রোজা রেখে কী করা যাবে, কি করা যাবে না

সংগৃহীত ছবি

 

শরিয়তে এমন কিছু কাজ রয়েছে, যা রোজার দিন ছাড়া বৈধ, কিন্তু রোজা পালনরত অবস্থায় সেগুলো করা যায় না। যেমন—ইচ্ছাকৃতভাবে পানাহার ও স্ত্রীসম্ভোগ। এর দ্বারা রোজা ভেঙে যায়। সুরা বাকারার ১৮৭ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘তোমরা সুবহে সাদিকের আগ পর্যন্ত পানাহার করো, অতঃপর রাত আসার আগ পর্যন্ত রোজা পালন করো। মসজিদে যখন তোমরা এতেকাফ অবস্থায় থাকবে, তখন নারীসম্ভোগ থেকে বিরত থাকবে।

 

রমজানের রোজা মুসলমানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। তাই এই রোজা হতে হবে ত্রুটিমুক্ত। অনেকেই জানে না যে, রোজা রেখে কী কী কাজ করা যাবে কিংবা কী করা যাবে না।

রোজা রেখে যা যা করা যাবে: রোজা রেখে চুল, নখ ও শরীরের অবাঞ্ছিত লোম কাটা যাবে। হাতে-পায়ে, মুখে-শরীরে তেল, ক্রিম কিংবা ভ্যাসলিন দেওয়া যাবে। ঠোঁটে লিপস্টিক ও ভ্যাসলিন দেওয়া যাবে (যদি মুখের ভেতরে না যায়)।

 

টুথপেস্ট ব্যবহার করে ব্রাশ করা যাবে। তবে সতর্ক থাকতে হবে যেন টুথপেস্টের স্বাদ গলার ভেতরে না যায়, গেলে রোজা ভেঙে যাবে তাই সতর্কতা হচ্ছে, রোজা অবস্থায় পেস্ট দিয়ে ব্রাশ না করে মিসওয়াক করা।

 

রোজা রেখে চোখে কাজল, সুরমা, আইলাইনার ও ড্রপ দেওয়া যাবে। গায়ে আতর, সেন্ট, বডি স্প্রে ও পাউডার দেওয়া যাবে (তবে এর কোনো ছিটা যেন মুখে না যায়)।

 

মুখে অক্সিজেন নেওয়া যাবে (তবে অন্য মেডিসিন, দৃশ্যমান কিংবা তরল- মেশানো থাকলে নেওয়া যাবে না)। জরুরি প্রয়োজনে ইঞ্জেকশন দেওয়া যাবে। থুথু গেলা যাবে। অজুর কুলির পর মুখ ঝেড়ে পানি ফেলার পর মুখে থুথুর সঙ্গে যা থাকে তা গেলা যাবে।

 

জিহ্বার আগা দিয়ে খাবারের স্বাদ নেওয়া যাবে (তবে না গিলে তা ফেলে দিতে হবে)।

রোজা রেখে যা যা করা যাবে না: ইচ্ছাকৃতভাবে কিছু খাওয়া যাবে না, ফরজ গোসল করার সময় গড়গড়া ও নাকের একদম ভেতরে পানি পৌঁছানো যাবে না (স্বাভাবিকভাবে কুলি ও নাক পরিষ্কার করবে), সিগারেট-বিড়ি-হুক্কা টানা যাবে না, স্বামী-স্ত্রী সহবাস করা যাবে না।

 

রোজা রাখা অবস্থায় মুখ দ্বারা ওষুধ সেবন করা যাবে না। অনুরূপভাবে কান, নাক ও মলদার দ্বারাও ওষুধ ব্যবহার করা যাবে না। এতে রোজা ভেঙে যায়।

দিনের বেলায় হিজামা বা সিঙ্গা লাগানো যাবে না। কেউ ইচ্ছা করে বমি করলে রোজা ভেঙে যাবে। কেউ যদি হস্তমৈথুন করে, আর তাতে বীর্জপাত হয় তাতে রোজা ভেঙে যাবে।  সূএ:বিডি২৪লাইভ ডট কম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» জামালপুরে ডিবির অভিযানে গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক

» শাওমি নিয়ে এলো ১০ কোটি টাকার ঈদ ক্যাম্পেইন

» গ্রামীণফোনের লিমিটলেস ইন্টারনেট প্যাকে ১০% ছাড়

» ব্র্যাক ব্যাংক আস্থা: ৯ লাখ গ্রাহকের স্মার্ট ব্যাংকিং অভিজ্ঞতায় অনন্য যে প্ল্যাটফর্ম

» দিনাজপুরের বিরল উপজেলায় কৃষকদের জন্য কৃষি ঋণ বিতরণ ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করে প্রাইম ব্যাংক

» স্কুলে অগ্নি নিরাপত্তা প্রশিক্ষণ আয়োজন করলো এনার্জিপ্যাক

» নওগাঁর মহাদেবপুরে আওয়ামীলীগের ৩ নেতা-কর্মী আটক

» নওগাঁর নিয়ামতপুরে ভাতিজার হাতে চাচা খুন

» বিক্রয়-এর নতুন উদ্যোগ – মোটরগাইড বাংলাদেশ

» আমরা ও একদিন মরে যাবো! হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

রোজা রেখে কী করা যাবে, কি করা যাবে না

সংগৃহীত ছবি

 

শরিয়তে এমন কিছু কাজ রয়েছে, যা রোজার দিন ছাড়া বৈধ, কিন্তু রোজা পালনরত অবস্থায় সেগুলো করা যায় না। যেমন—ইচ্ছাকৃতভাবে পানাহার ও স্ত্রীসম্ভোগ। এর দ্বারা রোজা ভেঙে যায়। সুরা বাকারার ১৮৭ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘তোমরা সুবহে সাদিকের আগ পর্যন্ত পানাহার করো, অতঃপর রাত আসার আগ পর্যন্ত রোজা পালন করো। মসজিদে যখন তোমরা এতেকাফ অবস্থায় থাকবে, তখন নারীসম্ভোগ থেকে বিরত থাকবে।

 

রমজানের রোজা মুসলমানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। তাই এই রোজা হতে হবে ত্রুটিমুক্ত। অনেকেই জানে না যে, রোজা রেখে কী কী কাজ করা যাবে কিংবা কী করা যাবে না।

রোজা রেখে যা যা করা যাবে: রোজা রেখে চুল, নখ ও শরীরের অবাঞ্ছিত লোম কাটা যাবে। হাতে-পায়ে, মুখে-শরীরে তেল, ক্রিম কিংবা ভ্যাসলিন দেওয়া যাবে। ঠোঁটে লিপস্টিক ও ভ্যাসলিন দেওয়া যাবে (যদি মুখের ভেতরে না যায়)।

 

টুথপেস্ট ব্যবহার করে ব্রাশ করা যাবে। তবে সতর্ক থাকতে হবে যেন টুথপেস্টের স্বাদ গলার ভেতরে না যায়, গেলে রোজা ভেঙে যাবে তাই সতর্কতা হচ্ছে, রোজা অবস্থায় পেস্ট দিয়ে ব্রাশ না করে মিসওয়াক করা।

 

রোজা রেখে চোখে কাজল, সুরমা, আইলাইনার ও ড্রপ দেওয়া যাবে। গায়ে আতর, সেন্ট, বডি স্প্রে ও পাউডার দেওয়া যাবে (তবে এর কোনো ছিটা যেন মুখে না যায়)।

 

মুখে অক্সিজেন নেওয়া যাবে (তবে অন্য মেডিসিন, দৃশ্যমান কিংবা তরল- মেশানো থাকলে নেওয়া যাবে না)। জরুরি প্রয়োজনে ইঞ্জেকশন দেওয়া যাবে। থুথু গেলা যাবে। অজুর কুলির পর মুখ ঝেড়ে পানি ফেলার পর মুখে থুথুর সঙ্গে যা থাকে তা গেলা যাবে।

 

জিহ্বার আগা দিয়ে খাবারের স্বাদ নেওয়া যাবে (তবে না গিলে তা ফেলে দিতে হবে)।

রোজা রেখে যা যা করা যাবে না: ইচ্ছাকৃতভাবে কিছু খাওয়া যাবে না, ফরজ গোসল করার সময় গড়গড়া ও নাকের একদম ভেতরে পানি পৌঁছানো যাবে না (স্বাভাবিকভাবে কুলি ও নাক পরিষ্কার করবে), সিগারেট-বিড়ি-হুক্কা টানা যাবে না, স্বামী-স্ত্রী সহবাস করা যাবে না।

 

রোজা রাখা অবস্থায় মুখ দ্বারা ওষুধ সেবন করা যাবে না। অনুরূপভাবে কান, নাক ও মলদার দ্বারাও ওষুধ ব্যবহার করা যাবে না। এতে রোজা ভেঙে যায়।

দিনের বেলায় হিজামা বা সিঙ্গা লাগানো যাবে না। কেউ ইচ্ছা করে বমি করলে রোজা ভেঙে যাবে। কেউ যদি হস্তমৈথুন করে, আর তাতে বীর্জপাত হয় তাতে রোজা ভেঙে যাবে।  সূএ:বিডি২৪লাইভ ডট কম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com