ক্রিশ্চিয়ান সম্প্রদায়ের অন্যতম বড় উৎসব ইস্টার হলিডে ইউক্রেন ও পোল্যান্ড সীমান্তে শরণার্থী আর চ্যারিটি ওয়ার্কাররাও উদযাপন করেছেন। ইস্টারের ব্রেকফাস্টে ছিলো ডিম। যে ডিমকে বলা হয় যিশুর পুনর্জন্মের প্রতীক যা ক্রিশ্চিয়ান ধর্মের মানুষেরা আশার প্রতীক হিসেবে দেখেন। যুদ্ধ থেমে যাবে; এই আশাই প্রত্যাশা করছেন সবাই ইস্টারের ব্রেকফাস্টে বসে।
সীমান্তে মানুষের আসা মানুষের সংখ্যা কমেছে, ফিরে যাওয়ার সংখ্যা বাড়ছে। যেহেতু কিয়েভ থেকে যুদ্ধ সরে গেছে পূর্ব দিকে, মারিওপুলে তাই লভিভ, কিয়েভের মানুষজন ফিরতে শুরু করেছেন। সীমান্তে অনেক লম্বা লাইন।
মানুষজনের সাথে কথা বলে জানা যাচ্ছে, ৯ মে একটা কিছু ঘটতে যাচ্ছে! ৯ মে হচ্ছে রাশিয়ার ন্যাশনাল প্যারেড। সেদিন রেড স্কয়ারে বিশাল জমায়েতের পুতিন কি চমক নিয়ে আসবেন সেটাই এখানে আলোচিত হচ্ছে বেশি। ৯ মে যুদ্ধ শেষ হবে, নাকি দীর্ঘায়িত হবে নাকি নতুন মোড় নিয়ে ন্যাটোর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা হবে এমন সমীকরণ মেলাচ্ছেন সবাই। রাশিয়ায় থাকা বাংলাদেশিদের কেউ কেউ বলছেন, ৯ মে এই যুদ্ধের জন্য গুরুত্বপূর্ণ দিন। এদিনই পুতিন তার ট্রাম্প কার্ড ছাড়বেন! যেখানে পুতিনের জয় ছাড়া আর বিকল্প পথ খোলা আছে দুটি এক হচ্ছে যুদ্ধবিরতি আর নাহলে যুদ্ধের নতুন মোড়!
পুতিন যেভাবে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস, চ্যান্সেলর ঋষি সুনাক, পরিবহন মন্ত্রী গ্র্যান্ট শ্যাপস, স্কটল্যান্ডের ফাস্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টারজেনসহ শীর্ষ ১৩ রাজনীতিবিদকে রাশিয়াতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন তাতে বিশ্লেষকরা বলছেন যুদ্ধ বিকল্প পথের দিকেই যাবে! সেক্ষেত্রে এবারের ইস্টারের আশা হয়তো ভঙ্গ হতে পারে।