শীতকালে অনেকেই রুম হিটার বা ব্লোয়ার চালিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। কয়েক মিনিটে ঘর গরম হয়ে যায় ঠিকই। কিন্তু শরীরের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। দীর্ঘদিন টানা ব্যবহার করলে বিপদের সম্ভাবনাও থাকে। তাই রুম হিটার ব্যবহারের সময় কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি।
রুম হিটার খোলাই পড়ে থাকে। ধুলা, ময়লা পড়ে। অবশ্য ঢেকে রাখলেও ধুলা, ময়লা আটকানো যায় না। তাই ব্যবহারের আগে ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিন। নাহলে হিটার চালালে দুর্গন্ধ ছড়াতে পারে।
বন্ধ ঘরে দীর্ঘক্ষণ রুম হিটার চালিয়ে রাখতে নেই। ব্লোয়ারের ক্ষেত্রেও একই কথা। হিটার যখন চলে কার্বন মনোঅক্সাইড গ্যাস তৈরি হয়। পুরো ঘরে তা ছড়িয়ে পড়ে। এই গ্যাসের কোনো গন্ধ নেই, কিন্তু বিষাক্ত। দরজা-জানলা বন্ধ থাকলে অক্সিজেনের অভাব হতে পারে। ফলে শ্বাসকষ্ট দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
হিটার চালানোর সময় যেন ঘরের সব দরজা-জানলা বন্ধ না থাকে। ঘরে যেন তাজা বাতাস ঢুকতে পারে। বায়ু চলাচলের যথেষ্ট জায়গা রাখা প্রয়োজন। তাই হিটার চালানোর সময় জানালাগুলো অল্প খুলে রাখার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
দিন হোক বা রাত, রুম হিটার চালিয়ে ঘুমনো উচিত নয়। ঘুমানোর ঘণ্টাখানেক আগে হিটার চালালেই যথেষ্ট। ঘর গরম হতে বেশিক্ষন লাগে না। শুতে যাওয়ার আগে হিটার বন্ধ করে দিতে হবে।
হিটারের আশপাশে প্লাস্টিকের ব্যাগ, কাগজ, কাপড় বা দাহ্য পদার্থ রাখবেন না। আগুন লেগে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই হিটার চালানোর সময় এই বিষয়টা মাথায় রাখতে হবে।
বাড়িতে শ্বাসকষ্টের রোগী থাকলে সেই ঘরে হিটার না চালানোই ভালো। কারণ কার্বন মনোঅক্সাইড গ্যাস এ ধরনের রোগীদের জন্য ক্ষতিকারক।