মধ্যপ্রাচ্যে প্রথমবারের মতো বসেছে ফুটবল দুনিয়ার সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ আসর, ফুটবল বিশ্বকাপ। পার্শ্ববর্তী দেশ থেকেও একই সুরে গলা মেলাচ্ছে বিশ্বের কোটি কোটি ফুটবল সমর্থক। চূড়ান্ত পর্বের দিকে বিশ্বকাপ যত ঘনিয়ে যাচ্ছে ধীরে ধীরে তত বেশি উত্তেজনা বাড়ছে আমিরাত জুড়ে। মধ্যপ্রাচ্যের বুকে এবার বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হওয়ায় দেশটিতে বিশ্বকাপ নিয়ে আনন্দ উল্লাসের কমতি নেই। তবে প্রিয় দলগুলোর জয়-পরাজয় আনন্দ বেদনার সংমিশ্রণ রয়েছে সমর্থকদের মাঝে।
শুধু নিজ দলকে সমর্থন না, প্রতিপক্ষে দলের সাপোর্টারদের কীভাবে ঘায়েল করা যায় সেটাও এক ধরনের প্রতিযোগিতায় রূপ নেয়। সব মিলিয়ে বিশ্বকাপ ফুটবল সবকিছুকে যে ছাপিয়ে যায় তার প্রমাণ মিলছে এবারও। নানা জটিলতার কারণে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে অনেকে পার্শ্ববর্তী দেশ কাতারে সরাসরি বিশ্বকাপ দেখতে যেতে পারছে না। তাই বলে বিশ্বকাপ উত্তেজনা থেকে কিঞ্চিৎ পরিমাণও পিছিয়ে নেই ফুটবলপ্রেমীরা। নানা ভাবে তারা এই বিশ্বকাপকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য আয়োজনের কমতি রাখেনি। আরব আমিরাত জুড়ে বিভিন্ন স্থানে বড় বড় ডিজিটাল স্ক্রিনে এখন বিশ্বকাপের উত্তেজনা মাতিয়ে রেখেছে সকলকে।
বিশ্বকাপ ঘিরে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যেও রয়েছে দারুণ উদ্দীপনা। প্রিয় দলকে সমর্থন জানাতে পৃথক পৃথকভাবে বড় স্ক্রিনে খেলা দেখার আয়োজন করেছে তাঁরা। বিশেষ করে আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল বা জার্মানির খেলা হলেই বাংলাদেশি রেস্টুরেন্ট এবং বিভিন্ন স্থাপনায় ভিড় করছে প্রবাসী বাংলাদেশিরা। দেখা যায়, যাদের মধ্যে এতদিন বন্ধুত্ব ছিল খেলার কারণে তারা এখন একে অপরের ‘প্রতিপক্ষ’!
বিশ্বকাপ খেলাকে ঘিরে প্রবাসী বাংলাদেশিরা বেশ কয়েকটি স্থানে নিজ দলের সমর্থকদের গরু জবাই করে খাওয়ানোর ঘোষণা দিয়েছে। তবে এইসব আয়োজন রয়েছে কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল এবং ফাইনালে। তবে বর্তমানে আমিরাতের আজমানে স্পাইসি রেস্টুরেন্ট, শারজা হুদায়বিয়া রেস্টুরেন্ট, দুবাইয়ের কাসার আল শামস রেস্টুরেন্ট, ব্রেকফাস্ট রেস্টুরেন্টসহ বেশ কয়েকটি রেস্টুরেন্ট বিশ্বকাপ উপলক্ষে একাধিক বড় স্ক্রিনে খেলা দেখানোসহ দর্শকদের জন্য খাবারে আকর্ষণীয় মূল্য ছাড় দিয়েছে রেস্টুরেন্টে মালিকরা।