সুস্থ থাকতে দিনে কয়টি ডিম খাবেন

সংগৃহীত ছবি

 

অনলাইন ডেস্ক : ডিমে প্রোটিন ও পুষ্টিগুণে ভরপুর। যা কোলেস্টেরল বাড়াতে সহায়তা করে। বহু হার্টের রোগী কোলেস্টেরল বাড়ার ভয়ে ডিম খাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন। স্বাস্থ্যসচেতন অনেকে ডিম খান কুসুম বাদ দিয়ে।

কিন্তু সত্যিই কি ডিম খেলে কোলেস্টেরল বাড়ে? তবে পুষ্টিবিদরা বলছেন, ডিমের কুসুম রয়েছে অর্ধেক পুষ্টিগুণ। যা শরীরের ডিটামিন ডি এর চাহিদা পূরণ করে। আর সাদা অংশে থাকে প্রোটিন।

এছাড়া ডিমে যে ধরনের বি ভিটামিন পাওয়া যায়, তারও সবটাই থাকে কুসুমে। পাশাপাশি ভিটামিন এ, ই এবং জিঙ্ক, ফসফরাস, আয়রন, ক্যালশিয়াম, কোলিনও আছে কুসুমে। সেই সাথে চোখের জন্য উপযোগী অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টস ও উচ্চমাত্রার কোলেস্টেরলও রয়েছে।

প্রশ্ন হল, সেই কোলেস্টেরল এড়াতে কি সমস্ত পুষ্টিগুণ বাদে দেবেন? তাহলে ডিম খেয়ে লাভ কিসের!

ডিমে থাকা কোলেস্টেরল: ভালো না খারাপ? 
তবে ডিমে থাকা কোলেস্টেরল নিয়ে বহুদিন ধরেই অনেকের মাঝে উদ্বেগ কাজ করে আসছে। বাস্তবে ডিম খেলে কোলেস্টেরলে প্রভাব পড়তে পারে, কিন্তু সবার ক্ষেত্রে নয়। সঠিকভাবে খেলে এটি একেবারেই নিরাপদ।

কি বলছেন বিশেষজ্ঞরা
ক্লিনিক্যাল ডায়েটিশিয়ান খুশমা শাহ জানান, লিভার স্বাভাবিকভাবেই কোলেস্টেরল তৈরি করে। তাই খাবার থেকে কোলেস্টেরল পুরোপুরি বাদ দেওয়ার দরকার নেই। এক্ষেত্রে এলডিএল ও এইচডিএল-এর মধ্যে সঠিক ভারসাম্য বজায় রাখাটাই গুরুত্বপূর্ণ।

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায়, নিয়মিত ডিম খাওয়ার পরে ৭০শতাংশ মানুষের কোলেস্টেরল বাড়েনি। বাকি ৩০ শতাংশের মধ্যে যাদের কোলেস্টেরল বেড়েছে তাদের ক্ষেত্রেও বৃদ্ধির মাত্রা খুব বেশি নয়। আর তা হার্টের স্বাস্থ্যের কোনও খারাপ প্রভাবে ফেলেনি।

ডিমের পুষ্টিগুণ
একটি ডিমের কুসুমে থাকে প্রায় ১৮৬ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল। আগে ধারণা করা হতো এই কোলেস্টেরল রক্তে এলডিএল বাড়ায় এবং হৃদরোগের ঝুঁকি তৈরি করে। তবে সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, খাবারের কোলেস্টেরল শরীরের কোলেস্টেরলের ওপর খুব বেশি প্রভার ফেলে না। কারণ লিভার আমাদের খাদ্যাভ্যাস অনুযায়ী নিজে থেকেই কোলেস্টেরল উৎপাদন কমিয়ে বা বাড়িয়ে নেয়।

বেশিরভাগ সুস্থ মানুষের জন্য প্রতিদিন এক থেকে দুইটি ডিম খাওয়া নিরাপদ। চীনের ‘জার্নাল অব হার্ট’-এ প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা যায়, প্রতিদিন একটিমাত্র ডিম খাওয়া মানুষের মধ্যে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের তুলনামূলক ঝুঁকি কম। ডিমে থাকা ‘লুটেইন’ ও ‘জিয়াজ্যানথিন’ নামের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চোখের দৃষ্টি ভালো রাখে ও জ্বালাপোড়া কমায়।

কীভাবে ডিম খাবেন?
ডিম সিদ্ধ বা পোচ করে খাওয়াই সবচেয়ে ভালো। বাটার, চিজ বা বেকন দিয়ে রান্না না করে বরং সবজি, হোল গ্রেইন ও হার্বসের সঙ্গে খেলে তা হয় আরও পুষ্টিকর ও কম ফ্যাটযুক্ত। এছাড়া ফল, শাকসবজি ও পূর্ণ শস্য এই ভারসাম্যপূর্ণ ডায়েট শরীর ও হৃদয়ের জন্য উপকারী। তাই নিয়ম মেনে ডিম খাওয়ারা পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» মন ক্ষয়ে যায়

» আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সন্তোষজনক, সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্ভব: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

» ১২ আসনে নারী প্রার্থী, নেই রুমিন ফারহানা

» ৩ দিনের রিমান্ডে ক্যাসিনো সেলিম

» অমিতাভকে ‘আই হেট ইউ’ বলতে গিয়ে যে অবস্থা হয়েছিল রেখার

» ঢাকা-১৪ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী মায়ের ডাকের তুলি

» বগুড়া-৬ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী তারেক রহমান

» নেত্রকোনা-৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী সাবেক প্রতিমন্ত্রী বাবর

» ২৩৭ আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা

» ঢাকার আসনগুলোতে বিএনপির প্রার্থী হলেন যারা

 

সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,

ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,

নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন: ই-মেইল : [email protected],

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

সুস্থ থাকতে দিনে কয়টি ডিম খাবেন

সংগৃহীত ছবি

 

অনলাইন ডেস্ক : ডিমে প্রোটিন ও পুষ্টিগুণে ভরপুর। যা কোলেস্টেরল বাড়াতে সহায়তা করে। বহু হার্টের রোগী কোলেস্টেরল বাড়ার ভয়ে ডিম খাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন। স্বাস্থ্যসচেতন অনেকে ডিম খান কুসুম বাদ দিয়ে।

কিন্তু সত্যিই কি ডিম খেলে কোলেস্টেরল বাড়ে? তবে পুষ্টিবিদরা বলছেন, ডিমের কুসুম রয়েছে অর্ধেক পুষ্টিগুণ। যা শরীরের ডিটামিন ডি এর চাহিদা পূরণ করে। আর সাদা অংশে থাকে প্রোটিন।

এছাড়া ডিমে যে ধরনের বি ভিটামিন পাওয়া যায়, তারও সবটাই থাকে কুসুমে। পাশাপাশি ভিটামিন এ, ই এবং জিঙ্ক, ফসফরাস, আয়রন, ক্যালশিয়াম, কোলিনও আছে কুসুমে। সেই সাথে চোখের জন্য উপযোগী অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টস ও উচ্চমাত্রার কোলেস্টেরলও রয়েছে।

প্রশ্ন হল, সেই কোলেস্টেরল এড়াতে কি সমস্ত পুষ্টিগুণ বাদে দেবেন? তাহলে ডিম খেয়ে লাভ কিসের!

ডিমে থাকা কোলেস্টেরল: ভালো না খারাপ? 
তবে ডিমে থাকা কোলেস্টেরল নিয়ে বহুদিন ধরেই অনেকের মাঝে উদ্বেগ কাজ করে আসছে। বাস্তবে ডিম খেলে কোলেস্টেরলে প্রভাব পড়তে পারে, কিন্তু সবার ক্ষেত্রে নয়। সঠিকভাবে খেলে এটি একেবারেই নিরাপদ।

কি বলছেন বিশেষজ্ঞরা
ক্লিনিক্যাল ডায়েটিশিয়ান খুশমা শাহ জানান, লিভার স্বাভাবিকভাবেই কোলেস্টেরল তৈরি করে। তাই খাবার থেকে কোলেস্টেরল পুরোপুরি বাদ দেওয়ার দরকার নেই। এক্ষেত্রে এলডিএল ও এইচডিএল-এর মধ্যে সঠিক ভারসাম্য বজায় রাখাটাই গুরুত্বপূর্ণ।

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায়, নিয়মিত ডিম খাওয়ার পরে ৭০শতাংশ মানুষের কোলেস্টেরল বাড়েনি। বাকি ৩০ শতাংশের মধ্যে যাদের কোলেস্টেরল বেড়েছে তাদের ক্ষেত্রেও বৃদ্ধির মাত্রা খুব বেশি নয়। আর তা হার্টের স্বাস্থ্যের কোনও খারাপ প্রভাবে ফেলেনি।

ডিমের পুষ্টিগুণ
একটি ডিমের কুসুমে থাকে প্রায় ১৮৬ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল। আগে ধারণা করা হতো এই কোলেস্টেরল রক্তে এলডিএল বাড়ায় এবং হৃদরোগের ঝুঁকি তৈরি করে। তবে সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, খাবারের কোলেস্টেরল শরীরের কোলেস্টেরলের ওপর খুব বেশি প্রভার ফেলে না। কারণ লিভার আমাদের খাদ্যাভ্যাস অনুযায়ী নিজে থেকেই কোলেস্টেরল উৎপাদন কমিয়ে বা বাড়িয়ে নেয়।

বেশিরভাগ সুস্থ মানুষের জন্য প্রতিদিন এক থেকে দুইটি ডিম খাওয়া নিরাপদ। চীনের ‘জার্নাল অব হার্ট’-এ প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা যায়, প্রতিদিন একটিমাত্র ডিম খাওয়া মানুষের মধ্যে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের তুলনামূলক ঝুঁকি কম। ডিমে থাকা ‘লুটেইন’ ও ‘জিয়াজ্যানথিন’ নামের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চোখের দৃষ্টি ভালো রাখে ও জ্বালাপোড়া কমায়।

কীভাবে ডিম খাবেন?
ডিম সিদ্ধ বা পোচ করে খাওয়াই সবচেয়ে ভালো। বাটার, চিজ বা বেকন দিয়ে রান্না না করে বরং সবজি, হোল গ্রেইন ও হার্বসের সঙ্গে খেলে তা হয় আরও পুষ্টিকর ও কম ফ্যাটযুক্ত। এছাড়া ফল, শাকসবজি ও পূর্ণ শস্য এই ভারসাম্যপূর্ণ ডায়েট শরীর ও হৃদয়ের জন্য উপকারী। তাই নিয়ম মেনে ডিম খাওয়ারা পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



 

সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,

ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,

নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন: ই-মেইল : [email protected],

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com