বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সারাধণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার হাছান মাহমুদ বলেছেন, সংকটময় বিশ্ব পরিস্থিতির কারণে জ্বালানি তেলের দাম বাড়াতে সরকার বাধ্য হয়েছে। তবে বিশ্ব বাজারে দাম কমলে আবারও জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় করা হবে।
আজ তথ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, পৃথিবী এক ধরনের মহামারি মধ্য দিয়ে সংকট অতিবাহিত করছে। কোথাও কোথাও আবার করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। এর মধ্যে চলছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। ফলে সারা বিশ্বে খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। এতে খাদ্যশস্যের দাম ৭০ থেকে ১০০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
প্রতিবছর সরকার ৫৩ হাজার কোটি টাকা তেলে ভর্তুকি দিয়েছেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর কোনো দেশের পক্ষে এত টাকা ভর্তুকি দেওয়া সম্ভব নয়। অন্যান্য দেশে এর আগে বাড়ালেও আমরা তা করিনি। কিন্তু অব্যাহতভাবে ভর্তুকি চলমান রাখা সম্ভব নয়। তাই এই প্রেক্ষাপটে তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, দাম বাড়ানোর পরেও সরকারকে ভর্তুকি দিতে হবে। তেলের দাম বড়ানো নিয়ে অনেক রাজনৈতিক দল মাঠ ঘোলা করার চেষ্টা করছে। আমি তাদেরকে বলব দয়া করে বিশ্ববাজারে পরিস্থিতির দিকে তাকান।
বিএনপি’র আন্দোলনের হুমকি আমরা অনেক আগে থেকেই শুনে আসছি, তবে তাদেরকে অনুরোধ জানাবো একটু বিশ্ব পরিস্থিতির দিকে তাকাতে। এই হাঁক ডাকে কোনো লাভ হবে না।
সরকার যে দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে তার বেশি নেওয়া অন্যায় । এ ধরনের কর্মকাণ্ডের প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার।