রাজধানীর বেনারসি পল্লীতে ১৭০০ টাকার শাড়ি ১৭ হাজার, অভিযানে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার

রাজধানীর মিরপুরের বেনারসি পল্লীতে এক হাজার ৭০০ টাকা দামের শাড়ি ১৭ হাজার টাকায় বিক্রির দায়ে একাধিক প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।

 

গোপন অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার অভিযান চালিয়ে এ জরিমানা করা হয়।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন ভোক্তা-অধিদফতরের পরিচালক মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার, উপ-পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার মন্ডল এবং সহকারী পরিচালক মাগফুর রহমান।

 

উপ-পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার মন্ডল জানান, ঢাকা মহানগরীর মিরপুরের বেনারসি পল্লীতে এক হাজার ৭০০ টাকার শাড়ি বিক্রি হচ্ছিলো ১৭ হাজার টাকায়! সরেজমিনে তদন্ত করতে এমন চিত্র দেখা যায়। পল্লীর দোকানগুলোতে কোনো ক্রয় রশিদ নেই, বিক্রয় রশিদও দেওয়া হয় না, শাড়িতে দেওয়া স্টিকারে এসএল নম্বর ও কোড দেওয়া থাকলেও কোনো মূল্য উল্লেখ নেই। ব্যবসায়ীদের দেওয়া এসএল অনুযায়ী বালাম বই চেক করে দেখা যায়, ইচ্ছেমতো ক্রয়মূল্য লিখে রেখেছে বিক্রেতারা। ক্রয়মূল্যের স্বপক্ষে কোনো কাগজও নেই।

 

শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বেনারসি পল্লীতে প্রথমে মিতু কাতান শাড়ি ঘর নামের দোকানে অভিযান পরিচালনা করেন ভোক্তা অধিদফতর কর্মকর্তারা। এসময় দোকানে আমদানি করা শাড়ি ও দেশি শাড়ির প্রকৃত দাম জানতে ক্রয় এবং বিক্রয় রশিদ চাওয়া হয়। তবে দোকানের কর্মচারীরা তা দেখাতে না পেরে ‘মালিক নেই’ বলে সময়ক্ষেপণ করেন।

 

পরে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের টিম ম্যানেজার না আসা পর্যন্ত দোকান সাময়িক বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে বলে দোকানিদের জানায় আভিযানিক দল।

 

এদিন তাওছিফ বেনারসি ফ্যাশনে একটি ইন্ডিয়ান এবং দেশি শাড়ির প্রকৃত দাম জানতে ক্রয় ও বিক্রয় রশিদ চাওয়া হলে রশিদে গড়মিল পাওয়া যায়। শাড়িতে দেওয়া স্টিকারে এসএল নম্বর কোড দেওয়া থাকলেও মূল্য লেখা ছিল না।

 

এসএল অনুযায়ী বালাম বই চেক করে দেখা যায়, দেকানিরা ইচ্ছেমতো ক্রয়মূল্য লিখে রেখেছে, যার স্বপক্ষে কোনো কাগজ নেই। দোকানটিকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হবে বলে জানানো হয়।

 

অভিযানের তথ্য জানাজানি হলে মিরপুর বেনারসি পল্লীর প্রায় ২০০ জন ব্যবসায়ী এবং দোকানের কর্মচারীরা স্লোগান দিতে দিতে চলে আসেন তাওছিফ বেনারসি ফ্যাশনের ভেতরে।

 

এ সময় ভোক্তা অধিদফতরের আভিযানিক দল ব্যবসায়ীদের জানায়, তারা ব্যবসায়ীদের শত্রু নয়, ভোক্তাদের অধিকার সমুন্নত রাখতেই এ অভিযান চলছে। পরে ব্যবসায়ীদের অনুরোধে দুই দোকানকে জরিমানা কমিয়ে ২০ হাজার টাকা করে মোট ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

 সূএ:ডেইলি বাংলাদেশ ডটকম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» অবৈধদের লুকিয়ে রাখার অভিযোগে মালয়েশিয়ায় ১ হাজার নিয়োগকর্তা আটক

» মেসির জোড়া গোলে দাপুটে জয় মায়ামির

» কাভার্ডভ্যানের চাপায় দুই পরিচ্ছন্নতা কর্মী নিহত

» শোকের মিছিলে কারবালা স্মরণ

» হত্যা মামলায় চেয়ারম্যান গ্রেফতার

» মাছ শিকারের আড়ালে ইয়াবা কারবারি চক্রের ৪ সদস্য গ্রেফতার

» মুক্তির আগেই রেকর্ড গড়লো হৃতিকের ‘ওয়ার ২’

» থ্রেডসে ‘মেসেজ সিস্টেম’ আনলো মেটা

» একটি মহল বিএনপিকে সংস্কারবিরোধী দেখানোর অপচেষ্টা করছে : মির্জা ফখরুল

» টেক্সাসে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫১, এখনও নিখোঁজ বহু

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

রাজধানীর বেনারসি পল্লীতে ১৭০০ টাকার শাড়ি ১৭ হাজার, অভিযানে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার

রাজধানীর মিরপুরের বেনারসি পল্লীতে এক হাজার ৭০০ টাকা দামের শাড়ি ১৭ হাজার টাকায় বিক্রির দায়ে একাধিক প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।

 

গোপন অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার অভিযান চালিয়ে এ জরিমানা করা হয়।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন ভোক্তা-অধিদফতরের পরিচালক মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার, উপ-পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার মন্ডল এবং সহকারী পরিচালক মাগফুর রহমান।

 

উপ-পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার মন্ডল জানান, ঢাকা মহানগরীর মিরপুরের বেনারসি পল্লীতে এক হাজার ৭০০ টাকার শাড়ি বিক্রি হচ্ছিলো ১৭ হাজার টাকায়! সরেজমিনে তদন্ত করতে এমন চিত্র দেখা যায়। পল্লীর দোকানগুলোতে কোনো ক্রয় রশিদ নেই, বিক্রয় রশিদও দেওয়া হয় না, শাড়িতে দেওয়া স্টিকারে এসএল নম্বর ও কোড দেওয়া থাকলেও কোনো মূল্য উল্লেখ নেই। ব্যবসায়ীদের দেওয়া এসএল অনুযায়ী বালাম বই চেক করে দেখা যায়, ইচ্ছেমতো ক্রয়মূল্য লিখে রেখেছে বিক্রেতারা। ক্রয়মূল্যের স্বপক্ষে কোনো কাগজও নেই।

 

শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বেনারসি পল্লীতে প্রথমে মিতু কাতান শাড়ি ঘর নামের দোকানে অভিযান পরিচালনা করেন ভোক্তা অধিদফতর কর্মকর্তারা। এসময় দোকানে আমদানি করা শাড়ি ও দেশি শাড়ির প্রকৃত দাম জানতে ক্রয় এবং বিক্রয় রশিদ চাওয়া হয়। তবে দোকানের কর্মচারীরা তা দেখাতে না পেরে ‘মালিক নেই’ বলে সময়ক্ষেপণ করেন।

 

পরে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের টিম ম্যানেজার না আসা পর্যন্ত দোকান সাময়িক বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে বলে দোকানিদের জানায় আভিযানিক দল।

 

এদিন তাওছিফ বেনারসি ফ্যাশনে একটি ইন্ডিয়ান এবং দেশি শাড়ির প্রকৃত দাম জানতে ক্রয় ও বিক্রয় রশিদ চাওয়া হলে রশিদে গড়মিল পাওয়া যায়। শাড়িতে দেওয়া স্টিকারে এসএল নম্বর কোড দেওয়া থাকলেও মূল্য লেখা ছিল না।

 

এসএল অনুযায়ী বালাম বই চেক করে দেখা যায়, দেকানিরা ইচ্ছেমতো ক্রয়মূল্য লিখে রেখেছে, যার স্বপক্ষে কোনো কাগজ নেই। দোকানটিকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হবে বলে জানানো হয়।

 

অভিযানের তথ্য জানাজানি হলে মিরপুর বেনারসি পল্লীর প্রায় ২০০ জন ব্যবসায়ী এবং দোকানের কর্মচারীরা স্লোগান দিতে দিতে চলে আসেন তাওছিফ বেনারসি ফ্যাশনের ভেতরে।

 

এ সময় ভোক্তা অধিদফতরের আভিযানিক দল ব্যবসায়ীদের জানায়, তারা ব্যবসায়ীদের শত্রু নয়, ভোক্তাদের অধিকার সমুন্নত রাখতেই এ অভিযান চলছে। পরে ব্যবসায়ীদের অনুরোধে দুই দোকানকে জরিমানা কমিয়ে ২০ হাজার টাকা করে মোট ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

 সূএ:ডেইলি বাংলাদেশ ডটকম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com