ছবি সংগৃহীত
সৌরভ আর রাবেয়া রোম্যান্টিক দম্পতি হিসেবে পরিচিত ছিল সবার কাছে। নানা খুনসুটি আর সুন্দর সুন্দর মুহূর্ত অন্যদের ঈর্ষার কারণ হওয়ার মতো ছিল। তবে হঠাৎ করেই কেমন যেন বদলে যায় সৌরভ। সম্পর্কটা থাকলে দুজনের বন্ধন যেন হালকা হয়ে যায়। আগের মতো আর রোম্যান্টিক সময় কাটাতে চায় না সৌরভ। স্ত্রীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতেও অনীহা। রাবেয়ার মনে খালি প্রশ্ন জাগে, কেন এমন বদলে গেল সৌরভ?
দাম্পত্যে সুখ-শান্তি বজায় রাখার জন্যে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যেমন মনের মিল থাকা জরুরি, তেমনি প্রয়োজন রোম্যান্টিক মুহূর্ত কাটানোও। এমনটাই মনে করেন বিশেষজ্ঞর। কাজের চাপ, জীবনের নানা ব্যস্ততা, সাংসারিক টানাপোড়েনসহ নানা কারণে নিজের জন্য একান্ত মুহূর্ত বের করতে পারেন না অনেক দম্পতি। ফলে ভাটা পড়ে প্রেমে।
অনেক নারীই অভিযোগ করেন, স্বামীর রোম্যান্স বা শারীরিক ঘনিষ্ঠতায় আগ্রহ নেই বলে। চেষ্টা করেও তাদের মধ্যে আগ্রহ ফেরানো যায়নি। কেন পুরুষরা স্ত্রীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতে চান না? চলুন এই প্রশ্নের উত্তর জানা যাক-
মানসিক চাপ
বর্তমানে জীবন ছুটে চলেছে বুলেট ট্রেনের গতিতে। তাকে ধরার উপায় নেই। একটু সুখে স্বাচ্ছন্দ্যে থাকতে চাই অতিরিক্ত চাপ নিতে শুরু করেন অনেকে। অফিসের কাজ ছাড়াও মন দেন অন্যান্য কাজেও। এত কাজের ভিড়ে মানসিক চাপ বাড়াই স্বাভাবিক। বাড়তি চিন্তার ছাপ যে কেবল শরীরে পড়ে তা নয়। এর প্রভাব পড়ে যৌন জীবনেও। মানসিক চাপের কারণে যৌন চাহিদা কমতে পারে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
সম্পর্ক সুন্দর রাখতে তাই মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। কাজের সময় কাজ, সঙ্গীকে সময় দেওয়ার সময় কেবল তা— এই নিয়ম মানতে হবে। প্রয়োজনে মেডিটেশন করা যেতে পারে।
একঘেয়েমি
অনেকগুলো বছর একসঙ্গে কাটানোর পর সঙ্গীর ওপর একঘেয়েমি আসার আশঙ্কা থাকে বলে জানান বিশেষজ্ঞরা। এজন্য দাম্পত্যে কিছুটা ‘স্পাইস’ যোগ করা প্রয়োজন। একঘেয়েমি কাটানোর দায়িত্ব নিতে হবে দুজনকেই। একান্ত সময়ে নতুনত্ব আনতে পারেন। উইকেন্ডে কোথাও ঘুরে আসতে পারেন। কোয়ালিটি সময়ও কাটাতে পারেন। পরিস্থিতি আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে।
সম্পর্কে তৃতীয় মানুষের প্রবেশ
বিশেষজ্ঞদের মতে, সম্পর্কে তৃতীয় ব্যক্তির প্রবেশ করলে কিংবা সঙ্গী অন্য কারোর প্রতি দুর্বল হয়ে পড়লে সম্পর্কের প্রতি আগ্রহ হারাতে শুরু করে। এ বিষয়ে খেয়াল রাখুন। চোখ-কান খোলা রাখুন। এমন কোনো ইঙ্গিত পেলে দুজনে কথা বলুন।
শারীরিক অসুস্থতা
অনেকে বিষয়টি নিয়ে ঠাট্টা করলেও দাম্পত্যে এটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অনেকসময় শারীরিক অসুস্থতার কারণে স্বামী স্ত্রীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতে চান না। এমনটা হলে তার সঙ্গে কথা বলুন। তার কোনো শারীরিক অসুবিধা হচ্ছে কি না জানতে চান।
হেলথলাইনের মতে, পুরুষদের শরীরে টেস্টোটেরনের মাত্রা কমতে থাকলে শারীরিক মিলনে অনীহা দেখা দিতে পারে। আবার কোনও ওষুধের প্রভাবেও এমন হতে পারে। অতিরিক্ত ধূমপানের অভ্যাসের কারণেও এমনটা হয়। প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সাহায্য নিন।
সাংসারিক অশান্তি
সম্পর্কের উষ্ণতা অনেকটাই নির্ভর করে সাংসারিক শান্তির উপরেও। সংসারে যদি সুখ থাকে তবে সম্পর্কের উষ্ণতাও ঠিক থাকবে। অনেক স্ত্রীই নিত্যদিন স্বামীর সঙ্গে নানা কারণে অশান্তি করেন। যার প্রভাব পড়ে শারীরিক ঘনিষ্ঠতায়।
সবদিকেই খেয়াল রাখুন। স্বামীর মধ্যে কোনো পরিবর্তন দেখলে তাকে হুট করেই কাঠগড়ায় দাঁড় করাবেন না। বরং সমস্যার উৎস খুঁজুন। দুজনে তা সমাধানের চেষ্টা করুন। সূএ : ঢাকা মেইল ডটকম