যৌথ বাহিনীর অভিযান, দুইজন গ্রেফতার

সংগৃহীত ছবি

 

অনলাইন ডেস্ক : গাজীপুরের টঙ্গীর এরশাদ নগর এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, ককটেল বিস্ফোরণ, দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, অস্ত্রের মহড়া, বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনার পর বুধবার (২৭ নভেম্বর) রাতে এরশাদ নগর এলাকায় যৌথ বাহিনীর উদ্যোগে অভিযান চালিয়ে দুই নকে গ্রেফতার করা হয়।

 

গ্রেফতারকৃতরা হলেন এরশাদ নগর ২নং ব্লকের মৃত হারুনের ছেলে বিপ্লব ও ৪নং ব্লকের ইসমাইল হোসেন এর ছেলে সজীব হোসেন। গ্রেফতারের পর তাদের পূর্ব থানায় হস্তান্তর করা হয়।

 

এলাকা সুত্রে জানা যায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে টঙ্গী থানা যুবদলের সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম কামু ও  যুবদলের ৪৯নং ওয়ার্ড সভাপতি আনোয়ার ওরফে টিভি আনোয়ার গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষের দশজন আহত হয়। এ ঘটনার পর বুধবার রাতে ফের কামু গ্রুপ ও টিভি আনোয়ার গ্রুপের সমর্থক কর্মীরা ধারালো অস্ত্রের মহড়া ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে। পরে সেনা কর্মকর্তা মেজর আসিফের নেতৃত্বে যৌথ বাহিনী এরশাদ নগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত মামলার আসামি সজীব ও বিপ্লবকে গ্রেফতার করে।
এ বিষয়ে কামরুলের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, টিভি আনোয়ার গড়ূপেড় লোকজন অস্ত্রের মহড়া ও ককটেল বিস্ফোরণ, বাড়িঘর ভাঙচুর করে ব্যাপক তান্ডব চালাচ্ছে। সিটি ক্যামেরার ফুটেজ দেখলে এর প্রমাণ মিলবে।

 

অপরদিকে, যুবদল নেতা আনোয়ার বলেন, আমার লোকজন অস্ত্রের মহড়া ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক ছড়ানোর বিষয়টি মিথ্যা। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, পুরো টঙ্গী এলাকায় বিএনপি নেতাকর্মীদের দখলবাজি, চাঁদবাজি, ঝুট ব্যবসা ও মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ, আধিপত্য বিস্তারসহ বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ছে।

 

এ ব্যাপারে টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা  কায়সার আহমেদ বলেন, দুই পক্ষের সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। ফের আনোয়ার গ্রুপের লোকজন ধারালো অস্ত্রের মহড়া ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে। পরে যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে দুইজনকে গ্রেফতার করে। সন্ত্রাসী দমনে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» র‌্যাংকিংয়েও আফগানদের টপকে গেল টাইগাররা

» রাজাকারের নাতিপুতি আখ্যা দেওয়া শিক্ষার্থীদের জন্য ছিল অপমানজনক

» নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে মানুষ পছন্দের প্রার্থীকে বেছে নেবে: টুকু

» রাতারগুলের অবকাঠামো উন্নয়নে সরকার পাশে থাকবে: আসিফ নজরুল

» প্রধান উপদেষ্টা জাতিসংঘে যাচ্ছেন ৪ রাজনীতিবিদকে নিয়ে

» এবারের দুর্গাপূজা উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

» দুর্গাপূজায় আমাদের সর্বোচ্চ সতর্ক ও প্রতিরোধের প্রস্তুতি থাকতে হবে: তারেক রহমান

» পিআর দাবি জনগণের আঙ্খাকার সঙ্গে ‘মুনাফেকি’: রিজভী

» পূজামণ্ডপের নিরাপত্তায় অতন্দ্র প্রহরী হোন: নেতা-কর্মীদের মির্জা ফখরুল

» সফররত ইইউ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক

  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

যৌথ বাহিনীর অভিযান, দুইজন গ্রেফতার

সংগৃহীত ছবি

 

অনলাইন ডেস্ক : গাজীপুরের টঙ্গীর এরশাদ নগর এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, ককটেল বিস্ফোরণ, দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, অস্ত্রের মহড়া, বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনার পর বুধবার (২৭ নভেম্বর) রাতে এরশাদ নগর এলাকায় যৌথ বাহিনীর উদ্যোগে অভিযান চালিয়ে দুই নকে গ্রেফতার করা হয়।

 

গ্রেফতারকৃতরা হলেন এরশাদ নগর ২নং ব্লকের মৃত হারুনের ছেলে বিপ্লব ও ৪নং ব্লকের ইসমাইল হোসেন এর ছেলে সজীব হোসেন। গ্রেফতারের পর তাদের পূর্ব থানায় হস্তান্তর করা হয়।

 

এলাকা সুত্রে জানা যায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে টঙ্গী থানা যুবদলের সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম কামু ও  যুবদলের ৪৯নং ওয়ার্ড সভাপতি আনোয়ার ওরফে টিভি আনোয়ার গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষের দশজন আহত হয়। এ ঘটনার পর বুধবার রাতে ফের কামু গ্রুপ ও টিভি আনোয়ার গ্রুপের সমর্থক কর্মীরা ধারালো অস্ত্রের মহড়া ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে। পরে সেনা কর্মকর্তা মেজর আসিফের নেতৃত্বে যৌথ বাহিনী এরশাদ নগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত মামলার আসামি সজীব ও বিপ্লবকে গ্রেফতার করে।
এ বিষয়ে কামরুলের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, টিভি আনোয়ার গড়ূপেড় লোকজন অস্ত্রের মহড়া ও ককটেল বিস্ফোরণ, বাড়িঘর ভাঙচুর করে ব্যাপক তান্ডব চালাচ্ছে। সিটি ক্যামেরার ফুটেজ দেখলে এর প্রমাণ মিলবে।

 

অপরদিকে, যুবদল নেতা আনোয়ার বলেন, আমার লোকজন অস্ত্রের মহড়া ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক ছড়ানোর বিষয়টি মিথ্যা। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, পুরো টঙ্গী এলাকায় বিএনপি নেতাকর্মীদের দখলবাজি, চাঁদবাজি, ঝুট ব্যবসা ও মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ, আধিপত্য বিস্তারসহ বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ছে।

 

এ ব্যাপারে টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা  কায়সার আহমেদ বলেন, দুই পক্ষের সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। ফের আনোয়ার গ্রুপের লোকজন ধারালো অস্ত্রের মহড়া ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে। পরে যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে দুইজনকে গ্রেফতার করে। সন্ত্রাসী দমনে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Design & Developed BY ThemesBazar.Com