সাম্প্রতিক সময়ে মাঠের পারফরম্যান্স খুব একটা আশাব্যঞ্জক নয় মেসি-সুয়ারেজদের ক্লাব মায়ামির। তাই হয়তো বড় লক্ষ্যের কথাও জানাননি আর্জেন্টাইন মহাতারকা। তবে নিজেদের সর্বোচ্চটা দিয়ে লড়ার প্রত্যাশা মেসির, ‘এটি দারুণ এক টুর্নামেন্ট। এখানে খেলা রোমাঞ্চকরই হবে। তবে অন্য ক্লাবগুলোর সঙ্গে খেলার চেয়ে এবার মাইন্ডসেটটা ভিন্ন। অবশ্য এখনও আমার পূর্ণ শক্তি ও আশা আছে, প্রতিপক্ষ যেই থাকুক নিজেদের সেরা পারফর্ম করার লক্ষ্যে নামব।
সাতটি দল থেকে এবার অভূতপূর্ব সিদ্ধান্তে ক্লাব বিশ্বকাপ বেশ বড় পরিসরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ৩২ দলের এই আসরে নতুন ফরম্যাট এবং তার অধীনে গ্রুপপর্ব ও নকআউট রয়েছে। বিশ্বের সেরা ক্লাবগুলোর এই শ্রেষ্ঠত্বের প্রতিযোগিতা নিয়ে মেসি বলেন, ‘দক্ষিণ আমেরিকা এবং বিশ্বের নানা প্রান্তের ক্লাবগুলো ইউরোপিয়ান পাওয়ারহাউজের মুখোমুখি হওয়ার সুযোগ এসেছে। এসব ক্লাব পুরো বিশ্বে উচ্চতর বেঞ্চমার্ক এবং সেখানে সেরা ফুটবলাররা খেলে। ফলে এই অভিজ্ঞতা হবে বিশেষ, খেলোয়াড় এবং স্টেডিয়ামে আগত ফুটবলভক্তদের জন্য।’
বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলারের একজন মেসি। এর আগেও তার ক্লাব বিশ্বকাপে তিনবার খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। যদিও তিনি ক্যারিয়ারের সেরা সময় পেছনে ফেলে এসেছেন। যখন সর্বোচ্চ আটবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী এই তারকা বার্সেলোনার হয়ে তিনবার (২০০৯, ২০১১ ও ২০১৫) শিরোপা জিতেছেন ক্লাব বিশ্বকাপে। ইন্টার মায়ামির সঙ্গে ক্লাব বিশ্বকাপের গ্রুপ ‘এ’–তে রয়েছে আল-আহলি, ব্রাজিলের পালমেইরাস ও পর্তুগালের পোর্তো।
প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া ৩২ দলকে ৮টি গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে, প্রত্যেক গ্রুপে রয়েছে ৪টি করে দল। গ্রুপপর্ব শেষে সেরা দুই দল যাবে নকআউট পর্বে, যেখানে একের পর এক হাইভোল্টেজ ম্যাচে হবে চূড়ান্ত লড়াই। আগামী ১৩ জুলাই নিউজার্সির বিখ্যাত মেটলাইফ স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। পুরো আসরের ম্যাচগুলো হবে যুক্তরাষ্ট্রের ১১টি শহরের ১২ ভেন্যুতে।
নিজেদের প্রথম ম্যাচে মেসির মায়ামি কাল ভোর ৬টায় মুখোমুখি হবে আল-আহলির। ম্যাচটি হবে তাদেরই মায়ামির মাঠ হার্ডরক স্টেডিয়ামে। এরপর ২০ জুন পোর্তো এবং ২৪ জুন পালমেইরাসের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে গ্রুপপর্ব শেষ করবে হাভিয়ের মাশ্চেরানোর দল। যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকার (এমএলএস) থেকে মায়ামিসহ তিনটি ক্লাব এবারের ফিফার এই মেগা টুর্নামেন্টে অংশ নিচ্ছে।