ছবি সংগৃহীত
নিঃস্বার্থভাবে কারও প্রতি অনুরাগী হয়ে যে দান বা উপঢৌকন প্রদান করা হয় তা-ই হাদিয়া। আর আপ্যায়ন মানে মেহমানদারি। এই দুই কাজই উদারতা ও সম্ভ্রান্ত ব্যক্তির আচরণের প্রতীক। সব নবী-রাসুল ও সাহাবায়ে কেরামের মধ্যে এই গুণদ্বয় বিদ্যমান ছিল।
ইসলামে এসব উৎসাহব্যঞ্জক নেক আমল। এতে পারস্পরিক সৌহার্দ বা হৃদ্যতা সুদৃঢ় হয়। কিন্তু সেই হাদিয়া বা মেহমানদারি যদি হারাম সম্পদ থেকে দেওয়া হয়, তখন তা গ্রহণ করা জায়েজ হবে কি না জানতে চান অনেকে।
এর উত্তরে ফুকাহায়ে কেরাম বলেন, যার উপার্জন হালাল-হারাম মিশ্রিত সে যদি কোনো কিছু হাদিয়া দেয় বা দাওয়াত করে, ওই হাদিয়া বা দাওয়াত হালাল মাল থেকে ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানা যায়, তাহলে তা গ্রহণ করা জায়েজ। আর যদি হারাম মাল থেকে হাদিয়া বা দাওয়াতের ব্যবস্থা করেছে বলে জানা যায় তাহলে তা গ্রহণ করা জায়েজ হবে না।
পক্ষান্তরে হাদিয়া বা দাওয়াতের ব্যবস্থা কোন ধরনের সম্পদ থেকে করেছে তা যদি জানা না যায়, তাহলে এক্ষেত্রে তার অধিকাংশ উপার্জন হালাল হয়ে থাকলে তার দাওয়াত ও হাদিয়া গ্রহণ করা জায়েজ আছে। আর যদি অধিকাংশ উপার্জন হালাল না হয়, তাহলে গ্রহণ করা যাবে না।
(মুসান্নাফে আবদুর রাজজাক: ১৪৬৭৫; শরহুস সিয়ারিল কাবির: ১/৯৯; উয়ুনুল মাসাইল, পৃ-২২০; ফতোয়ায়ে হিন্দিয়া: ৫/৩৪৩) সূএ: ঢাকা মেইল ডটকম