সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক : ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে অন্তর্ভুক্ত করার একটি বিতর্কিত বিল ইসরায়েলের পার্লামেন্ট নেসেটে প্রাথমিক ধাপে পাস হয়েছে। এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। অন্যদিকে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং যুক্তরাষ্ট্রও বিলটির বিরোধিতা করছে।
গত মঙ্গলবার নেসেটে পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি সার্বভৌমত্ব আরোপের বিলটি ২৫-২৪ ভোটে প্রাথমিক অনু মোদন লাভ করে। অপর একটি বিল, যাতে শুধু মালে আদুমিম বসতিকে সংযুক্ত করার দাবি জানানো হয়েছিল সেটিও পাস হয় ৩২-৯ ভোটে।
এই বিল দুটি আইনে পরিণত হতে নেসেটে আরও তিনটি ধাপ পার হতে হবে। প্রাথমিক অনুমোদনের পর বিল দুটি এখন আরও আলোচনার জন্য সংসদের পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা কমিটিতে পাঠানো হবে।
প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও তার লিকুদ পার্টি বিল দুটির বিরোধিতা করেছে। তারা এই ভোটকে বিরোধী দলের উসকানি হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। এতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক নষ্ট করতে পারে আশঙ্কা করছে তারা। লিকুদ পার্টির প্রায় সব সদস্য ভোট বয়কট করেছে।
বিল পাসের খবর পেয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন, ইসরায়েলকে তিনি পশ্চিম তীর সংযুক্তির কোনো অনুমতি দেবেন না। প্রয়োজনে তিনি ইসরায়েলের প্রতি মার্কিন সমর্থন প্রত্যাহার করার হুমকিও দেন। গাজায় যুদ্ধবিরতি তদারকি করতে ইসরায়েল সফররত মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স এই ভোটকে খুবই বোকা রাজনৈতিক চাল বলে মন্তব্য করেছেন।
নেসেটে এই বিল পাস হওয়ার পর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই পদক্ষেপকে অবৈধ ও অগ্রহণযোগ্য বলে নিন্দা জানিয়েছে। হামাস বলেছে, এই বিল দখলদার ইসরায়েলের উপনিবেশবাদী চেহারা স্পষ্ট করে দিয়েছে। সৌদি আরব, কাতার ও জর্ডান এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছে যে, এটি দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের সম্ভাবনাকে ধ্বংস করবে।
যদিও বিলটি প্রাথমিক ধাপে পাস হয়েছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনের কঠোর আপত্তির কারণে এটি সহজে আইনে পরিণত হবে না বলেই বিশ্লেষকদের ধারণা। যদি এটি শেষ পর্যন্ত আইনে পরিণত হয়, তবে তা ফিলিস্তিন-ইসরায়েল দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের সম্ভাবনাকে কার্যত শেষ করে দেবে। ফলে মধ্যপ্রাচ্যে আরও অস্থিরতা আরও বাড়বে।
সূত্র: আল জাজিরা







