পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ডাকা ধর্মঘটে সিরাজগঞ্জ-রাজশাহী রুটে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
রাজশাহী বিভাগের আট জেলায় ১০ দফা দাবিতে আজ(১ ডিসেম্বর) ভোর ৬টা থেকে অনির্দিষ্টকালের এ পরিবহন ধর্মঘট চলছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে রাজশাহীমুখী যাত্রীরা।
এদিকে, আগামী ৩ ডিসেম্বর রাজশাহীতে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশকে কেন্দ্র করে এ পরিবহন ধর্মঘট ডাকা হয়েছে দাবি বিএনপির।
সিরাজগঞ্জ শহর থেকে রাজশাহীর উদ্দেশ্যে বের হওয়া ছানোয়ার হোসেন বলেন, এক আত্মীয়ের অসুস্থতার খবর শুনে রাজশাহী যাবো বলে বাসা থেকে বের হয়েছিলাম। কিন্তু কোনো পরিবহন না পাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছি।
কাউসার নামে আরেক যাত্রী সিরাজগঞ্জ থেকে বগুড়া যাবেন। কিন্তু পরিবহন ধর্মঘট থাকায় তিনি আর যেতে পারছেন না। ভোগান্তিতে পড়ে দেশের রাজনীতি ব্যবস্থাকে দোষারোপ করেন তিনি। এমন ভোগান্তির কথা জানান পাবনার যাত্রী মনির হোসেনও।
এদিকে, সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু অভিযোগ করে বলেন, ‘আগামী ৩ ডিসেম্বর বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় জনসভাকে কেন্দ্র করে এ নাটকীয় ধর্মঘটের আয়োজন করেছে আওয়ামী লীগ। এমন নাটক জনগণের কাছে হাস্যকর ছাড়া কিছুই নয়। শুধু তাই নয়, এ সমাবেশকে কেন্দ্র করে জেলার প্রতিটি থানায় নিজেরাই ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আমাদের প্রায় দেড় হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।
তবে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ তালুকদার বিএনপির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ১০ দফা দাবিতে পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ এ ধর্মঘট ডেকেছে। এটা আওয়ামী লীগের কোনো বিষয় নয়। আর বিএনপির বিরুদ্ধে যে মামলাগুলো হয়েছে, তার প্রত্যেকটি মামলা আওয়ামী লীগ অফিস ভাঙচুর ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায়।
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ জেলা বাস, মিনিবাস ও কোচ মালিক সমিতির সভাপতি মেজবাহুল ইসলাম লিটন বলেন, মহাসড়কে নছিমন, করিমন, ভটভটিসহ অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধসহ ১০ দফা দাবিতে সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। এসময়ের মধ্যে আমাদের দাবি পূরণ হয়নি। এ কারণে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে।