ফাইল ফটো
খিলক্ষেত থানা এলাকায় দৈনিক বণিক বার্তার বিজ্ঞাপন বিভাগের সহকারী ব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর আলম কাওছারকে (৩৮) হত্যার ঘটনায় মৃত্যুদণ্ড সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
গ্রেফতারকৃত আসামির নাম এ এম এম ফয়সাল ওরফে পেডি (৩১)। তিনি দীর্ঘ ০৯ বছর পলাতক ছিলেন। সোমবার রাতে অভিযান চালিয়ে তাকে তুরাগ থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-২।
আজ দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) ও সিনিয়র এএসপি শিহাব করিম।
তিনি জানান, জাহাঙ্গীর আলম কাউছার (৩৮) বণিক বার্তা পত্রিকার বিজ্ঞাপন বিভাগের সহকারী ব্যবস্থাপক হিসাবে কর্মরত ছিলেন। ২০১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর সকালে মোটর বাইকযোগে অফিসের উদ্দেশ্যে বের হন। অফিসের কাজ শেষ করে বাসায় ফেরার সময় হলেও তার বাসায় আসতে দেরি দেখে তার স্ত্রী তার স্বামীর মোবাইলে কল করলে ফোন বন্ধ পান। পরে তার অফিসসহ আত্মীয় স্বজনদের বাসায় যোগাযোগ করেন। কোথাও তার সন্ধান না পাওয়ায় তার স্ত্রী তেজগাঁও থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। জিডির তিন দিন পর ১৮ সেপ্টেম্বর সকালে লোক মারফত জানতে পারেন যে, খিলক্ষেতের নামাপাড়া রোডে অজ্ঞাত এক পুরুষ মানুষের লাশ একটি বাড়ির ৫ম তলায় লাগেজের মধ্যে রয়েছে। তার স্ত্রী খিলক্ষেত থানা পুলিশের সহায়তায় বাড়িটির ৫ম তলায় ফ্ল্যাটের রুমের ভেতর লাগেজ থেকে গলায় বৈদ্যুতিক তার প্যাঁচানো ও চোখ গামছা দিয়ে বাঁধা, সারা শরীর ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় তার স্বামীর লাশ শনাক্ত করেন। এ ঘটনায় নিহত জাহাঙ্গীরের স্ত্রী খিলক্ষেত থানায় এ এম এম ফয়সাল ওরফে পেডিকে প্রধান আসামি ও আর তিনচার জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি হত্যা মামলা করে।
তিনি আরও জানান, সেই মামলার পর থেকেই আসামি পলাতক ছিলেন। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলার তদন্ত শেষে এ এম এম ফয়সাল পেডির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেন। আদালত বিচারকার্য শেষে তার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড দেন। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর থেকে পেডি দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে ছিল। সোমবার সন্ধ্যায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।