নির্ধারিত কিছু শর্ত ও রোকন আদায়ের মাধ্যমে রোজা সম্পন্ন করতে হয়। এসব শর্ত ও রোকন পাওয়া না গেলে রোজা ভেঙে যায় এবং তা বাতিল বলে গণ্য হয়। শরিয়ত অনুমোদিত কারণ ছাড়া কোনো ব্যক্তির জন্য রোজা ভঙ্গ করা কবিরা গুনাহ। ইসলামী শরিয়তে রোজা ভঙ্গ করার প্রতিবিধান রাখলেও তার শত ভাগ ক্ষতিপূরণ সম্ভব নয়।
আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি (শরিয়ত অনুমোদিত) কোনো কারণ ছাড়া বা রোগ ছাড়া রমজান মাসের একটি রোজা ভেঙে ফেলে, তার পুরো জীবনের রোজা দিয়েও এর ক্ষতিপূরণ হবে না। যদিও সে জীবনভর রোজা রাখে। ’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ৭২৩)
তাই এই রমজান মাসে প্রয়োজন সংযম। এ মাসে কিছু বর্জনীয় এমন রয়েছে, যা রোজার দিনে আমাদের অজান্তেই ঘটে যায়। তখন রোজা ভেঙে যায় এবং সেই রোজার কাজা ও কাফফারা উভয়টি আবশ্যক হয়। এমন কিছু বিষয় নিচে উল্লেখ করা হলো-
স্ত্রী সহবাস: রমজানের রোজা রেখে দিনের বেলা স্ত্রী সহবাস করলে বীর্যপাত না হলেও স্বামী-স্ত্রী উভয়ের ওপর সেই রোজার কাজা-কাফফারা ওয়াজিব হবে। (বোখারি : ৬৭০৯)।
ইচ্ছাকৃত পানাহার: রোজা রেখে স্বাভাবিক অবস্থায় ইচ্ছাকৃতভাবে পানাহার করলে কাজা ও কাফফারা উভয়টি জরুরি হবে। (আল বাহরুর রায়েক : ২/২৭৬)।
ধুমপান: বিড়ি-সিগারেট, হুক্কা পান করলেও রোজা ভেঙে যাবে। কাজা ও কাফফারা উভয়টি জরুরি হবে। (রদ্দুল মুহতার : ৩/৩৮৫)।
ভিত্তিহীন অজুহাতে পানাহার: সুবহে সাদিক হয়ে গেছে জানা সত্ত্বেও আজান শোনা যায়নি বা এখনও ভালোভাবে আলো ছাড়ায়নি, এ ধরনের ভিত্তিহীন অজুহাতে পানাহার করলে বা স্ত্রী সহবাসে লিপ্ত হলে কাজা ও কাফফারা দুটোই জরুরি হবে। (মাআরিফুল কোরআন : ১/৪৫৪-৪৫৫)।