রুনা খানের পর সম্পত্তি ভাগ নিয়ে মুখ খুললেন দিতিকন্যা

সংগৃহীত ছবি

 

বিনোদন ডেস্ক :পৈত্রিক সম্পত্তি ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে মাঝে মাঝেই ভাই-বোনের মাঝে বিবাদের খবর শোনা যায়। বিখ্যাত ব্যক্তিদেরও পোহাতে হয় এই ঝাক্কি। তবে পৈত্রিক সম্পত্তি ভাগের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী নজীর সৃষ্টি করেছন অভিনেত্রী রুনা খানের ভাই।

 

দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী বাবার সম্পত্তিতে কন্যা সন্তানের ভাগ পুত্র সন্তানের অর্ধেক। তবে সে পথে না হেঁটে বাবার সম্পত্তি দুই ভাই বোনের মধ্যে সমান ভাগ করেছেন। সামাজিক মাধ্যমে বিষয়টি ভাগ করে নিয়েছেন রুনা খান।

এরইমধ্যে দারুণ প্রশংসিত হয়েছে রুনার ভাইয়ের পদক্ষেপ। এবার সম্পত্তির বিষয়ে কথা বললেন নন্দিত চিত্রনায়িকা দিতি ও অকাল প্রয়াত চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরীর কন্যা লামিয়া চৌধুরী। জানালেন তাদের দুই ভাই বোনের ক্ষেত্রেও কোনো বৈষম্য করেননি দিতি-সোহেল চৌধুরী।

 

নিজের ফেসবুকে দিতিকন্যা লিখেছেন, এটাই তো স্বাভাবিক হওয়া উচিত। আমার আর আমার ভাইয়ের মধ্যেও সব সমান সমান। আমাদের বাবা-মা এটাই চেয়েছেন। আর আমাদের এভাবেই বড় করা হয়েছে।

 

এরপর লেখেন, দুর্ভাগ্যবশত আইন আমাদের মনে করিয়ে দেয় আমরা সমান না। আর শুধু শুধু সবকিছু জটিল করে আমাদের সময় নষ্ট করে। বাড়তি সময় ও কাগজপত্র নষ্ট। যেখানে মা স্পষ্ট বলে গেছেন যে আমরা সমান। আর এগুলো আমিই দেশে থেকে দেখভাল করি। অথচ আমারই এরকম শুনতে হয় যে আমার মূল্যায়ন অর্ধেক। এসব ঠিক না।

 

আরও লিখেছেন, ইসলাম ন্যায্য ও ন্যায়সঙ্গত। এই আইনের পেছনে যৌক্তিক কারণ আছে। কিন্তু আগের সমাজ ও এখনকার সমাজ এক না। আগেকার দিনে নারীদের কম দেওয়া হতো কারণ বিবাহিতার ব্যয় স্বামী বহন করত। আর অবিবাহিতাদের খরচ ভাই বহন করত। এখন এরকম হয় না। মেয়েরা এখন ভাইদের ওপর নির্ভরশীল না। আমি অবিবাহিত বলে আমার অর্থনৈতিক দায়িত্ব আমার ভাইয়ের না। বরং এখন স্ত্রী/বোনেরা সংসারের খরচভ ভাগ করে নেয়। তাহলে কেন এখনও এই বৈষম্য অব্যাহত? এ ধরনের আইনগুলো সংস্কার করা উচিত এবং অন্ততপক্ষে এমন পরিবারগুলোতে বাধ্যতামূলক করা উচিত নয় যারা এই বৈষম্যের একমত না।

সবশেষে লামিয়া লেখেন, বাবা-মা অনেক কষ্ট করে আমাদের সমান করে বড় করেছেন। ভাইও আমাকে সমানই ভাবে। শুধু আপনারা আমাকে ছোট করছেন। এসব বন্ধ করেন।  সূএ: ঢাকা মেইল ডটকম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» নারী বিশ্বকাপের মূলপর্বে বাংলাদেশ

» বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলকে বিএনপির শুভেচ্ছা

» আবাসিকে নতুন গ্যাস সংযোগের বিষয়ে তিতাসের সতর্কবার্তা

» জুলাই আন্দোলন দমাতে ব্যবহৃত হয় শুটিং ফেডারেশনের অস্ত্র: ক্রীড়া উপদেষ্টা

» ৭১ এর রাজনীতি ভুল ছিল বলেই চব্বিশ ঘটেছে : উপদেষ্টা শারমীন

» একজন মুসল্লির মতো এলেন জীর্ণশীর্ণ দেখতে, এমন শাসক আর শাসনই আমাদের স্বপ্নময় ছিল! : প্রেস সচিব

» হুয়াওয়ে ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার ২০২৫ বাংলাদেশ’-এর নিবন্ধন শুরু

» লোকসাহিত্য গবেষক ও কবি অ আ আবীর আকাশ এর জন্মদিনে বিভিন্ন মহলের উষ্ণ অভ্যর্থনা

» প্রাইম ব্যাংকের অগ্রযাত্রার ৩০ বছর: টেকসই ভবিষ্যৎ নির্মাণে একসাথে পথ চলার অঙ্গীকার

» বাগেরহাটের বলভদ্রপুর বাস-ইজিবাইক মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৩

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

রুনা খানের পর সম্পত্তি ভাগ নিয়ে মুখ খুললেন দিতিকন্যা

সংগৃহীত ছবি

 

বিনোদন ডেস্ক :পৈত্রিক সম্পত্তি ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে মাঝে মাঝেই ভাই-বোনের মাঝে বিবাদের খবর শোনা যায়। বিখ্যাত ব্যক্তিদেরও পোহাতে হয় এই ঝাক্কি। তবে পৈত্রিক সম্পত্তি ভাগের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী নজীর সৃষ্টি করেছন অভিনেত্রী রুনা খানের ভাই।

 

দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী বাবার সম্পত্তিতে কন্যা সন্তানের ভাগ পুত্র সন্তানের অর্ধেক। তবে সে পথে না হেঁটে বাবার সম্পত্তি দুই ভাই বোনের মধ্যে সমান ভাগ করেছেন। সামাজিক মাধ্যমে বিষয়টি ভাগ করে নিয়েছেন রুনা খান।

এরইমধ্যে দারুণ প্রশংসিত হয়েছে রুনার ভাইয়ের পদক্ষেপ। এবার সম্পত্তির বিষয়ে কথা বললেন নন্দিত চিত্রনায়িকা দিতি ও অকাল প্রয়াত চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরীর কন্যা লামিয়া চৌধুরী। জানালেন তাদের দুই ভাই বোনের ক্ষেত্রেও কোনো বৈষম্য করেননি দিতি-সোহেল চৌধুরী।

 

নিজের ফেসবুকে দিতিকন্যা লিখেছেন, এটাই তো স্বাভাবিক হওয়া উচিত। আমার আর আমার ভাইয়ের মধ্যেও সব সমান সমান। আমাদের বাবা-মা এটাই চেয়েছেন। আর আমাদের এভাবেই বড় করা হয়েছে।

 

এরপর লেখেন, দুর্ভাগ্যবশত আইন আমাদের মনে করিয়ে দেয় আমরা সমান না। আর শুধু শুধু সবকিছু জটিল করে আমাদের সময় নষ্ট করে। বাড়তি সময় ও কাগজপত্র নষ্ট। যেখানে মা স্পষ্ট বলে গেছেন যে আমরা সমান। আর এগুলো আমিই দেশে থেকে দেখভাল করি। অথচ আমারই এরকম শুনতে হয় যে আমার মূল্যায়ন অর্ধেক। এসব ঠিক না।

 

আরও লিখেছেন, ইসলাম ন্যায্য ও ন্যায়সঙ্গত। এই আইনের পেছনে যৌক্তিক কারণ আছে। কিন্তু আগের সমাজ ও এখনকার সমাজ এক না। আগেকার দিনে নারীদের কম দেওয়া হতো কারণ বিবাহিতার ব্যয় স্বামী বহন করত। আর অবিবাহিতাদের খরচ ভাই বহন করত। এখন এরকম হয় না। মেয়েরা এখন ভাইদের ওপর নির্ভরশীল না। আমি অবিবাহিত বলে আমার অর্থনৈতিক দায়িত্ব আমার ভাইয়ের না। বরং এখন স্ত্রী/বোনেরা সংসারের খরচভ ভাগ করে নেয়। তাহলে কেন এখনও এই বৈষম্য অব্যাহত? এ ধরনের আইনগুলো সংস্কার করা উচিত এবং অন্ততপক্ষে এমন পরিবারগুলোতে বাধ্যতামূলক করা উচিত নয় যারা এই বৈষম্যের একমত না।

সবশেষে লামিয়া লেখেন, বাবা-মা অনেক কষ্ট করে আমাদের সমান করে বড় করেছেন। ভাইও আমাকে সমানই ভাবে। শুধু আপনারা আমাকে ছোট করছেন। এসব বন্ধ করেন।  সূএ: ঢাকা মেইল ডটকম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com