শীতের সময় নানা শারীরিক অসুস্থতা দেখা দেয়। ফ্লু তো থাকেই, সেই সঙ্গে শ্বাসকষ্ট, গলাব্যথা মতো সমস্যাও কম নয়। আবার দোসর হিসাবে দেখা দেয় ‘ড্রাই আইজ’ বা শুষ্ক চোখের সমস্যাও।
\
শীতকাল মানেই ত্বকের শুষ্কতার গল্প। ত্বক শুকিয়ে খসখসে হয়ে যায় এই সময়। ত্বকের কোমলতা ফেরাতে ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করা যায়। কিন্তু শুষ্ক চোখের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাড়তি যত্নের প্রয়োজন। শুষ্ক চোখের সমস্যা হলে নানা উপসর্গ দেখা দেয়। চোখ ঝাপসা হয়ে আসে। তীব্র আলোর দিতে তাকানো যায় না। আর কী কী উপসর্গ দেখা দিতে পারে চলুন তবে জেনে নেয়া যাক-
চোখের সামনের দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যাওয়া ‘ড্রাই আইজ’-এর একটি লক্ষণ। শীতকালে এই সমস্যা কুয়াশার কারণে হচ্ছে বলে মনে হতে পারে অনেকেরই। সব সময় কিন্তু তা না-ও হতে পারে।
কোনো কারণ ছাড়াই চোখ থেকে অনবরত পানি পড়ার সমস্যাও ড্রাই আইজের লক্ষণ হতে পারে। চোখ থেকে পানি পড়ার অর্থ হলো ‘টিয়ার ফিল্ম’ চোখকে আর্দ্র রাখতে পারছে না। তাই শুষ্ক চোখকে আর্দ্র রাখতে পানি উৎপাদন করে।
চোখের ক্লান্তিও কিন্তু এর একটি লক্ষণ। চোখে যখন পানি কমে যায়, তখন বার বার পলক ফেলে নিজেকে রক্ষা করার চেষ্টা করে। ফলে চোখে একটা ক্লান্তি আসে।
শীতকালে ‘ড্রাই আইজ’-এর সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে কী কী সুরক্ষা নেবেন?
চোখের পাতায় কোনো ধুলোবালি জমতে দেবেন না। ধুলো থেকেই সংক্রমণ ছড়াতে পারে। সেই কারণে চোখ সব সময় পরিষ্কার রাখা প্রয়োজন। বাইরে থেকে ফিরে ভালো করে চোখ ধুয়ে নিতে হবে। চোখে-মুখে পানি দেওয়ার আগে ভালো করে ত্বক পরিষ্কার করে নিন।
কনট্যাক্ট লেন্স ব্যবহার করেন? সারা দিন পরে থাকলেও কিন্তু এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। চিকিৎসকরা জানান, দিনে পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টার বেশি লেন্স পরে না থাকাই ভালো।
জাঁকিয়ে শীত না পড়লেও ঠান্ডা একটা ভাব রয়েছে। ফলে বাইরে বেরোনোর আগে চোখে একটা চশমা পরে নিতে পারেন। যাতে সরাসরি চোখ বাতাসের সংস্পর্শে না থাকে।
দীর্ঘ সময় কম্পিউটারের পর্দার দিকে তাকিয়ে না থাকাই ভালো। অফিসে থাকলেও মাঝেমাঝে বিরতি নিন। এতে ভালো থাকবে চোখের স্বাস্থ্য।
সারা দিনে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খাওয়া প্রয়োজন। পানি খেলে শরীর আর্দ্র থাকে। এ ছাড়াও তরমুজ, শসা, স্ট্রবেরির মতো পানিযুক্ত ফল বেশি করে খান। এতে শরীরে পানির ঘাটতি তৈরি হবে না। সূত্র: আনন্দবাজার