ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের একটি সরকারি কলেজে হিজাব পরে আসা ছাত্রীদেরকে কলেজে প্রবেশে পুনরায় বাধা দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, বুধবার কয়েকজন ছাত্রী হিজাব পরে কলেজে আসে। কিন্তু কলেজের প্রিন্সিপাল তাদেরকে হিজাব খুলে প্রবেশের আদেশ দেন। প্রিন্সিপালের দাবি, তিনি হাইকোর্টের আদেশ পালন করছেন। তিনি শিক্ষার্থীদের আদালতের আদেশ মেনে চলার অনুরোধ করেন।
সম্প্রতি, রাজ্যের হাইকোর্ট ধর্মীয় পোশাক না পরার শর্তে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার অনুমতি দিয়েছেন। গত সপ্তাহে হিজাব পরে কলেজে আসায় কয়েক শিক্ষার্থীকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্যে সংঘাতের আশায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। হিজাব ইস্যুতে হাইকোর্টের চূড়ান্ত রায় ঘোষণার আগ পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় পোশাকের উপর নিষেধাজ্ঞা দেয় হাইকোর্ট।
হাইকোর্টের আদেশের পরে কাউকে হিজাব পরে কলেজে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ হাইকোর্টের আদেশের অজুহাত দিচ্ছে।
হিজাব পরে কলেজে প্রবেশের অনুমতি না পাওয়ায় বিক্ষোভ শুরু করে শিক্ষার্থীরা। ‘আমরা ন্যায়বিচার চাই’ (উই ওয়ান্ট জাস্টিস) বলে স্লোগান দিতে থাকে। তদের দাবি, কলেজ কর্তৃপক্ষ হিজাব পরে না আসার বিষয়টি আগে সবাইকে অবহিত করেনি। কর্তৃপক্ষের অনড় সিদ্ধান্তের কারণে পরে কলেজের একটি কক্ষে হিজাব খুলে সবাই ক্লাসে প্রবেশ করে।
এ সময় কয়েকজন নারী পুলিশ সদস্যকে কলেজের ক্যাম্পাসে অবস্থান করতে দেখা যায়।
মুসলিম ছাত্রীরা আগে নিয়মিত হিজাব পরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসত। এতদিন এ নিয়ে কর্তৃপক্ষের কোনো সমস্যা ছিল না। কিন্তু গত ডিসেম্বর মাসে কর্ণাটকে একটি কলেজের প্রিন্সিপাল কয়েকজন শিক্ষার্থীকে হিজাব পরে কলেজে প্রবেশের অনুমতি দেননি। তখন ওই ইস্যুকে কেন্দ্র করে হিজাব পরে ক্লাসের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়। তাদের দাবি, হিজাব পরে ক্লাস করার অধিকার ভারতীয় সংবিধান নিশ্চিত করেছে। কয়েকজন শিক্ষার্থী হিজাব পরে ক্লাস করার দাবিতে হাইকোর্টে রিট করে। রিটের শুনানি হলেও চূড়ান্ত রায় দেয়নি আদালত। ভারতের প্রধান বিচারপতি যথাসময়ে হিজাব ইস্যুতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন।