ছবি সংগৃহীত
অনলাইন ডেস্ক : ভারত থেকে ‘পুশ-ইন’ পদ্ধতিতে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার ধলই সীমান্ত থেকে নারী, পুরুষ ও শিশুসহ ১৫ জনকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। একই সময় জেলার অন্যান্য সীমান্ত দিয়ে আরও অন্তত ১৩৫ জন বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
বিজিবি কর্তৃক আটককৃতদের মধ্যে রয়েছেন ৯ জন পুরুষ, ৩ জন নারী ও ৩ জন শিশু। আটকরা জানায়, তারা দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে ভারতের আসামে বসবাস করছিলেন। সম্প্রতি ভারতীয় পুলিশ তাদের ঘরবাড়ি ভেঙে হেলিকপ্টারে করে ত্রিপুরার মানিকভাণ্ডারে স্থানান্তর করে এবং পরে বিএসএফের মাধ্যমে সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়।
আটকদের ভাষ্যমতে, বিএসএফ তিন শতাধিক ব্যক্তিকে কয়েকটি দলে ভাগ করে বাংলাদেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করে। তাদের মধ্যে কিছুজন ধলই সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করে, বাকিদের কোন সীমান্ত দিয়ে পাঠানো হয়েছে তা নিশ্চিত নয়।
মাধবপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শীব নারায়ণ শীল জানান, “আটকরা সবাই বাংলা ভাষায় কথা বলছে। তাদের বাড়ি বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায়—নড়াইল, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে।”
এ ঘটনায় ধলই সীমান্তে বিজিবির টহল জোরদার করা হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্র নিশ্চিত করেছে। তবে বিজিবি ৪৬ ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
এদিকে মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার এইচ. কে. এম. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, “ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার সুযোগে যাতে কেউ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বা অবৈধভাবে প্রবেশ করতে না পারে, সে জন্য আইজিপি নির্দেশনায় সীমান্ত এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি জোরদার করা হয়েছে।” তবে তিনি পুশ-ইন বা নাগরিক আটক সংক্রান্ত বিষয়ে পুলিশের কাছে কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্য নেই বলে জানান।