শিশুর চুলের যত্নে মায়েরা যে ভুল করেন

শিশুদের পোশাক, ত্বক ও স্বাস্থ্যের বিশেষ যত্ন নেওয়া হলেও চুলের যত্ন নেওয়ার বিষয়টি উপেক্ষিত থেকে যায়। কিন্তু বড়দের মতোই শিশুদেরও চুলের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। জন্মের পর থেকে কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত বাচ্চারা ঘুমাতে থাকে। এর ফলে মাথার ত্বক ও চুল নোংরা হয়ে জট পাকিয়ে যেতে পারে। তাই বাচ্চাদের চুলের বিশেষ দেখাশোনা প্রয়োজন।

 

কিছু বাচ্চার মাথায় জন্ম থেকেই কম চুল থাকে। তবে চুলের পরিমাণ যা-ই হোক না-কেন, তা ধোয়া উচিত। এ ক্ষেত্রে মাইল্ড শ্যাম্পু ব্যবহার করলে স্ক্যাল্পের কোমল ত্বকের যত্ন নেওয়া যায়। এর ফলে নবজাতক শিশুরা মাথায় পানির স্পর্শের সঙ্গে পরিচিত হবে।

বাচ্চাদের জন্য বিশেষ ভাবে তৈরি শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন। কারণ বাচ্চাদের চুল বড়দের তুলনায় পাঁচগুণ পাতলা হয়ে থাকে। তাই এমন শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে, যাতে প্যারবিয়েন্স, সালফেট ও ডাই না-থাকে। হাইপোঅ্যালার্জেনিক ও পিএইচ ভারসাম্যযুক্ত এবং ক্লিনিকালি মাইল্ড প্রমাণিত শ্যাম্পু ব্যবহার করা শ্রেয়। এ ধরনের শ্যাম্পু ব্যবহার করে বাচ্চাদের চুল ও মাথা ভালো ভাবে পরিষ্কার করা যায়।

 

চুল ধোয়ার সময় শ্যাম্পু যাতে শিশুর চোখে না চলে যায়, তার জন্য হাত দিয়ে চোখ ঢেকে নেন মায়েরা। এখন বাচ্চাদের শ্যাম্পু চোখ জ্বালা করা, লাল হয়ে যাওয়া ও চুলকানোর সমস্যা হয় না।

 

মাথায় তেল লাগান:বাচ্চাদের স্ক্যাল্পের দেখাশোনার জন্য বেবি হেয়ার অয়েল ব্যবহার করুন। এই তেল দিয়ে তাদের মাথায় আলতো হাতে ম্যাসাজ করুন। তেল তাদের চুলকে মোলায়েম তো রাখবেই, পাশাপাশি বাচ্চাদের আনন্দিত ও সুস্থ রাখতে, গুরুত্বপূর্ণ অনুভূতিকে উত্তেজিত করতেও সাহায্য করে।

 

প্রথমে বাচ্চাদের মাথার মাঝের অংশে তেল দিয়ে সামান্য জোর দিয়ে চেপে চেপে তেল বসান। তার পর পুরো মাথায় তেল লাগিয়ে দিন। তেল মালিশের সময় বাচ্চারা শান্ত হয়ে ঘুমিয়েও পড়ে।

বাচ্চাদের জন্য হালকা কোনও তেলই নির্বাচন করবেন। বাচ্চাদের মাথায় হালকা ও নন স্টিকি তেল ব্যবহার করা অধিক উপযোগী। এখন এমন কিছু বেবি হেয়ার অয়েল পাওয়া যায়, যাতে অ্যাভাকাডো, প্রো ভিটামিন বি৫ থাকে। এ ধরনের তেল বাচ্চাদের চুলকে মোলায়েম করে ও সুস্থ রাখে।

 

স্নানের আগে বাচ্চাদের মাথায় তেল লাগিয়ে নিন। আবার তাদের মাথার ত্বক ও চুল শুকিয়ে গেলে বা রুক্ষ্ম মনে হলে তেল লাগাতে হবে।

 

চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ান: বাচ্চাদের চুল ঘন ও কোকরানো হলে তাতে জট ধরতে পারে। এ জট কম করার জন্য দিনে অন্তত এক বার বড় ও নরম দাঁতযুক্ত চিরুনি ব্যবহার করে চুল আঁচড়ান। কোমল ভাবে চুলে চিরুনি করবেন। কারণ বাচ্চাদের ত্বক সংবেদনশীল হওয়ায় চিরুনির দ্বারা আঘাত পেতে পারে। ,

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ইন্টারন্যাশনাল ডিজ্যাবিলিটি আর্ট ফেস্টিভ্যাল শুরু

» তীব্র গরমে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করলেন ইউএনও

» লালমনিরহাটে হিট স্ট্রোকে অটোচালকের মৃত্যু

» ইউএনওর ফোন নম্বর ক্লোন করে প্রার্থীদের সাথে প্রতারণার চেষ্টা

» দেশ ও জনগণের জন্য কাজ করুন, আ.লীগ নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী

» প্রতিক্রিয়াশীল চক্র গণতন্ত্রবিরোধী অপপ্রচার চালাচ্ছে : পরশ

» আগামীকাল ১২ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়

» বন্দনা করা ছাড়া জাপার কোনো রাজনীতি নেই: ফিরোজ রশিদ

» বাংলাদেশের উন্নয়নে পাকিস্তান প্রশংসা করে অথচ বিরোধী দল দেখে না: কাদের

» থাই পিএমও-তে প্রধানমন্ত্রীকে উষ্ণ আন্তরিক অভ্যর্থনা

উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

শিশুর চুলের যত্নে মায়েরা যে ভুল করেন

শিশুদের পোশাক, ত্বক ও স্বাস্থ্যের বিশেষ যত্ন নেওয়া হলেও চুলের যত্ন নেওয়ার বিষয়টি উপেক্ষিত থেকে যায়। কিন্তু বড়দের মতোই শিশুদেরও চুলের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। জন্মের পর থেকে কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত বাচ্চারা ঘুমাতে থাকে। এর ফলে মাথার ত্বক ও চুল নোংরা হয়ে জট পাকিয়ে যেতে পারে। তাই বাচ্চাদের চুলের বিশেষ দেখাশোনা প্রয়োজন।

 

কিছু বাচ্চার মাথায় জন্ম থেকেই কম চুল থাকে। তবে চুলের পরিমাণ যা-ই হোক না-কেন, তা ধোয়া উচিত। এ ক্ষেত্রে মাইল্ড শ্যাম্পু ব্যবহার করলে স্ক্যাল্পের কোমল ত্বকের যত্ন নেওয়া যায়। এর ফলে নবজাতক শিশুরা মাথায় পানির স্পর্শের সঙ্গে পরিচিত হবে।

বাচ্চাদের জন্য বিশেষ ভাবে তৈরি শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন। কারণ বাচ্চাদের চুল বড়দের তুলনায় পাঁচগুণ পাতলা হয়ে থাকে। তাই এমন শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে, যাতে প্যারবিয়েন্স, সালফেট ও ডাই না-থাকে। হাইপোঅ্যালার্জেনিক ও পিএইচ ভারসাম্যযুক্ত এবং ক্লিনিকালি মাইল্ড প্রমাণিত শ্যাম্পু ব্যবহার করা শ্রেয়। এ ধরনের শ্যাম্পু ব্যবহার করে বাচ্চাদের চুল ও মাথা ভালো ভাবে পরিষ্কার করা যায়।

 

চুল ধোয়ার সময় শ্যাম্পু যাতে শিশুর চোখে না চলে যায়, তার জন্য হাত দিয়ে চোখ ঢেকে নেন মায়েরা। এখন বাচ্চাদের শ্যাম্পু চোখ জ্বালা করা, লাল হয়ে যাওয়া ও চুলকানোর সমস্যা হয় না।

 

মাথায় তেল লাগান:বাচ্চাদের স্ক্যাল্পের দেখাশোনার জন্য বেবি হেয়ার অয়েল ব্যবহার করুন। এই তেল দিয়ে তাদের মাথায় আলতো হাতে ম্যাসাজ করুন। তেল তাদের চুলকে মোলায়েম তো রাখবেই, পাশাপাশি বাচ্চাদের আনন্দিত ও সুস্থ রাখতে, গুরুত্বপূর্ণ অনুভূতিকে উত্তেজিত করতেও সাহায্য করে।

 

প্রথমে বাচ্চাদের মাথার মাঝের অংশে তেল দিয়ে সামান্য জোর দিয়ে চেপে চেপে তেল বসান। তার পর পুরো মাথায় তেল লাগিয়ে দিন। তেল মালিশের সময় বাচ্চারা শান্ত হয়ে ঘুমিয়েও পড়ে।

বাচ্চাদের জন্য হালকা কোনও তেলই নির্বাচন করবেন। বাচ্চাদের মাথায় হালকা ও নন স্টিকি তেল ব্যবহার করা অধিক উপযোগী। এখন এমন কিছু বেবি হেয়ার অয়েল পাওয়া যায়, যাতে অ্যাভাকাডো, প্রো ভিটামিন বি৫ থাকে। এ ধরনের তেল বাচ্চাদের চুলকে মোলায়েম করে ও সুস্থ রাখে।

 

স্নানের আগে বাচ্চাদের মাথায় তেল লাগিয়ে নিন। আবার তাদের মাথার ত্বক ও চুল শুকিয়ে গেলে বা রুক্ষ্ম মনে হলে তেল লাগাতে হবে।

 

চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ান: বাচ্চাদের চুল ঘন ও কোকরানো হলে তাতে জট ধরতে পারে। এ জট কম করার জন্য দিনে অন্তত এক বার বড় ও নরম দাঁতযুক্ত চিরুনি ব্যবহার করে চুল আঁচড়ান। কোমল ভাবে চুলে চিরুনি করবেন। কারণ বাচ্চাদের ত্বক সংবেদনশীল হওয়ায় চিরুনির দ্বারা আঘাত পেতে পারে। ,

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com