ছবি সংগৃহীত
তাহিয়্যাতুল মসজিদ হলো গুরুত্বপূর্ণ নফল নামাজ। মসজিদে প্রবেশ করামাত্র যে দুই রাকাত নফল পড়া হয় তাকে তাহিয়্যাতুল মসজিদ বা দুখুলুল মসজিদ বলা হয়। এই নামাজের ফজিলত বিষয়ে আবু কাতাদা সালামি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, তোমাদের কেউ মসজিদে প্রবেশ করলে সে যেন বসার আগে দুই রাকাত সালাত আদায় করে নেয়। (বুখারি: ৪৪৪, ১১৬৩)
কিন্তু মসজিদে হারামে তাহিয়্যাতুল মসজিদ নামাজের বিধান কিছুটা আলাদা। যেমন- মসজিদে হারামে প্রবেশকারী তাওয়াফের ইচ্ছা করলে তার জন্য তাওয়াফটাই তাহিয়্যাহ হিসেবে গণ্য হবে। এই ব্যক্তির জন্য তাওয়াফের আগে দুই রাকাত তাহিয়্যাতুল মসজিদ পড়ার হুকুম নেই। ফিকাহবিদদের প্রসিদ্ধ উক্তি تحية المسجد الحرام الطواف এর উদ্দেশ্য এটিই। সহিহ বুখারিতে এসেছে, হজরত আয়েশা (রা.) ইরশাদ করেছেন, নবী কারিম (স.) যখন মসজিদে হারামে তাশরিফ আনতেন তখন সর্বপ্রথম অজু করতেন তারপর তাওয়াফ করতেন। (সহিহ বুখারি: ১/২১৯)
এ হাদিসটি তাওয়াফের আগে তাহিয়্যাতুল মসজিদ না পড়ার সুস্পষ্ট প্রমাণ বহন করে।
অবশ্য যে ব্যক্তির তাওয়াফের ইচ্ছা নেই কিংবা এমন সময় প্রবেশ করেছে, যে সময়টা তাওয়াফের জন্য উপযোগী নয়, সে ব্যক্তির তাহিয়্যাতুল মসজিদ হলো দুই রাকাত নামাজ পড়া। অতএব মাকরুহ ওয়াক্ত না হলে এমন ব্যক্তির জন্য তাহিয়্যাতুল মসজিদ আদায় করা উত্তম।
সুতরাং তাওয়াফ না করলে তাহিয়্যাতুল মসজিদ পড়তে পারবে না- এ ধারণা ঠিক নয়। তদ্রূপ তাওয়াফের জন্য প্রস্তুত ব্যক্তিকে তাওয়াফের আগে তাহিয়্যাতুল মসজিদ আদায় করতে হবে- এ কথাও ঠিক নয়।
(ফয়জুল কাদির: ১/৩৩৭; শরহু মুসলিম, নববি: ১/২৪৮; রদ্দুল মুহতার: ২/৪৯২; আলমুগনি, ইবনে কুদামা: ৫/২১২; ইলামুস সাজিদ: ১০৭; মানাসিক, মোল্লা আলী কারি: ১২৯) সূএ:ঢাকা মেইল ডটকম