সন্তান প্রসবের পরে যৌনমিলনে অনিচ্ছা তৈরি হওয়া অস্বাভাবিক নয়। এটা স্বামীকে বুঝতে হবে। তাছাড়া, সন্তান প্রসবের পর বেশ কিছুদিন পর্যন্ত ব্লিডিং চলে। অনেকের মনেই প্রশ্ন থাকে, ব্লিডিং চলাকালে সহবাস করা ঠিক কিনা?
চিকিৎসকেরা বলছেন, এ সময় মায়ের শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন আসে। ব্লিডিং চলাকালে শারীরিক সম্পর্কে না যাওয়াই ভালো। ব্লিডিং বন্ধ হয়ে গেলে আর কোনো বাধা নেই।
অনেকের ধারণা ব্রেস্ট ফিড করালে জন্মনিয়ন্ত্রণের প্রয়োজন পড়ে না। এটি পুরোপুরি ভুল ধারণা। সহবাস করলে অবশ্যই জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করতে হবে। সিজ়ারিয়ান ডেলিভারিতে যৌনজীবনে কিছু সমস্যা আসতে পারে। লুব্রিকেশন কম হওয়ার কারণে চিকিৎসকেরা অনেক সময়ে লুব্রিক্যান্ট জেল ব্যবহারের পরামর্শ দেন।
তবে এগুলির কোনো কিছুই জটিল সমস্যা নয়। কিছু দিনের মধ্যেই দেখবেন সবকিছু আগের মতো স্বাভাবিক হয়ে আসবে।
মায়ের জন্য প্রয়োজন ব্যালেন্সড ডায়েট :ব্রেস্ট ফিডিংয়ের জন্য মায়ের শরীরে পুষ্টি দরকার। ভিটামিন ডি, ক্যালসিয়াম দরকার পড়ে এই সময়ে। হালকা রোদ গায়ে লাগানো যেতে পারে ডেলিভারির পরে মাস দুয়েক চিকিৎসকেরা ফলিক অ্যাসিড, আয়রন ট্যাবলেট খেতে বলেন। এই সময়ে খাদ্যতালিকায় যেন কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিনের ভারসাম্য থাকে। মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, সয়াবিন, ফল, আনাজ থাকা বাঞ্ছনীয় ওজন কমাতে গিয়ে এমন কিছু করবেন না, যা আপনাকে শারীরিক ভাবে আরো দুর্বল করে দেয়
মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন : সন্তানের প্রসবের পর মা যদি সহবাসের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত না থাকেন, তাকে জোর করবেন না। প্রেগন্যান্সির পরে প্রায় এক বছর পর্যন্ত মেয়েদের শরীরে নানা হরমোনের বদল চলে। দুর্বলতা, স্ট্রেস, হঠাৎ করে মেজাজ হারানো, মন খারাপ, যৌন জীবনে অনিচ্ছা দেখা দেয়।
এই পরিস্থিতিতে একজন মায়ের মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন জরুরি।
ঠাণ্ডা মাথায় সিদ্ধান্ত নিন, দুজনে মিলে।
সূএ:ডেইলি বাংলাদেশ