মালয়েশিয়ার যে মসজিদটি মুগ্ধ করে সবাইকে

ছবি সংগৃহীত

 

পুত্রা মসজিদ। মালয়েশিয়ার প্রশাসনিক রাজধানী পুত্রজায়া উইলায়ার প্রধান মসজিদ এটি। মসজিদটির নির্মাণ কাজ ১৯৯৭ সালে শুরু হয়েছিল এবং এর দু’বছর পর ১৯৯৯ সালে শেষ হয়েছিল। এটি পারদানা পুত্রার একশ গজ পাশে অবস্থিত, যেখানে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং কৃত্রিম পুত্রজায়া হ্রদ রয়েছে।

 

মসজিদের সামনের দিকে একটি বৃহৎ বর্গক্ষেত্র রয়েছে যাতে মালয়েশিয়ার রাজ্যগুলির পতাকা উড়তে থাকে সর্বক্ষণ। মসজিদের চারপাশগুলো কার্যত হ্রদে ভাসমান। ‍সুবিস্তৃত হ্রদের দৈর্ঘ্য ৪ কিলোমিটার, প্রস্থে ২ কিলোমিটার।

 

সুন্দর এই মসজিদ নির্মাণে খরচ হয়েছে ২৫০ মিলিয়ন মালয়েশিয়ান রিংগিত, যা সে সময়ে বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৫২০ কোটি টাকা। বর্তমান হিসেবে ৬৫০ কোটি টাকার মতো। মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ এটি নির্মাণ করেন।

 

মসজিদটি সাজানো হয়েছে দৃষ্টিনন্দন ৯টি গোলাপি গম্বুজে যার মধ্যে সর্ববৃহৎ গম্বুজটির উচ্চতা ১৬০ ফুট। মসজিদটির মিনারটির উচ্চতা ৩৮১ ফুট। এটি নাকি দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম উঁচু মিনার। মসজিদে ব্যবহৃত গোলাপি রঙের গ্রানাইটগুলো আগত সকলকে বিমোহিত করে।

 

গোটা মসজিদ কমপ্লেক্সটির ডিজাইন করা হয়েছে মোট তিনটি ভাগে। মুসল্লিদের নামাজ আদায়ের জন্য রয়েছে মূল মসজিদ। আছে বিশাল উঠান, যাকে মালয় ভাষায় ‘সাহান’ বলা হয়। অডিটোরিয়াম, ডাইনিং রুম ও লাইব্রেরির মতো অন্যান্য সুবিধাও রয়েছে এ মসজিদ কমপ্লেক্সে।

 

মসজিদটি সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত থাকে। অমুসলিমরাও শালীন পোশাক পরিধান করে মসজিদের ভেতরে ঢুকে পরিদর্শন করতে পারেন। আধুনিক পোশাক পরা নারীদের মসজিদে ঢোকার সময় মসজিদের পক্ষ থেকে দেয়া (ফেরত যোগ্য) পিংক কালারের গাউন পরতে হয়। মসজিদের দায়িত্বে নিয়োজিত গাইডরা পর্যটকদের ব্রিফ করেন। তবে নামাজের সময়গুলোতে অমুসলিমদের মসজিদে প্রবেশে রয়েছে বিধিনিষেধ।

 

দেশটির রাজধানী কুয়ালালামপুর থেকে প্রায় ৩২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত আধুনিক ও দৃষ্টিনন্দন স্থাপনার এ শহর ও মসজিদটি খুব সহজেই মুগ্ধ করে যে কাউকেই । সূূএ: বাংলাদেেশ প্রতিদিন

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতাকে মারধর করে পুলিশে হস্তান্তর

» সাকিবই বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা ক্রীড়াবিদ: তামিম ইকবাল

» ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠক স্বস্তি ফিরিয়ে এনেছে : দুদু

» দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি ও মানবাধিকার নিশ্চিতসহ ৩ লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি: আইন উপদেষ্টা

» ড. ইউনূসের যুক্তরাজ্য সফরে ৫ অর্জন

» সিলেটের কোনো পাথর কোয়ারি আর লিজ দেওয়া হবে না : রিজওয়ানা

» গ্যাস দুর্ঘটনা প্রতিরোধে তিতাসের সতর্কবার্তা

» বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ১৪৫২

» পাওয়ার বাটন কাজ না করলে স্মার্টফোন বন্ধ করার বিকল্প উপায়

» প্রস্রাব ঝরে পড়ার সন্দেহ হলে নামাজ আদায় করা যাবে?

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

মালয়েশিয়ার যে মসজিদটি মুগ্ধ করে সবাইকে

ছবি সংগৃহীত

 

পুত্রা মসজিদ। মালয়েশিয়ার প্রশাসনিক রাজধানী পুত্রজায়া উইলায়ার প্রধান মসজিদ এটি। মসজিদটির নির্মাণ কাজ ১৯৯৭ সালে শুরু হয়েছিল এবং এর দু’বছর পর ১৯৯৯ সালে শেষ হয়েছিল। এটি পারদানা পুত্রার একশ গজ পাশে অবস্থিত, যেখানে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং কৃত্রিম পুত্রজায়া হ্রদ রয়েছে।

 

মসজিদের সামনের দিকে একটি বৃহৎ বর্গক্ষেত্র রয়েছে যাতে মালয়েশিয়ার রাজ্যগুলির পতাকা উড়তে থাকে সর্বক্ষণ। মসজিদের চারপাশগুলো কার্যত হ্রদে ভাসমান। ‍সুবিস্তৃত হ্রদের দৈর্ঘ্য ৪ কিলোমিটার, প্রস্থে ২ কিলোমিটার।

 

সুন্দর এই মসজিদ নির্মাণে খরচ হয়েছে ২৫০ মিলিয়ন মালয়েশিয়ান রিংগিত, যা সে সময়ে বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৫২০ কোটি টাকা। বর্তমান হিসেবে ৬৫০ কোটি টাকার মতো। মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ এটি নির্মাণ করেন।

 

মসজিদটি সাজানো হয়েছে দৃষ্টিনন্দন ৯টি গোলাপি গম্বুজে যার মধ্যে সর্ববৃহৎ গম্বুজটির উচ্চতা ১৬০ ফুট। মসজিদটির মিনারটির উচ্চতা ৩৮১ ফুট। এটি নাকি দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম উঁচু মিনার। মসজিদে ব্যবহৃত গোলাপি রঙের গ্রানাইটগুলো আগত সকলকে বিমোহিত করে।

 

গোটা মসজিদ কমপ্লেক্সটির ডিজাইন করা হয়েছে মোট তিনটি ভাগে। মুসল্লিদের নামাজ আদায়ের জন্য রয়েছে মূল মসজিদ। আছে বিশাল উঠান, যাকে মালয় ভাষায় ‘সাহান’ বলা হয়। অডিটোরিয়াম, ডাইনিং রুম ও লাইব্রেরির মতো অন্যান্য সুবিধাও রয়েছে এ মসজিদ কমপ্লেক্সে।

 

মসজিদটি সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত থাকে। অমুসলিমরাও শালীন পোশাক পরিধান করে মসজিদের ভেতরে ঢুকে পরিদর্শন করতে পারেন। আধুনিক পোশাক পরা নারীদের মসজিদে ঢোকার সময় মসজিদের পক্ষ থেকে দেয়া (ফেরত যোগ্য) পিংক কালারের গাউন পরতে হয়। মসজিদের দায়িত্বে নিয়োজিত গাইডরা পর্যটকদের ব্রিফ করেন। তবে নামাজের সময়গুলোতে অমুসলিমদের মসজিদে প্রবেশে রয়েছে বিধিনিষেধ।

 

দেশটির রাজধানী কুয়ালালামপুর থেকে প্রায় ৩২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত আধুনিক ও দৃষ্টিনন্দন স্থাপনার এ শহর ও মসজিদটি খুব সহজেই মুগ্ধ করে যে কাউকেই । সূূএ: বাংলাদেেশ প্রতিদিন

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com