সংগৃহীত ছবি
বিনোদন ডেস্ক: বিয়েতে যে মঙ্গলসূত্র অভিষেক বচ্চন দিয়েছিলেন, সেটাও নাকি ভেঙে নতুন গয়না তৈরি করেছেন ঐশ্বরিয়া রাই। অথচ তিনি আঙুলের ‘ভি’ আকৃতির এই হীরার আংটি এক মুহূর্তের জন্যও খোলেন না।
ডান হাতের অনামিকায় ঐশ্বরিয়ার ‘ভি’ আকৃতির হীরার আংটি আজ তার পরিচয়ের অংশ হয়ে উঠেছে।
কিছু কিছু গয়না যেন তারকাদের সাজের সঙ্গে এমনভাবে মিশে যায়, যে তা তাঁদের পরিচয়ের প্রতীক হয়ে ওঠে। যেমন কাজলের অনামিকায় ‘ওঁ’ লেখা আংটি, সলমন খানের হাতে নীল পাথরের ব্রেসলেট— তেমনই ঐশ্বরিয়া রাইয়ের অনামিকায় ‘ভি’ আকারের হীরার আংটি। বিয়েতে অভিষেক যে মঙ্গলসূত্র পরিয়েছিলেন, সেটা তিনি ভেঙে নতুন গয়না বানিয়েছেন বলেও শোনা যায়। কিন্তু এই আংটি কখনওই খুলে রাখেন না।
ঐশ্বরিয়ার আঙুলের এই আংটির নাম ‘ভ্যাঙ্কি আংটি’ বা ‘ভাদুঙ্গিলা’। এটি বিবাহের এক প্রতীক, যা সাধারণত বিবাহিত মহিলারা পরেন। দক্ষিণ ভারতে বিয়ের পর এই আংটি পরার প্রচলন বহু পুরোনো। বিয়ের দিন কনের হাতে এই আংটি পরিয়ে দেওয়া হয়, আর তা দেন কনের বৌদি বা কাকিমা। ঐশ্বরিয়ার অনামিকায় দেখা যায় যে ‘ভ্যাঙ্কি আংটি’, সেটি হীরার তৈরি, তবে এমন আংটি সোনা দিয়েও বানানো হয়।

এই ঐতিহ্যের সূচনা হয়েছিল দক্ষিণ ভারতের রাজপরিবারে। রাজকন্যারা বিয়ের পর এই আংটি পরতেন। এখনও দক্ষিণ ভারতের নববধূদের হাতে বিয়ের পর ও শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার সময় এই আংটি দেখা যায়।
তবে বর্তমানে শুধু হীরা বা সোনাই নয়, রুপো দিয়েও তৈরি ‘ভি’ আকৃতির এই আংটি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে বাঙালি মেয়েদের মধ্যেও।

বিয়ের পর বহু বছর ধরে ঐশ্বরিয়াকে বাঁ হাতে নোয়া বাঁধানো পরে থাকতে দেখা গিয়েছে। সাধারণত বাঙালি বিবাহিত নারীরা বিয়ের পর নোয়া পরেন। অনেকের মতে, শাশুড়ি জয়া বচ্চন বাঙালি হওয়ায় ঐশ্বরিয়া হয়তো সেই পারিবারিক ঐতিহ্যই অনুসরণ করেছিলেন।







