দারুণ শুরুর পরও মাঝে রানের চাকা নেমে আসে পাঁচের নিচে। এখন ক্রিজে আছেন মাহমুদউল্লাহ-আফিফ। আফিফ কিছুটা আগ্রাসী খেললেও মাহমুদউল্লাহ খেলছেন ধীরগতিতে। বাংলাদেশ ২০০ রান করে ২৩৬ বলে (৩৯.২ ওভার)।
বাংলাদেশ: ২০৬/৪ (৪০ ওভার)
হঠাৎ চাপে বাংলাদেশ
তামিম-এনামুলে দারুণ শুরু করে বাংলাদেশ। পাওয়ার প্লেতে রান এসেছে ওভার প্রতি ছয়ের ওপরে। তামিম যখন আউট হন তখন রানরেট সাতের কাছাকাছি ছিল। ফিফটির পরেই ফেরেন তামিম। এনামুলও বেশিদূর এগোতে পারেননি। অসাবধানতায় রানআউট হয়ে বিদায় নেন। এ দুজনের বিদায়ের পর রানরেটের গতি কিছুটা কমতে থাকে। তবুও সামলে নিয়েছিলেন শান্ত-মুশফিক। দুজনে ফিফটির জুটি গড়েন ৬৪ বলে। মুশফিকের বিদায়ের পর রানের চাকা আরও থেমে যায়। মাহমুদউল্লাহ-শান্ত ৩৮ বলে যোগ করেন ২১ রান। এখন ক্রিজে মাহমুদউল্লাহ-আফিফ। দুজনে খেলছেন ধীরগতিতে। ৪০ বলে ২৫ রানের জুটি গড়ে ক্রিজে আছেন দুজনে। ওভারপ্রতি রান এখন পাঁচেরও নিচে।
৫৫ বলে ৩৮ রানে আউট শান্ত
মাধেভেরের আউটসাইড অফের বল খেলতে দেরি করে ফেলেন শান্ত। তাতেই কাটা পড়েন। বল ব্যাটের কানায় লেগে যায় উইকেটের পেছনে। ৫ চারে ৫৫ বলে ৩৮ রান করেন এই বাঁহাতি। ক্রিজে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গী আফিফ।
ফিরলেন মুশফিক
নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে ৫০ রান তুলে আউট হন মুশফিকুর রহিম। ব্যক্তিগত ২৫ রানে ওয়েসলি মাধেভেরের বলে ডিপ মিডউইকেটে টন মুনইয়ঙ্গার হাতে ধরা পড়ে সাজঘরে ফেরেন। ৩১ বলে খেলা তার ইনিংসে ১টি চারের মার ছিল।
শতরান পেরিয়ে বাংলাদেশ
ফিফটি রান করে তামিম ইকবাল ও অসাবধানতায় এনামুল হক বিজয় আউট হওয়ার পর বাংলাদেশ দলকে টেনে নিচ্ছেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিম। ইতোমধ্যে দলীয় সংগ্রহ শতরান পেরিয়েছে। ২২.৩ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১২৭ রান। শান্ত-মুশফিকের জুটির ফিফটি রানও পূর্ণ হয়েছে। ১০ ওভারে তারা দুজন ৫০ রান তোলেন।
অসাবধানতায় রানআউট হয়ে বিজয়ের বিদায়
অসাবধানতায় রানআউট হয়ে ফিরলেন এনামুল হক বিজয়। শান্তর স্ট্রেইট ড্রাইভে আউট বিজয়! সোজাসুজি খেলেনে বাঁহাতি শান্ত, বল নন স্ট্রাইক প্রান্ত দিয়ে যেতেই সচেতন চিভাঙ্গা স্পর্শ করেন বল, যা সরাসরি ভেঙে দেয় উইকেট। ততক্ষণে বক্স থেকে বেরিয়ে গেছেন বিজয়, অসাবধানতার বশে উইকেট বিলিয়ে আসলেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। ২৫ বলে ২০ রান করেন এনামুল। ক্রিজে দুই নতুন ব্যাটসম্যান শান্ত-মুশফিক।
ফিফটির পর তামিমের বিদায়
ফিফটির পর তামিমের বিদায়। চিভাঙ্গার শর্ট বলে পুল করতে চেয়েছিলেন দুর্দান্ত খেলতে থাকা তামিম। কিন্তু মিসটাইমিংয়ে গড়বড় হয়ে যায়। ডিপ স্কয়ার লেগে ধরা পড়েন কাইটানোর হাতে। সমাপ্তি হয় দারুণ এক ইনিংসের। ১০ চার ও ১ ছয়ে ৪৫ বলে ৫০ করেন তামিম। ক্রিজে এনামুলের সঙ্গী শান্ত।
এবার ৪৩ বলে তামিমের হাফ সেঞ্চুরি
৪৩ বলে ক্যারিয়ারের ৫৫তম ফিফটির দেখা পেলেন তামিম। প্রথম ম্যাচে ৭৯ বলে ফিফটি করেছিলেন। ধীরগতির ব্যাটিংয়ের কারণে বাংলাদেশ দলীয়ভাবে কিছুটা রান কম পায়। এবার আর সেই পথে হাঁটছেন না তামিম। শুরু থেকেই দেখা যাচ্ছে আগ্রাসী। চার মেরে তুলে নেন ফিফটি। তার ফিফটির ইনিংসে চারের মার ছিল ১০টি আর ছয়ের মার ১টি।
ফিফটির জুটিতে তামিমের একারই ৪২
চিভাঙ্গাকে চার মেরে দলীয় রান পঞ্চাশ পার করে তামিম। ৫৩ বলে ফিফটির জুটি পূর্ন হয়। তাতে তামিমের একারই রান ৪২ আর এনামুলের ৯। শুরু থেকেই আগ্রাসী দেখা যাচ্ছে তামিমকে। এনামুল ঠিকমতো স্ট্রাইকরেট পাচ্ছেন না।
আগ্রাসী তামিমে বাংলাদেশের দারুণ শুরু
৭ ওভারে বাংলাদেশের রান ৪৫। আর ওপেনার তামিমের একারই রান ৩৭! পঞ্চম ওভারে হাঁকিয়েছেন ২ চার ও ১ ছয়। ৩৩ বলে ৭ চার ও ১ ছয়ে এই রান করেন তামিম। প্রায় প্রতি ওভারেই হাঁকাচ্ছেন বাউন্ডারি। অপর ওপেনার এনামুলের রান ১০ বলে ৭ রান। ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা দারুণ হয়েছে বাংলাদেশের। প্রথম ম্যাচে ধীরগতির শুরু কারণে ভুগতে হয়েছে বাংলাদেশকে। এই ম্যাচে ওভার প্রতি আসছে প্রায় ৭ রান করে। যা ইতিবাচক বাংলাদেশের জন্য।
একাদশে তিন পরিবর্তন, ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টস হেরেছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিং-এর আমন্ত্রণ জানিয়েছে জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশ সময় দুপুর সোয়া ১টায় শুরু হয়েছে ম্যাচটি। বাংলাদেশ দলে ৩টি পরিবর্তন আনা হয়েছে। আর জিম্বাবুয়ে দলে পরিবর্তন আনা হয়েছে ৫টি। ইনজুরিতে পড়া লিটন দাস ও মোস্তাফিজুর রহমানের পরিবর্তে বাংলাদেশের একাদশে এসেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও হাসান মাহমুদ। এ ছাড়া মোসাদ্দেক হোসেনের পরিবর্তে খেলছেন তাইজুল ইসলাম।
বাংলাদেশের একাদশ
তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), নাজমুল হোসেন শান্ত , এনামুল হক বিজয়, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, আফিফ হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, শরীফুল ইসলাম , নাসুম আহমেদ ও হাসান মাহমুদ/মোসাদ্দেক হোসেন।
জিম্বাবুয়ে একাদশ
আগের ম্যাচের একাদশ থেকে বাদ পড়েছেন রায়ান বার্ল, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, তারিসাই মুসাকান্দা, রিচার্ড এনগারাভা ও মিল্ডন শুম্বা। তাদের জায়গায় এলেন তানাকা চিভাঙ্গা, ব্র্যাডলি ইভান্স, তাকুদওয়ানাশে কাইতানো, তাদিওয়ানশে মারুমানি ও টনি মুনিয়োঙ্গা। অভিষেক হয়েছে ব্র্যাডলি ইভান্স ও টনি মুনিয়োঙ্গার।
একাদশে যারা রেগিস চাকাভা (অধিনায়ক), তানাকা চিভাঙ্গা, ব্র্যাডলি ইভান্স, তাকুদওয়ানাশে কাইতানো, লুক জংওয়ে, ইনোসেন্ট কাইয়া, ওয়েসলে মাধেভের, তাদিওয়ানশে মারুমানি, টনি মুনিয়োঙ্গা, ভিক্টর নাইউচি ও সিকান্দার রাজা।
সিরিজ বাঁচানোর লড়াই
ওয়ানডেতে উড়তে থাকা বাংলাদেশ এটা ঘুনাক্ষরেও ভাবেনি হয়তো। দক্ষিণ আফ্রিকা কিংবা উইন্ডিজকে তাদের মাটিতে ধরাশয়ী করার পর কে-ইবা এমন ভাবতে পারে। তাও যে দলটির বিপক্ষে ২০১৩ সাল থেকে টানা ১৯ ম্যাচে কোনো হার ছিল না। সেই দলটিই যেন নাস্তানাবুদ করে ছাড়লো। হারের ক্ষতে দ্রুত প্রলেপ দিয়ে বাংলাদেশকে এবার প্রস্তুত থাকতে হবে সিরিজ বাঁচাতে। প্রথম ওয়ানডে ৫ উইকেটে জিতে নিয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে আছে স্প্রিং বকরা। আজ জিতলে ৯ বছর পর বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ জিতবে তারা। আর বাংলাদেশ জিতলে সিরিজে ফিরবে সমতা।
হেরাথের বিশ্বাস ঘুরে দাঁড়াবে বাংলাদেশ
স্পিন কোচ রঙ্গনা হেরাথ মনে করছেন তার শিষ্যরা ঘুরে দাঁড়াবে। ‘খেলোয়াড় হিসেবে, ব্যক্তি হিসেবে, দলের সদস্য হিসেবে এমন সময়ের মধ্য দিয়ে গিয়েছি আমি। তবে ব্যাপারটা (হলো), কীভাবে শক্তভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারি। আমি নিশ্চিত ছেলেরা ঘুরে দাঁড়াবে। হারাটা কখনোই ভালো কিছু নয়, তবে এটি তো খেলার অংশ। আমি নিশ্চিত ছেলেরা আরও তরতাজা হয়ে ফিরে আসবে।’