ছবি সংগৃহীত
লাইফস্টাইল ডেস্ক :রমজানে পানিশূন্যতা ত্বকে অনেক বড় প্রভাব ফেলে। এ শূন্যতা পূরণে রোজাদারকে সন্ধ্যার পরের সময় যথাযথভাবে কাজে লাগাতে হবে। সাহরি ও ইফতারে অন্যান্য খাবারের সঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে। তাই জেনে নিন প্রয়োজনীয় সহজ টিপস-
রোজা ভাঙার পরে ঝাঁঝালো, চিনিযুক্ত পানীয় এবং ক্যাফেইন এড়িয়ে চলুন। এর পরিবর্তে শসা, পুদিনা বা লেবু মেশানো পানীয় বেছে নিন, কারণ এগুলো ত্বককে উজ্জ্বল রাখতে কয়েকটি ভিটামিন এবং খনিজ সরবরাহ করতে সাহায্য করে।
রমজানের রোজার দিনগুলোয় বেরি, বাদাম, ডার্ক চকলেট এবং ডালিমের মতো ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার আপনার ত্বককে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে। এ ছাড়া কসমোলজিস্টরা, ত্বকের সৌন্দর্য ধরে রাখতে রোজা ভাঙার পরে ফল, শাকসবজি, বাদাম, গোটা শস্য এবং ভেষজ চা পানের পরামর্শ দেন।
রমজানে ত্বককে হাইড্রেটেড রাখতে আপনার ত্বকের ধরন অনুযায়ী সঠিক বডি ময়েশ্চারাইজার নির্বাচন করা গুরুত্বপূর্ণ। তৈলাক্ত, শুষ্ক, স্বাভাবিক নাকি সংবেদনশীল প্রতিটি ত্বকের ধরন অনুযায়ী ময়েশ্চারাইজার বেছে নিতে ভুলবেন না।
শুষ্ক ত্বক হলে গ্লিসারিন, হায়ালুরোনিক অ্যাসিড, ডেক্সপানথেনল বা ইউরিয়াযুক্ত ময়েশ্চারাইজার বেছে নিন। তৈলাক্ত ত্বক হলে স্যালিসিলিক অ্যাসিডের মতো উপাদানযুক্ত একটি হালকা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন, যা তেল উৎপাদন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
এছাড়া ত্বকে ব্যবহৃত ময়েশ্চারাইজারের টেক্সচার সম্পর্কে জানা গুরুত্বপূর্ণ। শুষ্ক ত্বকে ঘন ও ক্রিমি ময়েশ্চারাইজার বেছে নিন। যা বলিরেখা দূর করতে এবং অকাল বার্ধক্য ও বলিরেখার গভীরতা প্রতিরোধে সহায়ক। এবং তৈলাক্ত ত্বকে হালকা, জেলভিত্তিক ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে পারেন। যা ত্বকে তাৎক্ষণিক আর্দ্রতা এনে দেয়, হাইড্রেশন বাড়ায় এবং সূক্ষ্ম রেখা দৃশ্যমানভাবে দূর করে।
ভারী মেকআপ ত্বকের ছিদ্র বন্ধ করে দেয় এবং ত্বককে শুষ্ক ও ‘ডিহাইড্রেটেড’ করে তোলে, বিশেষত রমজানে। তবে বিবি ক্রিম এবং ফাউন্ডেশনের বিকল্প- যেমন : গ্লিসারিন, হায়ালুরোনিক অ্যাসিড এবং অ্যালোভেরার মতো হাইড্রেটিং উপাদান, ত্বককে ময়েশ্চারাইজড এবং উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করবে।
রমজান মাসে ঘন ঘন মুখ ধোয়া থেকে বিরত থাকুন। এতে ত্বকের প্রাকৃতিক তেল সরে গিয়ে ত্বকে শুষ্কতা এবং জ্বালা হতে পারে। বিকল্প হিসাবে একটি হাইড্রেটিং মিস্ট স্প্রে ব্যবহার করতে পারেন।
তথ্যসূত্র : ফেমিনা।