মহররম মাসের আমল

মহান আল্লাহর মাস হিসেবে পরিচিত আরবি হিজরির প্রথম মাস মহররম। এটি  এ মাসের গুরুত্ব ও মর্যাদার কারণে বিশেষ আমল ও ইবাদতের নির্দেশ দিয়েছেন বিশ্বনবী হজরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।  

 

মহররম মাস নফল রোজা ও ইবাদত-বন্দেগির মাস। এই মাসে রোজা পালনের বিশেষ ফজিলত আছে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘রমজানের পর সবচেয়ে ফজিলতপূর্ণ রোজা হচ্ছে মহররম মাসের রোজা। আর ফরজ সালাতের পর উত্তম সালাত হলো গভীর রাতের সালাত।’ (মুসলিম : ২৬৪৫)

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ১০ মহররম উম্মতকে রোজা রাখতে বলেছেন।

 

হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদিনায় হিজরতের পর দেখেন, ইহুদিরা (মুসা আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুক্তির স্মরণে) এদিন রোজা পালন করছে। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমরা মুসার (আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর অনুসরণ করার ব্যাপারে তোমাদের চেয়ে অধিক হকদার। তিনি নিজে সেই (আশুরার) দিনের রোজা পালন করলেন এবং সাহাবাদেরও (এই আশুরার দিন রোজা) নির্দেশ দিলেন।’ (বুখারি)

 

ইহুদিদের অনুসরণ যেন না হয় সেজন্য দুই দিন রোজা পালনের নির্দেশ দেন তিনি। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘আমি যদি আগামী বছর বেঁচে থাকি, তাহলে ৯ এবং ১০ মহররম দুই দিনই রোজা রাখব।’ (মুসলিম : ২৭২২)

 

ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদিনাতে এলেন; তখন মদিনার ইহুদিরা আশুরার দিন রোজা পালন করত। তারা জানাল, এ দিন মুসা (আ.) ফেরাউনের ওপর বিজয় লাভ করেছিলেন। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সাহাবিদের বললেন, মুসা (আ.) এর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত হওয়ার ব্যাপারে তাদের চেয়ে তোমরাই অধিক হকদার। কাজেই তোমরা রোজা রাখো।’ (মুসলিম : ২৭১৪)

মানুষ স্বভাবতই গুনাহ করে। মহররম তথা আশুরার রোজা এতই মর্যাদাপূর্ণ যে, এটি বিগত এক বছরের (সগিরা) গুনাহ ক্ষমার ব্যবস্থা করে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘আল্লাহর কাছে আশা করি তিনি বিগত এক বছরের গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন।’ (মুসলিম : ২৮০৪)

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ইন্টারন্যাশনাল ডিজ্যাবিলিটি আর্ট ফেস্টিভ্যাল শুরু

» তীব্র গরমে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করলেন ইউএনও

» লালমনিরহাটে হিট স্ট্রোকে অটোচালকের মৃত্যু

» ইউএনওর ফোন নম্বর ক্লোন করে প্রার্থীদের সাথে প্রতারণার চেষ্টা

» দেশ ও জনগণের জন্য কাজ করুন, আ.লীগ নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী

» প্রতিক্রিয়াশীল চক্র গণতন্ত্রবিরোধী অপপ্রচার চালাচ্ছে : পরশ

» আগামীকাল ১২ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়

» বন্দনা করা ছাড়া জাপার কোনো রাজনীতি নেই: ফিরোজ রশিদ

» বাংলাদেশের উন্নয়নে পাকিস্তান প্রশংসা করে অথচ বিরোধী দল দেখে না: কাদের

» থাই পিএমও-তে প্রধানমন্ত্রীকে উষ্ণ আন্তরিক অভ্যর্থনা

উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

মহররম মাসের আমল

মহান আল্লাহর মাস হিসেবে পরিচিত আরবি হিজরির প্রথম মাস মহররম। এটি  এ মাসের গুরুত্ব ও মর্যাদার কারণে বিশেষ আমল ও ইবাদতের নির্দেশ দিয়েছেন বিশ্বনবী হজরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।  

 

মহররম মাস নফল রোজা ও ইবাদত-বন্দেগির মাস। এই মাসে রোজা পালনের বিশেষ ফজিলত আছে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘রমজানের পর সবচেয়ে ফজিলতপূর্ণ রোজা হচ্ছে মহররম মাসের রোজা। আর ফরজ সালাতের পর উত্তম সালাত হলো গভীর রাতের সালাত।’ (মুসলিম : ২৬৪৫)

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ১০ মহররম উম্মতকে রোজা রাখতে বলেছেন।

 

হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদিনায় হিজরতের পর দেখেন, ইহুদিরা (মুসা আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুক্তির স্মরণে) এদিন রোজা পালন করছে। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমরা মুসার (আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর অনুসরণ করার ব্যাপারে তোমাদের চেয়ে অধিক হকদার। তিনি নিজে সেই (আশুরার) দিনের রোজা পালন করলেন এবং সাহাবাদেরও (এই আশুরার দিন রোজা) নির্দেশ দিলেন।’ (বুখারি)

 

ইহুদিদের অনুসরণ যেন না হয় সেজন্য দুই দিন রোজা পালনের নির্দেশ দেন তিনি। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘আমি যদি আগামী বছর বেঁচে থাকি, তাহলে ৯ এবং ১০ মহররম দুই দিনই রোজা রাখব।’ (মুসলিম : ২৭২২)

 

ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদিনাতে এলেন; তখন মদিনার ইহুদিরা আশুরার দিন রোজা পালন করত। তারা জানাল, এ দিন মুসা (আ.) ফেরাউনের ওপর বিজয় লাভ করেছিলেন। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সাহাবিদের বললেন, মুসা (আ.) এর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত হওয়ার ব্যাপারে তাদের চেয়ে তোমরাই অধিক হকদার। কাজেই তোমরা রোজা রাখো।’ (মুসলিম : ২৭১৪)

মানুষ স্বভাবতই গুনাহ করে। মহররম তথা আশুরার রোজা এতই মর্যাদাপূর্ণ যে, এটি বিগত এক বছরের (সগিরা) গুনাহ ক্ষমার ব্যবস্থা করে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘আল্লাহর কাছে আশা করি তিনি বিগত এক বছরের গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন।’ (মুসলিম : ২৮০৪)

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com