মাছ ভাজার আগে কেন লবণ-হলুদ মাখানো হয়?

মাছ ভাজার আগে লবণ, হলুদ ও মরিচ দিয়ে মাখিয়ে রাখা হয়। বাঙালি রমনীরা এই নিয়মটি দীর্ঘদিন ধরে মেনে চলেন। যা এখনকার শেফরা বলছেন ম্যারিনেট। ম্যারিনেট করলে নাকি রান্নার স্বাদ বাড়ে।  শুধু যে এতে স্বাদের বদল ঘটে, তাই নয়। এর আরও অনেক উপকার রয়েছে।

 

রান্নায় লবণ, হলুদের ভূমিকা অপরিহার্য। এই দুইটি ছাড়া রান্না অসম্পূর্ণ। অনেকেরই ধারণা, হলুদ শুধু রান্নায় রং আনে। শুধু তাই নয়, রান্নার স্বাদও বাড়ায়।

হলুদের গুণে সুস্বাদু হয় যেকোনও রান্না। হলুদের স্বাস্থ্যগুণও রয়েছে। শারীরিক অনেক সমস্যার চটজলদি সমাধান করে হলুদ। বাড়ির রান্নাঘরে মা কিংবা বাড়ির বড়রা যখন রান্না করেন, তখন একটু লক্ষ করলে দেখা যাবে, মাছ ছাড়াও বেগুন বা অন্য কোনও সবজি ভাজার আগে লবণের সঙ্গে সামান্য হলুদ মাখিয়ে নিচ্ছেন। হলুদ নাকি তেল কম শোষণ করে। আগে হলুদ মাখিয়ে রাখলে কম তেলে ভেজে নেওয়া যায়।

 

হলুদ যে কোনও কাঁচা খাবারই দীর্ঘক্ষণ সতেজ রাখতে সাহায্য করে। আগের রাতে মাছ কিনে এনেছেন। পরের দিন রান্না করবেন। মাছ নষ্ট হয়ে যাবে কি না, তা চিন্তা না করে বরং মাছে হলুদ মাখিয়ে রাখুন। তা হলে ফ্রিজের বাইরে রাখলেও নষ্ট হবে না। হলুদের গুণেই সতেজ থাকবে মাছ। কাঁচা কোনও খাবার সতেজ রাখতে লবণ দারুণ সাহায্য করে। লবণ মাখিয়ে রাখলে যত দেরিতেই রান্না করুন না কেন, মাছ নষ্ট হবে না।

 

মাছে হলুদ মাখানোর আরও একটি কারণ রয়েছে। হলুদে আছে অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল উপাদান। কাঁচা মাছে কোনও জীবাণু থাকলে হলুদের সংস্পর্শে এসে সেগুলো মারা যায়। লবণও সংক্রমণ প্রতিরোধী।

 

যেকোনো ধরনের ব্যাক্টেরিয়া বা জীবাণু থেকে মাছ দূরে রাখতে লবণের ভূমিকা অনবদ্য। অনেকেই মাছ ফ্রিজে রাখেন। কৃত্রিম আবহাওয়ায় মাছে জন্ম নেওয়া কিছু জীবাণু সহজেই দূর করে লবণ এবং হলুদ। সূএ:ঢাকা মেল ডটকম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» মুজাহিদ ছিলেন একজন আমানতদার ও দক্ষ নেতা: জামায়াত আমির

» সচিবালয়ের সামনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

» বেশি সংস্কার না চাইলে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন: প্রেস সচিব

» বিমানবন্দরের পথে খালেদা জিয়া

» ‘বিএনপি ক্ষমতায় এলে ধনী-গরিবের ভারসাম্য রক্ষা করতে চায়’

» বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কূটনীতি হবে বাণিজ্যকেন্দ্রিক : আমীর খসরু

» বিএনপি হাসিনার মতো আয়নাঘর বানাবে না : জয়নুল আবদিন

» ২৩তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব শুরু ১১ জানুয়ারি

» সিলেটকে ১২৫ রানে গুটিয়ে ফেলল বরিশাল

» পরিবেশ সুরক্ষায় বাংলাদেশকে সহায়তা দেবে ইইউ : রিজওয়ানা হাসান

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

মাছ ভাজার আগে কেন লবণ-হলুদ মাখানো হয়?

মাছ ভাজার আগে লবণ, হলুদ ও মরিচ দিয়ে মাখিয়ে রাখা হয়। বাঙালি রমনীরা এই নিয়মটি দীর্ঘদিন ধরে মেনে চলেন। যা এখনকার শেফরা বলছেন ম্যারিনেট। ম্যারিনেট করলে নাকি রান্নার স্বাদ বাড়ে।  শুধু যে এতে স্বাদের বদল ঘটে, তাই নয়। এর আরও অনেক উপকার রয়েছে।

 

রান্নায় লবণ, হলুদের ভূমিকা অপরিহার্য। এই দুইটি ছাড়া রান্না অসম্পূর্ণ। অনেকেরই ধারণা, হলুদ শুধু রান্নায় রং আনে। শুধু তাই নয়, রান্নার স্বাদও বাড়ায়।

হলুদের গুণে সুস্বাদু হয় যেকোনও রান্না। হলুদের স্বাস্থ্যগুণও রয়েছে। শারীরিক অনেক সমস্যার চটজলদি সমাধান করে হলুদ। বাড়ির রান্নাঘরে মা কিংবা বাড়ির বড়রা যখন রান্না করেন, তখন একটু লক্ষ করলে দেখা যাবে, মাছ ছাড়াও বেগুন বা অন্য কোনও সবজি ভাজার আগে লবণের সঙ্গে সামান্য হলুদ মাখিয়ে নিচ্ছেন। হলুদ নাকি তেল কম শোষণ করে। আগে হলুদ মাখিয়ে রাখলে কম তেলে ভেজে নেওয়া যায়।

 

হলুদ যে কোনও কাঁচা খাবারই দীর্ঘক্ষণ সতেজ রাখতে সাহায্য করে। আগের রাতে মাছ কিনে এনেছেন। পরের দিন রান্না করবেন। মাছ নষ্ট হয়ে যাবে কি না, তা চিন্তা না করে বরং মাছে হলুদ মাখিয়ে রাখুন। তা হলে ফ্রিজের বাইরে রাখলেও নষ্ট হবে না। হলুদের গুণেই সতেজ থাকবে মাছ। কাঁচা কোনও খাবার সতেজ রাখতে লবণ দারুণ সাহায্য করে। লবণ মাখিয়ে রাখলে যত দেরিতেই রান্না করুন না কেন, মাছ নষ্ট হবে না।

 

মাছে হলুদ মাখানোর আরও একটি কারণ রয়েছে। হলুদে আছে অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল উপাদান। কাঁচা মাছে কোনও জীবাণু থাকলে হলুদের সংস্পর্শে এসে সেগুলো মারা যায়। লবণও সংক্রমণ প্রতিরোধী।

 

যেকোনো ধরনের ব্যাক্টেরিয়া বা জীবাণু থেকে মাছ দূরে রাখতে লবণের ভূমিকা অনবদ্য। অনেকেই মাছ ফ্রিজে রাখেন। কৃত্রিম আবহাওয়ায় মাছে জন্ম নেওয়া কিছু জীবাণু সহজেই দূর করে লবণ এবং হলুদ। সূএ:ঢাকা মেল ডটকম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com