শৈশবের যে অভ্যাস এখনো ধরে রেখেছেন দীপিকা!

ছবি সংগৃহীত

 

বলা হয়ে থাকে- ‘শৈশব প্রত্যেকটি মানুষের জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়ের একটি অধ্যায়’। পরিণত বয়সে শৈশবের কথা নিয়ে প্রায় সবাই কম-বেশি স্মৃতিচারণ করেন। হারিয়ে যান ফেলে আসা দিনগুলোতে। বলিউড অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোনও শৈশবের স্মৃতি নিয়ে মাঝে মধ্যে কথা বলেন।

 

দীপিকা নাকি কখনোই চুপচাপ বসে থাকতে পারেন না! সবসময় তাকে কিছু না কিছু কাজ করতেই হয়! ছুটির দিন বাড়িতে থাকলেও নাকি সারাদিনই বাড়ির কাজে কেটে যায় এ নায়িকার। তার সংসারে আসতে যাচ্ছে নতুন সদস্য। মা হতে যাচ্ছেন তিনি।

 

এরই মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় দীপিকার পুরনো একটি ক্লিপিংস ভাইরাল হয়েছে। এতে দেখা যাচ্ছে, তিনি নিজের একটি অভ্যাসের কথা অকপটে ভক্ত-অনুরাগীদের জানিয়েছেন।

 

দীপিকার যে ক্লিপিংসটি ভাইরাল হয়েছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে, দীপিকা একটি মঞ্চে দাঁড়িয়ে নিজের একটি অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করছেন। সেখাই দীপিকা বলেছিলেন, ‘আমার ওসিডি রয়েছে।’ এই ওসিডি আসলে একটি চরিত্রের দিক।

 

যাদের ওসিডি থাকে, তাদের মধ্যে খুব গুছিয়ে রাখার প্রবণতা দেখা যায়। এর কারণ তারা ভয় পান যে প্রয়োজনের সময় নাকি তারা বিভিন্ন জিনিস খুঁজে পাবেন না। সব সময় সব জিনিস নিজের মতো করে সাজিয়ে গুছিয়ে রাখার প্রবণতা দেখা যায়। দীপিকার নাকি এই ওসিডি রয়েছে।

এ প্রসঙ্গে দীপিকা বলেন, ‘বাড়িতেও আমার অবসর সময়ে আমি সবসময়েই কিছু না কিছু পরিষ্কার করতে থাকি। এতে আমি ভীষণ মানসিক শান্তি পাই। কখনো চুপ করে বসে থাকতে পারি না। আর এই বাড়ির জিনিস পরিষ্কার করে আমি ভীষণ আনন্দ পাই, শান্তি পাই। এ অভ্যাস আমার শৈশব থেকেই। একটা সময় আমাদের বন্ধুদের মধ্যে খুব স্লিপওভারের চল ছিল। অর্থাৎ সব বন্ধুরা একজনের বাড়িয়ে গিয়ে জমায়েত হবে, রাতে শেখানেই থাকবে। গল্প-আড্ডা হবে। আর সব বন্ধুদের বাড়িতেই আমার আমন্ত্রণ থাকত’।

দীপিকা আরও বলেন, ‘আমি মনে করতাম, আসলে সবাই আমায় খুব ভালোবাসে, তাই প্রত্যেকের বাড়িতে ডাকে। অনেকটা বড় হওয়ার পরে আমি বুঝতে পারি, আসলে আমি যখনই কারও বাড়ি যেতাম, জিনিসপত্র গোছানো শুরু করে দিতাম। তাদের ঘর এমনকি আলমারিও গুছিয়ে দিয়ে আসতাম। সেই কারণেই সবাই আমায় নিজের বাড়িতে আমন্ত্রণ করত। আমি কখনো বুঝিইনি বিষয়টা’। সূএ:জাগোনিউজ২৪.কম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» জুলাই হত্যার স্বচ্ছ বিচার দেখতে চায় ইইউ

» ‌টেকসই উন্নয়নের জন্য কৃষি, প্রাণ-প্রকৃতি ও খাদ্য নিরাপত্তার সমন্বয় জরুরি : উপদেষ্টা রিজওয়ানা

» ঈদুল আজহার তারিখ জানাল আমিরাত

» র‍্যাঙ্কিংয়ে আরও অবনতি বাংলাদেশ দলের

» ইন্টারনেটের ব্যবহার শুধু বিনোদনে নয়, বদল হোক উৎপাদনশীলতায়

» দেশের ছয়টি বিভাগে বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস

» কোটি টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ, কলাবাগান থানার ওসি-এসআই প্রত্যাহার

» হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামিকে কুপিয়ে হত্যা

» বিএনপি কখনো প্রতিহিংসার রাজনীতি করেনি :গয়েশ্বর

» কাতার সফর শেষে দেশে ফিরলেন সেনাবাহিনী প্রধান

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

শৈশবের যে অভ্যাস এখনো ধরে রেখেছেন দীপিকা!

ছবি সংগৃহীত

 

বলা হয়ে থাকে- ‘শৈশব প্রত্যেকটি মানুষের জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়ের একটি অধ্যায়’। পরিণত বয়সে শৈশবের কথা নিয়ে প্রায় সবাই কম-বেশি স্মৃতিচারণ করেন। হারিয়ে যান ফেলে আসা দিনগুলোতে। বলিউড অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোনও শৈশবের স্মৃতি নিয়ে মাঝে মধ্যে কথা বলেন।

 

দীপিকা নাকি কখনোই চুপচাপ বসে থাকতে পারেন না! সবসময় তাকে কিছু না কিছু কাজ করতেই হয়! ছুটির দিন বাড়িতে থাকলেও নাকি সারাদিনই বাড়ির কাজে কেটে যায় এ নায়িকার। তার সংসারে আসতে যাচ্ছে নতুন সদস্য। মা হতে যাচ্ছেন তিনি।

 

এরই মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় দীপিকার পুরনো একটি ক্লিপিংস ভাইরাল হয়েছে। এতে দেখা যাচ্ছে, তিনি নিজের একটি অভ্যাসের কথা অকপটে ভক্ত-অনুরাগীদের জানিয়েছেন।

 

দীপিকার যে ক্লিপিংসটি ভাইরাল হয়েছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে, দীপিকা একটি মঞ্চে দাঁড়িয়ে নিজের একটি অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করছেন। সেখাই দীপিকা বলেছিলেন, ‘আমার ওসিডি রয়েছে।’ এই ওসিডি আসলে একটি চরিত্রের দিক।

 

যাদের ওসিডি থাকে, তাদের মধ্যে খুব গুছিয়ে রাখার প্রবণতা দেখা যায়। এর কারণ তারা ভয় পান যে প্রয়োজনের সময় নাকি তারা বিভিন্ন জিনিস খুঁজে পাবেন না। সব সময় সব জিনিস নিজের মতো করে সাজিয়ে গুছিয়ে রাখার প্রবণতা দেখা যায়। দীপিকার নাকি এই ওসিডি রয়েছে।

এ প্রসঙ্গে দীপিকা বলেন, ‘বাড়িতেও আমার অবসর সময়ে আমি সবসময়েই কিছু না কিছু পরিষ্কার করতে থাকি। এতে আমি ভীষণ মানসিক শান্তি পাই। কখনো চুপ করে বসে থাকতে পারি না। আর এই বাড়ির জিনিস পরিষ্কার করে আমি ভীষণ আনন্দ পাই, শান্তি পাই। এ অভ্যাস আমার শৈশব থেকেই। একটা সময় আমাদের বন্ধুদের মধ্যে খুব স্লিপওভারের চল ছিল। অর্থাৎ সব বন্ধুরা একজনের বাড়িয়ে গিয়ে জমায়েত হবে, রাতে শেখানেই থাকবে। গল্প-আড্ডা হবে। আর সব বন্ধুদের বাড়িতেই আমার আমন্ত্রণ থাকত’।

দীপিকা আরও বলেন, ‘আমি মনে করতাম, আসলে সবাই আমায় খুব ভালোবাসে, তাই প্রত্যেকের বাড়িতে ডাকে। অনেকটা বড় হওয়ার পরে আমি বুঝতে পারি, আসলে আমি যখনই কারও বাড়ি যেতাম, জিনিসপত্র গোছানো শুরু করে দিতাম। তাদের ঘর এমনকি আলমারিও গুছিয়ে দিয়ে আসতাম। সেই কারণেই সবাই আমায় নিজের বাড়িতে আমন্ত্রণ করত। আমি কখনো বুঝিইনি বিষয়টা’। সূএ:জাগোনিউজ২৪.কম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com