ছবি সংগৃহীত
অনলাইন ডেস্ক : একজন ফুটবলারের জন্য সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত মর্যাদার পুরস্কার ব্যালন ডি’অর। ইউরোপে আধিপত্যকালে যে পুরস্কার একে একে পাঁচ বার জিতেছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। অথচ সে পুরস্কারকেই এখন ‘মনগড়া’ মনে হচ্ছে পর্তুগিজ তারকার।
পর্তুগালে গতকাল প্রীতি ম্যাচে রিও আভেকে ৪-০ গোলে হারায় রোনালদোর দল আল নাসর। সৌদি ক্লাবটির হয়ে হ্যাটট্রিক করেন রোনালদো। ম্যাচের পর ‘স্পোর্ট টিভি পর্তুগাল’ রোনালদোর কাছে জানতে চেয়েছিল, এবার ব্যালন ডি’অর জিততে পারেন কে? এ সময় ব্যালন ডি’অরের আয়োজক ‘ফ্রান্স ফুটবল’ সাময়িকীকে ধুয়ে দেন পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী এই ফুটবলার। রোনালদো বলেন, ‘এটা আমার কাছে মনগড়া লাগে।’
রোনালদোর মুখে ব্যালন ডি’অর কর্তৃপক্ষকে নিয়ে সমালোচনা এই প্রথম নয়। গত বছর ম্যানচেস্টার সিটির স্প্যানিশ তারকা রদ্রি এ পুরস্কার জয়ের পর বিস্ময় প্রকাশ করেছিলেন রোনালদো। ফেবারিট হয়েও রিয়াল মাদ্রিদ তারকা ভিনিসিয়ুস জুনিয়র পুরস্কারটি জিততে না পারায় এই ক্লাবের সাবেক ফরোয়ার্ড রোনালদো ক্ষোভ উগরে বলেছিলেন, ‘কোনো বিশ্বাসযোগ্যতা নেই। পুরস্কারটি ভিনিসিয়ুসের জেতা উচিত ছিল। অনেকবার আমার এটাই মনে হয়েছে এবং রাগ লেগেছে।’
এবারের ব্যালন ডি’অরের জন্য মনোনীত ৩০ জনের তালিকায় জায়গা করে নিতে পারেন রোনালদো। রোনালদোর সঙ্গে এই তালিকায় নেই আটবার ব্যালন ডি’অর জয়ী লিওনেল মেসিও। এই নিয়ে এখন পর্যন্ত মেসিকে কিছু বলতে শোনা যায়নি।
দীর্ঘ ২২ বছর পর এবার দ্বিতীয়বারের মতো ব্যালন ডি’অরের জন্য মনোনীতের তালিকায় নেই মেসি ও রোনালদো। আল নাসর তারকা বর্ষসেরার এ পুরস্কারে প্রথম মনোনয়ন পান ২০০৪ সালে। ২০০৬ সালে প্রথম মনোনয়ন পান মেসি। এবার মনোনয়ন না পেলেও ২০২৪-২৫ মৌসুম কিন্তু খারাপ কাটেনি রোনালদোর। ক্লাবের হয়ে ৩৫ গোলের পাশাপাশি দেশের হয়ে করেছেন ৮ গোল। জিতেছেন নেশনস লিগ। আগামী ২২ সেপ্টেম্বর প্যারিসে ব্যালন ডি’অর পুরস্কার দেওয়া হবে।
১৯৫৬ সাল থেকে ফরাসি সাময়িকী ‘ফ্রান্স ফুটবল’ সেরা ফুটবলারদের ব্যালন ডি’অর দিয়ে আসছে। সেরাদের জন্য ফিফা কিংবা উয়েফার পুরস্কারের চেয়েও এখনো ব্যক্তিগত পর্যায়ে সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কার মনে করা হয় এ ব্যালন ডি’অরকে। প্রতি বছরের সেরা পারফরমারদের মধ্যে থেকে ফ্রান্স ফুটবল আর ফরাসি পত্রিকা লেকিপ-এর সাংবাদিকেরা মিলে তৈরি করেন ৩০ জনের সংক্ষিপ্ত তালিকা। এরপর শুরু হয় ভোট। যেখানে শীর্ষ ১০০ ফিফা র্যাঙ্কিং দেশের একজন করে সাংবাদিক ভোট দেন। প্রত্যেকে নিজের শীর্ষ-১০ ঠিক করেন—প্রথম স্থানে থাকা খেলোয়াড় পান ১৫ পয়েন্ট, দ্বিতীয় ১২, তৃতীয় ১০; এরপর ক্রমানুসারে ৮, ৭, ৫, ৪, ৩, ২ আর ১ পয়েন্ট। সব ভোট যোগ করে যিনি সর্বোচ্চ পয়েন্ট পান, তিনিই ব্যালন ডি’অর জেতেন। সূএ: বাংলাদেশ প্রতিদিন