মোরেলগঞ্জে লবণাক্ত জমিতে মৎস্য ঘেরের ভেড়িবাঁধে অসময়ে তরমুজ চাষে সফল কৃষকের মুখে হাসির ঝিলিক     

এস. এম সাইফুল ইসলাম কবির,  বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি :দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল মৎস্যভান্ডার নামে খ্যাতবিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের উপকূলে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে মৎস্য ঘেরের ভেড়িতে লবণাক্ত জমিতেঅসময়ে তরমুজ চাষে সফল।দেশের মাটিতে সোনার ফসল ফলিয়ে অর্থনৈতিক পরিবর্তন সংসারে সচল চাকা ঘুরিয়েছেন এমন এক সফল কৃষক বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে উমাজুরি গ্রামের সফল তরমুজ  চাষী শাহজালাল বাবু। আধুনিক পদ্ধতিতে নতুন প্রজাতের অসময়ে ইউনাইটেট মধুমালা(হলুদ), মেটেল সিট আরডবিউএস ০০৯(কালো), বাংলালিংক ছাপা এসর ৭৭৭ এ তিন প্রজাতের তরমুজ উৎপাদন করে এখন গোটা বাগেরহাট জেলায় সাড়া জাগিয়েছেন এ সফল কৃষক।সরেজমিনে মোরেলগঞ্জে উমাজুরি গ্রামের সফল  তরমুজ  চাষী শাহজালাল বাবু। কর্মরত বাদশারহাট  হামিজিয়াদাখিল মাদ্রাসার ৪র্থ শ্রেনীর একজন কর্মচারি।  স্বপ্ন নিজের জমিতে ব্যক্তিক্রমী ফসল উৎপাদন করে কৃষি বিপ্লব ঘটানো।

এ বছর ৪ বিঘা জমি নিয়ে শুরু করলেন আধুনিক ফসলের চাষাবাদ। তার মধ্যে এক একর ১০ শতক জমিতে অত্যাধুনিক প্রজাতের তরমুজের চাষ। অসময়ে তরমুজ চাষে সফল বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে উমাজুরি গ্রামের সফল তরমুজ  চাষী শাহজালাল বাবু। দূর থেকে দেখলে মনে হবে লাউ বা কুমড়া ঝুলে আছে। কাছে গেলে বোঝা যায় গুনো ও লাইলোনের সুতোর জালে তৈরি বিশেষ মাচায় রসালো তরমুজ ঝুলছে। ছোট, বড় ও মাঝারি সাইজের বিভিন্ন রংয়ের তরমুজে দেখলে মন জুড়াবে যে কারও।

বাগেরহাটের বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে গ্রামেরউমাজুরি গ্রামের চাষী শাহজালাল বাবু ক্ষেতে এমন বাম্পার ফলন হয়েছে।

অসময়ের এই তরমুজের দামও ভাল হবে এমন আশা কৃষক বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে উমাজুরি গ্রামের সফল তরমুজ  চাষী শাহজালাল বাবু।

তিনি বলেন, নিজের জমি-জমা নেই। এক একর জমি বর্গা নিয়ে মাছ ও ধান চাষ করতাম, এতেই মোটামুটি চলে আমাদের সংসার। কৃষি বিভাগের পরামর্শে ঘেরের পাড়ে অফসিজন বা অমৌসুমী তরমুজের চাষ শুরু করি। তরমুজের বিচি, বাস, কাঠ, লাইলোনের সুতোর জাল, গুনা ও শ্রমিক মিলিয়ে ৫০ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। সৃষ্টিকর্তা যে ফল দিয়েছে তাতে এক লক্ষ টাকার উপরে বিক্রি করতে পারব। তরমুজ শেষ হলে, এই মাচায়ই কুমড়ো, লাউসহ অন্যান্য সবজি চাষ করা যাবে।

অসময়ে তরমুজ চাষ সম্পর্কে  কৃষক  শাহজালাল বাবু  বলেন, এই চাষটি স্বাভাবিক লাউ-কুমরো চাষের মতই। মাটিতে জৈব ও রাসয়নিক সার দিয়ে বিচি রোপন করতে হয়। পরে গোড়ার আগাছা পরিষ্কার করতে হয়। যখন বৃষ্টি থাকে না, তখন পানি দিতে হয়। তেমন খরচ না হলেও, যত্ন করতে হয় অনেক। তবে তরমুজ চাষে আমাদের সবসময় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাগণ সহযোগিতা করেছেন। এভাবে কয়েক বছর ভালভাবে চাষ করতে পারল সংসারে স্বচ্ছলতা আসবে বলে দাবি করেন এই কৃষক।

তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা ৬০ টাকা কেজি দরে তরমুজ ক্রয়ের জন্য যোগাযোগ করেছে। আশাকরি দুই-চারদিনের মধ্যেই আমরা বিক্রি শুরু করতে পারব।

শুধু শাহজালাল বাবুনয়, ভাল দাম ও চাষাবাদ সহজ হওয়ায় জেলার অনেকেই অফসিজন তরমুজ চাষে ঝুঁকছেন।

কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, জেলার ৪১ হেক্টর জমিতে প্রায় ৪শ’ কৃষক তরমুজ চাষ করেছেন। আগামী বছরে চাষের জমি ও কৃষক আরও বাড়বে বলে আশা কৃষি বিভাগের।
জাকির শেখ নামের আরেক কৃষক বলেন, ৩৩ শতক জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। ফলনও ভাল হয়েছে। যদি সব মাছের ঘেরের পাড় ও উঁচু জমিতে অফসিজন তরমুজ চাষ করা যায় তাহলে, কৃষকরা আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারে। আধুনিক পদ্ধতিতে নতুন প্রজাতের ফসল উৎপাদনে কৃষি অধিদপ্তরের মাধ্যমে সঠিক পরামর্শ অনুযায়ী এঅঞ্চলে প্রথমবারে নতুন তরমুজের বাম্পার ফসল ফলানো সম্ভব হয়েছে। বাম্পার ফলন দেখে আগমিতে নতুন নতুন কৃষক চাষাবাধে ঝুকবে।

মোরেলগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটি সভাপতি এস.এম. সাইফুল ইসলাম কবির বলেন, কৃষককে সার, বীজ ও প্রশিক্ষণ দিয়ে বিভিন্ন সময় সহযোগিতা করে কৃষি বিভাগ। বিভিন্ন সীড কোম্পানি পক্ষ থেকে মাঝে মধ্যে সার ও বীজ দিয়ে গরীব কৃষকদের সহযোগিতা করতে হবে। এক সময়ে লবণাক্ততার কারনে তার ইউনিয়নের ধান চাষাবাদ ছাড়া অন্য কোন ফসল হতো না। এখন ওয়াপধা ভেরিবাধের কারনে মিষ্টি পানিতে কৃষক নতুন নতুন ফসল ফলিয়ে কৃষি বিপ্লব ঘটিয়েছে। সরকারিভাবে অত্যাধুনিক প্রশিক্ষণ, বিনা সুদে লোন, এ ক্ষেত্রে চাষাবাদে কৃষকের আরো আগ্রহ বাড়বে বলে তিনি মনে করেন।

মোরেলগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা  মোঃ সাইফুল ইসলামবলেন, নতুন প্রজাতের তরমুজের বাম্পার ফলনে লাভজনক ফসল উৎপাদন করে কৃষক  এখন এ জেলায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। এ ফলন দেখে যুবসমাজ নতুন ফসল উৎপাদনে এগিয়ে আসবে। কৃষি অধিদপ্তরের মাধ্যমে কৃষকদেরকে এ বিষয়ে সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করে আসছে বলে এ কর্মকর্তা জানান।কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বাগেরহাটের উপ-পরিচালক শঙ্কর কুমার মজুমদার বলেন, আমরা সব সময় কৃষকদের উচ্চমূল্য সম্পন্ন ফসল চাষে উৎসাহ প্রদান করি।

এজন্য কারিগরি সহযোগিতাসহ বিভিন্ন পরামর্শও দেওয়া হয়। এই কারণে জেলায় দিন দিন অমৌসুমী তরমুজ চাষি বৃদ্ধি পাচ্ছে।

বর্তমানে প্রায় ৪শ চাষি ৪১ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ করছেন। ভবিষ্যতে আরও বাড়বে বলে মন্তব্য করেন কৃষি বিভাগের এই কর্মকর্তা।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» ডাকসু, জাকসু ও চাকসুতে যুব সমাজ ছাত্রশিবিরের ওপর আস্থা রেখেছে: জামায়াত আমির

» জামায়াত আমিরের সঙ্গে কানাডার হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ

» নরসিংদী পলাশে শান্তি ও স্থিতিশীলতার আহবানে  জাকের পার্টির জনসভা ও  র‍্যালি

» ১২ বছর পরদীর্ঘ বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় বিএনপির ১৬ নেতার খালাস

» এবি পার্টির শতাধিক প্রার্থীর নাম ঘোষণা

» ১০০ আসনে প্রার্থী ঘোষণা এবি পার্টির

» এবার জেন-জি বিক্ষোভে উত্তাল পেরু, ব্যাপক সংঘর্ষ

» জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়াকে আমন্ত্রণ জানাল ঐকমত্য কমিশন

» বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহাবুদ্দিন আহমেদের রাষ্ট্রীয় ফিউনারেল প্যারেড অনুষ্ঠিত

» দেশজুড়ে রিয়েলমি ১৫ ফাইভজি ও রিয়েলমি ১৫ প্রো ফাইভজি’র ফার্স্ট সেল শুরু

উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা,

সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,

ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,

ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,

নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন: ই-মেইল : [email protected],

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

মোরেলগঞ্জে লবণাক্ত জমিতে মৎস্য ঘেরের ভেড়িবাঁধে অসময়ে তরমুজ চাষে সফল কৃষকের মুখে হাসির ঝিলিক     

এস. এম সাইফুল ইসলাম কবির,  বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি :দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল মৎস্যভান্ডার নামে খ্যাতবিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের উপকূলে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে মৎস্য ঘেরের ভেড়িতে লবণাক্ত জমিতেঅসময়ে তরমুজ চাষে সফল।দেশের মাটিতে সোনার ফসল ফলিয়ে অর্থনৈতিক পরিবর্তন সংসারে সচল চাকা ঘুরিয়েছেন এমন এক সফল কৃষক বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে উমাজুরি গ্রামের সফল তরমুজ  চাষী শাহজালাল বাবু। আধুনিক পদ্ধতিতে নতুন প্রজাতের অসময়ে ইউনাইটেট মধুমালা(হলুদ), মেটেল সিট আরডবিউএস ০০৯(কালো), বাংলালিংক ছাপা এসর ৭৭৭ এ তিন প্রজাতের তরমুজ উৎপাদন করে এখন গোটা বাগেরহাট জেলায় সাড়া জাগিয়েছেন এ সফল কৃষক।সরেজমিনে মোরেলগঞ্জে উমাজুরি গ্রামের সফল  তরমুজ  চাষী শাহজালাল বাবু। কর্মরত বাদশারহাট  হামিজিয়াদাখিল মাদ্রাসার ৪র্থ শ্রেনীর একজন কর্মচারি।  স্বপ্ন নিজের জমিতে ব্যক্তিক্রমী ফসল উৎপাদন করে কৃষি বিপ্লব ঘটানো।

এ বছর ৪ বিঘা জমি নিয়ে শুরু করলেন আধুনিক ফসলের চাষাবাদ। তার মধ্যে এক একর ১০ শতক জমিতে অত্যাধুনিক প্রজাতের তরমুজের চাষ। অসময়ে তরমুজ চাষে সফল বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে উমাজুরি গ্রামের সফল তরমুজ  চাষী শাহজালাল বাবু। দূর থেকে দেখলে মনে হবে লাউ বা কুমড়া ঝুলে আছে। কাছে গেলে বোঝা যায় গুনো ও লাইলোনের সুতোর জালে তৈরি বিশেষ মাচায় রসালো তরমুজ ঝুলছে। ছোট, বড় ও মাঝারি সাইজের বিভিন্ন রংয়ের তরমুজে দেখলে মন জুড়াবে যে কারও।

বাগেরহাটের বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে গ্রামেরউমাজুরি গ্রামের চাষী শাহজালাল বাবু ক্ষেতে এমন বাম্পার ফলন হয়েছে।

অসময়ের এই তরমুজের দামও ভাল হবে এমন আশা কৃষক বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে উমাজুরি গ্রামের সফল তরমুজ  চাষী শাহজালাল বাবু।

তিনি বলেন, নিজের জমি-জমা নেই। এক একর জমি বর্গা নিয়ে মাছ ও ধান চাষ করতাম, এতেই মোটামুটি চলে আমাদের সংসার। কৃষি বিভাগের পরামর্শে ঘেরের পাড়ে অফসিজন বা অমৌসুমী তরমুজের চাষ শুরু করি। তরমুজের বিচি, বাস, কাঠ, লাইলোনের সুতোর জাল, গুনা ও শ্রমিক মিলিয়ে ৫০ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। সৃষ্টিকর্তা যে ফল দিয়েছে তাতে এক লক্ষ টাকার উপরে বিক্রি করতে পারব। তরমুজ শেষ হলে, এই মাচায়ই কুমড়ো, লাউসহ অন্যান্য সবজি চাষ করা যাবে।

অসময়ে তরমুজ চাষ সম্পর্কে  কৃষক  শাহজালাল বাবু  বলেন, এই চাষটি স্বাভাবিক লাউ-কুমরো চাষের মতই। মাটিতে জৈব ও রাসয়নিক সার দিয়ে বিচি রোপন করতে হয়। পরে গোড়ার আগাছা পরিষ্কার করতে হয়। যখন বৃষ্টি থাকে না, তখন পানি দিতে হয়। তেমন খরচ না হলেও, যত্ন করতে হয় অনেক। তবে তরমুজ চাষে আমাদের সবসময় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাগণ সহযোগিতা করেছেন। এভাবে কয়েক বছর ভালভাবে চাষ করতে পারল সংসারে স্বচ্ছলতা আসবে বলে দাবি করেন এই কৃষক।

তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা ৬০ টাকা কেজি দরে তরমুজ ক্রয়ের জন্য যোগাযোগ করেছে। আশাকরি দুই-চারদিনের মধ্যেই আমরা বিক্রি শুরু করতে পারব।

শুধু শাহজালাল বাবুনয়, ভাল দাম ও চাষাবাদ সহজ হওয়ায় জেলার অনেকেই অফসিজন তরমুজ চাষে ঝুঁকছেন।

কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, জেলার ৪১ হেক্টর জমিতে প্রায় ৪শ’ কৃষক তরমুজ চাষ করেছেন। আগামী বছরে চাষের জমি ও কৃষক আরও বাড়বে বলে আশা কৃষি বিভাগের।
জাকির শেখ নামের আরেক কৃষক বলেন, ৩৩ শতক জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। ফলনও ভাল হয়েছে। যদি সব মাছের ঘেরের পাড় ও উঁচু জমিতে অফসিজন তরমুজ চাষ করা যায় তাহলে, কৃষকরা আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারে। আধুনিক পদ্ধতিতে নতুন প্রজাতের ফসল উৎপাদনে কৃষি অধিদপ্তরের মাধ্যমে সঠিক পরামর্শ অনুযায়ী এঅঞ্চলে প্রথমবারে নতুন তরমুজের বাম্পার ফসল ফলানো সম্ভব হয়েছে। বাম্পার ফলন দেখে আগমিতে নতুন নতুন কৃষক চাষাবাধে ঝুকবে।

মোরেলগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটি সভাপতি এস.এম. সাইফুল ইসলাম কবির বলেন, কৃষককে সার, বীজ ও প্রশিক্ষণ দিয়ে বিভিন্ন সময় সহযোগিতা করে কৃষি বিভাগ। বিভিন্ন সীড কোম্পানি পক্ষ থেকে মাঝে মধ্যে সার ও বীজ দিয়ে গরীব কৃষকদের সহযোগিতা করতে হবে। এক সময়ে লবণাক্ততার কারনে তার ইউনিয়নের ধান চাষাবাদ ছাড়া অন্য কোন ফসল হতো না। এখন ওয়াপধা ভেরিবাধের কারনে মিষ্টি পানিতে কৃষক নতুন নতুন ফসল ফলিয়ে কৃষি বিপ্লব ঘটিয়েছে। সরকারিভাবে অত্যাধুনিক প্রশিক্ষণ, বিনা সুদে লোন, এ ক্ষেত্রে চাষাবাদে কৃষকের আরো আগ্রহ বাড়বে বলে তিনি মনে করেন।

মোরেলগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা  মোঃ সাইফুল ইসলামবলেন, নতুন প্রজাতের তরমুজের বাম্পার ফলনে লাভজনক ফসল উৎপাদন করে কৃষক  এখন এ জেলায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। এ ফলন দেখে যুবসমাজ নতুন ফসল উৎপাদনে এগিয়ে আসবে। কৃষি অধিদপ্তরের মাধ্যমে কৃষকদেরকে এ বিষয়ে সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করে আসছে বলে এ কর্মকর্তা জানান।কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বাগেরহাটের উপ-পরিচালক শঙ্কর কুমার মজুমদার বলেন, আমরা সব সময় কৃষকদের উচ্চমূল্য সম্পন্ন ফসল চাষে উৎসাহ প্রদান করি।

এজন্য কারিগরি সহযোগিতাসহ বিভিন্ন পরামর্শও দেওয়া হয়। এই কারণে জেলায় দিন দিন অমৌসুমী তরমুজ চাষি বৃদ্ধি পাচ্ছে।

বর্তমানে প্রায় ৪শ চাষি ৪১ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ করছেন। ভবিষ্যতে আরও বাড়বে বলে মন্তব্য করেন কৃষি বিভাগের এই কর্মকর্তা।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা,

সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,

ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,

ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,

নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন: ই-মেইল : [email protected],

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com