সবজি চড়া, বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে গরু-মুরগি-ডিম

ফাইল ছবি

 

রমজানের আগেই বেড়েছে সবজির দাম। বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে গরু-মুরগির মাংস ও ডিম। ব্রয়লার মুরগি গত সপ্তাহের মতোই ২৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। তবে পাকিস্তানি কক ও দেশি মুরগির দাম কিছুটা বেড়েছে। রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে গতকাল এসব চিত্র দেখা গেছে।

 

রায়েরবাগ বাজারে দেখা যায়, প্রতি কেজি শসা বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়। লম্বা ও গোল বেগুন কেজি ৮০ টাকা। টমেটো ৪০ টাকা কেজি। শিম ৪০-৫০, করলা ১০০, চিচিঙ্গা ৮০, পটোল ৮০, ঢেঁড়স ১০০, কচুর লতি ১০০, পেঁপে ৩০-৪০, বরবটি ১২০ ও ধুন্দুল ৫০-৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা। আকার ভেদে লাউ ৫০-৬০, চাল কুমড়া প্রতিটি ৫০-৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা কলার হালি ৪০ টাকা। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। সবজি বিক্রেতা কাসেম আহমেদ বলেন, কিছু সবজির দাম বেড়েছে। রোজার আগে সবজির দাম আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বাজারে ব্রয়লার মুরগির কেজি ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা। যা গত সপ্তাহে ছিল ২৫০ টাকা। সোনালি মুরগির কেজি ৩৫০ টাকা। লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ২৯০ টাকা কেজি। মুরগি বিক্রেতা আবদুল আলিম বলেন, জীবনে কখনো ব্রয়লার মুরগি ২৫০ টাকা কেজি বিক্রি করিনি। দাম বাড়ার মূল কারণ সিন্ডিকেট। সিন্ডিকেটের কারণে রোজায় মুরগির দাম আরও বাড়তে পারে। বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস। গরুর মাংসের দাম প্রতি কেজি ৭২০ থেকে ৭৫০ টাকা।

 

খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১০৫০-১১০০ টাকা কেজি। মাংস বিক্রেতা মো. মাহাতাব উদ্দিন বলেন, গরুর মাংস ৭৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ঈদের আগে আর দাম বাড়ার সম্ভাবনা নেই। তবে অন্য বাজারে আরও বেশি দামে বিক্রি হওয়ার কথা শুনেছি।

 

শনিরআখড়া বাজারে আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে পিঁয়াজ। প্রতি কেজি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। বড় রসুন ১৩০-১৪০ টাকা কেজি। ছোট রসুন ১২০-১৩০ টাকা কেজি। আদা ১৪০ থেকে ১৬০, চায়না আদা ২২০, আলু ২৫ থেকে ৩০, খোলা চিনি ১১৫ থেকে ১২০, দেশি মসুর ডাল ১৪০, ইন্ডিয়ান মসুর ডাল ১২০-১২৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। খোলা আটা কেজি ৬০ ও প্যাকেট আটা ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা আগে ছিল ৭০ টাকা। সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে প্রতি লিটার ১৮৭ টাকা। লবণ ৩৮-৪০ টাকা কেজি। ফার্মের মুরগির ডিম প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। হাঁসের ডিম ১৮০-১৯০ ও দেশি মুরগির ডিম ডজন ১৯০-২০০ টাকা। ডিম বিক্রেতা মালেক হোসেন বলেন, ফার্মের মুরগির ডিমের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। পাড়া-মহল্লার দোকানে একটু বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। রোজায় ডিমের দাম বাড়ার সম্ভাবনা নেই।  সূএ: বাংলাদেশ প্রতিদিন

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» আজকের খেলা

» অধিকার আদায়ে শেরে বাংলার অবদান কখনোই ভুলবার নয়: ফখরুল

» বিশেষ অভিযান চালিয়ে মাদকবিরোধী অভিযানে বিক্রি ও সেবনের অপরাধে ৩৯ জন গ্রেপ্তার

» সরবরাহ থাকলেও কমছে না সবজির দাম, অস্বস্তি মাছ-মাংসের বাজারে

» ভারী বৃষ্টিপাতের পর তানজানিয়ায় বন্যা-ভূমিধস, নিহত অন্তত ১৫৫

» ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা শুরু

» সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২

» নদীতে ৪ নৌ চাঁদাবাজ আটক

» থাইল্যান্ডের রাজা-রাণীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ

» আজ শুক্রবার রাজধানীর যেসব এলাকা-মার্কেট বন্ধ

উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

সবজি চড়া, বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে গরু-মুরগি-ডিম

ফাইল ছবি

 

রমজানের আগেই বেড়েছে সবজির দাম। বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে গরু-মুরগির মাংস ও ডিম। ব্রয়লার মুরগি গত সপ্তাহের মতোই ২৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। তবে পাকিস্তানি কক ও দেশি মুরগির দাম কিছুটা বেড়েছে। রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে গতকাল এসব চিত্র দেখা গেছে।

 

রায়েরবাগ বাজারে দেখা যায়, প্রতি কেজি শসা বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়। লম্বা ও গোল বেগুন কেজি ৮০ টাকা। টমেটো ৪০ টাকা কেজি। শিম ৪০-৫০, করলা ১০০, চিচিঙ্গা ৮০, পটোল ৮০, ঢেঁড়স ১০০, কচুর লতি ১০০, পেঁপে ৩০-৪০, বরবটি ১২০ ও ধুন্দুল ৫০-৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা। আকার ভেদে লাউ ৫০-৬০, চাল কুমড়া প্রতিটি ৫০-৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা কলার হালি ৪০ টাকা। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। সবজি বিক্রেতা কাসেম আহমেদ বলেন, কিছু সবজির দাম বেড়েছে। রোজার আগে সবজির দাম আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বাজারে ব্রয়লার মুরগির কেজি ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা। যা গত সপ্তাহে ছিল ২৫০ টাকা। সোনালি মুরগির কেজি ৩৫০ টাকা। লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ২৯০ টাকা কেজি। মুরগি বিক্রেতা আবদুল আলিম বলেন, জীবনে কখনো ব্রয়লার মুরগি ২৫০ টাকা কেজি বিক্রি করিনি। দাম বাড়ার মূল কারণ সিন্ডিকেট। সিন্ডিকেটের কারণে রোজায় মুরগির দাম আরও বাড়তে পারে। বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস। গরুর মাংসের দাম প্রতি কেজি ৭২০ থেকে ৭৫০ টাকা।

 

খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১০৫০-১১০০ টাকা কেজি। মাংস বিক্রেতা মো. মাহাতাব উদ্দিন বলেন, গরুর মাংস ৭৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ঈদের আগে আর দাম বাড়ার সম্ভাবনা নেই। তবে অন্য বাজারে আরও বেশি দামে বিক্রি হওয়ার কথা শুনেছি।

 

শনিরআখড়া বাজারে আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে পিঁয়াজ। প্রতি কেজি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। বড় রসুন ১৩০-১৪০ টাকা কেজি। ছোট রসুন ১২০-১৩০ টাকা কেজি। আদা ১৪০ থেকে ১৬০, চায়না আদা ২২০, আলু ২৫ থেকে ৩০, খোলা চিনি ১১৫ থেকে ১২০, দেশি মসুর ডাল ১৪০, ইন্ডিয়ান মসুর ডাল ১২০-১২৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। খোলা আটা কেজি ৬০ ও প্যাকেট আটা ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা আগে ছিল ৭০ টাকা। সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে প্রতি লিটার ১৮৭ টাকা। লবণ ৩৮-৪০ টাকা কেজি। ফার্মের মুরগির ডিম প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। হাঁসের ডিম ১৮০-১৯০ ও দেশি মুরগির ডিম ডজন ১৯০-২০০ টাকা। ডিম বিক্রেতা মালেক হোসেন বলেন, ফার্মের মুরগির ডিমের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। পাড়া-মহল্লার দোকানে একটু বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। রোজায় ডিমের দাম বাড়ার সম্ভাবনা নেই।  সূএ: বাংলাদেশ প্রতিদিন

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com