কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের দেওয়া ১৮৮ রান তাড়া করতে নেমে আম্বাতি রাইডুর টর্নেডো ইনিংসের পরেও হার এড়াতে পারেনি চেন্নাই সুপার কিংস। শেষ পর্যন্ত ১১ রানের হার দেখে মাঠ ছাড়তে হয় চারবারের চ্যাম্পিয়নদের।
পাঞ্জাবের বিপক্ষে শেষ ওভারে জিততে হলে চেন্নাইয়ের প্রয়োজন ছিল ২৭ রান। প্রথম বলে ছয় হাঁকিয়ে জয়ের আশা দেখিয়েছেন আগের ম্যাচের নায়ক ফিনিশার মাহেন্দ্র সিং ধোনি। তবে শেষ পর্যন্ত আর পারেননি তিনি।
মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে সোমবার (২৫ এপ্রিল) টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে পাঞ্জাব নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে তুলে ১৮৭ রান। জবাবে নির্ধারিত ওভার শেষে ৬ উইকেটে ১৭৬ রান নিয়ে হারের তেতো স্বাদ নিয়ে মাঠ ছাড়ে চেন্নাই।
১৮৮ রানের জয়ের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে চেন্নাই। ৭ ওভারে ৪০ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারায় জাদেজার দল। চতুর্থ উইকেটে রুতুরাজ গায়কোয়াড়কে নিয়ে ৫৯ রানের জুটি গড়ে ম্যাচে রাখে চেন্নাইকে। রুতুরাজ ৩০ রান করে ফিরে যান।
তবে অপরপ্রান্তে একাই লড়াই চালিয়ে যেতে থাকেন রায়ডু। এক পর্যায়ে ৫ ওভারে ৭০ রান লাগতো চেন্নাইয়ের। সেখান থেকে সন্দ্বীপ শর্মার এক ওভার থেকে ২৩ রান তুলে চেন্নাইকে জয়ের আশা দেখান রায়ডু।
তবে এরপর ১৮তম ওভারের রাবাদার পঞ্চম বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন এই ব্যাটসম্যান। তার আগে অবশ্য ৩৯ বলে ৭ চার ও ৬ ছয়ে দুইশ স্ট্রাইক রেটে ৭৮ রান করেন রায়ডু।
রায়ডুর বিদায়ের পর ১৩ বলে ৩৫ রান করতে হতো চেন্নাইয়ের। তবে আগের ম্যাচের মতো এই ম্যাচে ব্যাট হাতে আর ঝড় তুলতে পারেননি ধোনি। করতে পারেন মাত্র ১২ রান। শুরু থেকে স্লো খেলা জাদেজাও পারেননি চেন্নাইকে জয়ের বন্দরে নিতে। অপরাজিত ২১ রান নিয়ে হার দেখে মাঠ ছাড়েন চেন্নাইয়ের অধিনায়ক।
এর আগে শিখর ধাওয়ানের দারুণ এক ইনিংসে ভর করে ৪ উইকেটে ১৮৭ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় পাঞ্জাব কিংস।
ওয়াংখেড়েতে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ধীর সূচনা করেন মায়াঙ্ক আগারওয়াল। শিখর ধাওয়ানের সঙ্গে ৩৫ বলের উদ্বোধনী জুটিতে ৩৭ তোলেন পাঞ্জাব অধিনায়ক। ২১ বলে মাত্র ১৮ করে লঙ্কান বিস্ময় স্পিনার মাহিশ থিকসানার শিকার হন তিনি।
তবে দ্বিতীয় উইকেটে ধাওয়ানকে নিয়ে রানের গতি বাড়িয়ে নেন ভানুকা রাজাপাকসে। ৭১ বলে তাদের ১১০ রানের বড় জুটিটি শেষ পর্যন্ত ভাঙেন ডোয়াইন ব্রাভো। ৩২ বলে ২টি করে ৪ ছক্কায় ৪২ রান করে ইনিংসের ১৮তম ওভারে আউট হন রাজাপাকসে।
তবে ধাওয়ান ইনিংসের শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন। ৫৯ বলে ৯ চার আর ২ ছক্কায় ৮৮ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস বেরিয়ে আসে পাঞ্জাব ওপেনারের ব্যাট থেকে।