার্থীরা। বিরোধী মহাগাঠবন্ধন জোটের প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন ৩৫টি আসনে।

এনডিএ জোটের সবচেয়ে বড় শরিক দল বিজেপি জয় পেয়েছে ৮৯টি আসনে। জোটের দ্বিতীয় শরিক এবং বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের নেতৃত্বাধীন জেডিইউ ৮৫টি আসনে জয় পয়েছে। এছাড়া বিহারের রাজনীতিবিদ এবং ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চিরাগ পাসওয়ানের লোক জনশক্তি পার্টি ১৯টি এবং আরেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন রাম মাঝির নেতৃত্বাধীন আওয়াম মোর্চা পার্টি জিতেছে ৫টি আসনে।

জোটের আরেক শরিক আরজেডির ফলাফল কংগ্রেসের চেয়েও খারাপ। ২০২০ সালের নির্বাচনে ১৪৪ আসনে প্রার্থী দিয়ে ৭৫টিতে জয় পেয়েছিল আরজেডি। এবার ১৪৩টি আসনে প্রার্থী দিয়ে ২৫টিতে জয়ী হয়েছে দলটি। সূত্র:  এনডিটিভি

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



 

সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,

ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,

নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন: ই-মেইল : [email protected],

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com