ছবি: সংগৃহীত
সংসারে খরচ কমানোর তাগিদ সবারই থাকে। কারণ সংসার খরচ যত কমানো যাবে, ততোটুকু সঞ্চয় হবে প্রতি মাসে। তাই সঞ্চয় করতে বা স্বাভাবিকভাবে সংসার চালাতে একটু কৌশলী হতে হবে। কিছুটা কৌশল অবলম্বন করলে বেঁচে যেতে পারে অযাচিত খরচ।
খাত বরাদ্দ করে নিন :মাসের শুরুতেই খরচের খাত বরাদ্দ করে নিন। কোন খাতে কত খরচ করবেন বা খরচ করার সামর্থ্য রাখেন, সেটি বিবেচনা করে নোটবুকে খাত হিসাব করে নিতে পারেন। ছেলেমেয়ের পড়াশোনার খরচ, বাড়িভাড়া, বাজারখরচ, যাতায়াত, ওষুধপথ্য, অতিথি-মেহমান ও আনুষঙ্গিক খরচের খাত আগেভাগেই হিসেব করে রাখা যেতে পারে।
কার্ড নয়, নগদ টাকা : কেনাকাটার সময় ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডের পরিবর্তে নগদ টাকা ব্যবহার করুন। কারণ কার্ড ব্যবহারের ফলে ঠিক কতটা খরচ হচ্ছে, সে হিসাব রাখা মুশকিল। কারণ কার্ড ব্যবহারের ফলে অনেক সময় ট্যাক্স বাবদ খুচরা কয়েক টাকা কেট নেয়া হয়। এ খরচগুলো এড়াতে নগদ টাকা ব্যবহার করুন কেনাকাটায়।
বিদ্যুতের অপচয় কমান : ইলেক্ট্রনিক্স যন্ত্রপাতির কারণে সংসার খরচ অনেকাংশেই বেড়ে যায়। তাই যেসব বৈদ্যুতিক যন্ত্রগুলো সচরাচর ব্যবহার করেন না, সেগুলোর বিদ্যুৎসংযোগ বন্ধ রাখুন। এতে বিদ্যুতের অপচয় কমবে। যখন প্রয়োজন হবে; তখনই সংযোগ চালু করুন।
বাইরের চা-কফি ছাড়ুন : নিয়মিত বাইরে কফি পান করলে সেটা বাদ দিতে পারেন। তাহলে আপনার খরচ কমে যাবে। প্রয়োজনে বাসায় কফি বানান। তারপর তা একটি ফ্লাস্কে ভরে কর্মস্থলে নিয়ে যান। আপনি যদি সত্যিই ব্যয় কমাতে চান তাহলে এই অভ্যাসটি খুবই জরুরি। এতে প্রতিমাসে আপনার খরচ কমবে।
সাইকেলে বা হেঁটে কর্মস্থলে যাওয়া : আপনার কর্মস্থল যদি বাসার কাছাকাছি হয়। তাহলে হেঁটে বা সাইকেল চালিয়ে কর্মস্থলে যেতে পারেন। এই অভ্যাস খরচ কমানোর জন্য খুবই কার্যকরী উপায়। আবার একইসঙ্গে আপনার জন্য ব্যায়ামও হয়ে যাবে, আপনি ফিট থাকবেন।
পুরোনো জিনিস বেচে সঞ্চয় করুন : অনেক সময় ঘরের বিভিন্ন আসবাব থেকে শুরু করে অনেক কিছুই পুরোনো হয়ে যায়। বর্তমানে বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন গ্রুপে পুরনো জিনিসপত্র ক্রয়-বিক্রয়ের সুবিধা আছে। চাইলে ঘরের অপ্রয়োজনীয় পুরনো জিনিস বিক্রি করে দিন। এতে কিছুটা টাকা-পয়সাও হাতে আসবে।
বাসার খাবার খাওয়া : আমরা অনেক সময় বাইরের খাবার খাই। কিংবা সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ব্যয়বহুল কোনো রেস্টুরেন্টে খেতে যাই। কিন্তু, কখনো ভেবে দেখেছেন এজন্য প্রতিমাসে আপনাকে অতিরিক্ত কতগুলো টাকা খরচ করতে হয়। তাই এই অভ্যাস এড়িয়ে চলুন। কোনো বিশেষ কিছু খেতে ইচ্ছে হলে চেষ্টা করুন বাসায় রান্না করে খাওয়ার। এতে খরচ সাশ্রয় হবে আবার পরিবারের সবার সঙ্গে সম্পর্কটাও মজবুত হবে।
কয়েন সংগ্রহ : প্রতি মাসেই আমাদের হাতে অনেকগুলো কয়েন আসে। যার কোনো হিসাব থাকে না। এক্ষেত্রে পাত্রে কয়েনগুলো জমাতে পারেন। মাস শেষে কয়েনের পরিমাণ দেখে আপনি হয়তো অবাক হবেন।
বিলাসবহুল সৌন্দর্যপণ্য এড়িয়ে চলুন : ত্বক সুন্দর রাখতে আমরা দামি ক্রিম ব্যবহারে প্রলুব্ধ হয়ে থাকি। বাস্তবে ত্বকের প্রয়োজন হলো একটি ভালো ডায়েট। দরকার প্রচুর পরিমাণে পানি ও হাইড্রেশন। এজন্য ব্যয়বহুল ক্রিমের পরিবর্তে বাদাম বা নারকেল তেল ব্যবহার করুন। এতে ত্বক ভালো থাকবে আবার সংসারের খরচও কমবে। সূএ:ডেইলি-বাংলাদেশ