সংগৃহীত ছবি
লাইফস্টাইল ডেস্ক : হার্ট অ্যাটাক একটি অপ্রত্যাশিত স্বাস্থ্য সমস্যা। হঠাৎ করে ঘটা এই সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারাচ্ছেন অসংখ্য মানুষ। আর তাই কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলছে হার্ট অ্যাটাক। সম্প্রতি এমডি (কার্ডিওলজি) এবং হার্ট ফেইলিউর এবং হার্ট ট্রান্সপ্ল্যান্টেশনের বিশেষজ্ঞ ডা. দিমিত্রি ইয়ারানোভ এ বিষয়ে আশার আলো দেখিয়েছেন। এই চিকিৎসক জানিয়েছেন, এমন একটি রক্তের পরীক্ষা রয়েছে যার মাধ্যমে আপনার জীবন বাঁচতে পারে এবং আপনার হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি আছে কি না তা আগে থেকে জানা যেতে পারে।
হার্ট অ্যাটাকের পূর্বাভাস দেয় যে টেস্ট
হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের মতে, এই পরীক্ষাকে সিআরপি (CRP) বলা হয়। এটি শরীরের নীরব প্রদাহ প্রকাশ করে যা আপনার ধমনীতে কোনো লক্ষণ অনুভব করার আগেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সিআরপির মাত্রা বেশি হলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেশি থাকে। এমনকি কোলেস্টেরলের মাত্রা স্বাভাবিক হওয়ার পরও সিআরপি’র মাত্রা বেশি হতে পারে।
সিআরপি কী?
সিআরপিকে নীরব প্রদাহের চিহ্ন হিসেবে অভিহিত করে ডা. ইয়ারানোভ। তিনি ব্যাখ্যা করেন, “প্রদাহের প্রতিক্রিয়ায় আপনার লিভার দ্বারা সিআরপি (C- প্রতিক্রিয়াশীল প্রোটিন) তৈরি হয়। দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ রক্তনালীগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়।
কেন সিআরপি গুরুত্বপূর্ণ?
হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের মতে, উচ্চ সিআরপি’র সঙ্গে হার্ট অ্যাটাকের সম্পর্ক রয়েছে। হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের ক্ষেত্রে সংকীর্ণ ধমনী (অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস) পেরিফেরাল ধমনী রোগ এটি কীভাবে পরিমাপ করা হয়? এক্ষেত্রে লিপোপ্রোটিন (a) রক্ত পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষাটিকে hs-CRP (উচ্চ-সংবেদনশীলতা CRP) বলা হয়। এর মাত্রা >৩.০ mg/L মানে হার্ট অ্যাটাকের উচ্চ ঝুঁকি রয়েছে। মাত্রা ১.০-৩.০ মানে ঝুঁকি মাঝারি। আর এর মাত্রা <1 মানে নিম্ন ঝুঁকি।
সিআরপি কীভাবে কমানো যায়?
- স্বাস্থ্যকর, প্রদাহ-বিরোধী খাদ্য গ্রহণ করুন
- শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকুন
- প্রয়োজনে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন
- ধূমপান ত্যাগ করুন
- স্ট্যাটিন বা অন্যান্য থেরাপি সম্পর্কে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন
হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি এড়াতে সিআরপি’র মাত্রা সবসময় জেনে রাখুন। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।