বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেলে দেশকে জঙ্গিবাদের চারণভূমি বানাবে: হানিফ

ঢাকায় আদালতপাড়া থেকে দুই জঙ্গি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর খুশি হয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ।

 

আজ (২২ নভেম্বর) দুপুরে লক্ষ্মীপুর জেলা স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

হানিফ বলেন, গত পরশু ঢাকার আদালত এলাকা থেকে দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনা নিয়ে বিএনপি মহাসচিব খুঁচিয়ে বক্তব্য দিচ্ছেন। তিনি এ ঘটনায় খুব খুশি হয়েছেন। কারণ বিএনপির দ্বারাই জঙ্গিবাদের সৃষ্টি।

 

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, সন্ত্রাস এবং জঙ্গিবাদের জনক তারেক রহমান। সে এখন বিএনপির শীর্ষ নেতা। দুর্নীতি, জঙ্গিবাদের কারণে মানুষ তাদের আস্তাকুঁড়ে ফেলে দিয়েছে। তারা আবার ক্ষমতায় গেলে বাংলাদেশ হবে তালেবান, জঙ্গিবাদের দেশ।

 

হানিফ বলেন, বিএনপি বাংলাদেশকে জঙ্গিরাষ্ট্র বানিয়েছিল। বাংলাদেশ পৃথিবীতে ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। শায়খ আব্দুর রহমান, বাংলা ভাই, জেএমবিসহ জঙ্গিদের প্রতিষ্ঠিত করে বাংলাদেশকে জঙ্গিবাদের চারণভূমি বানিয়েছিল। সেই দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চান। বাংলাদেশের মানুষ ব্যর্থ রাষ্ট্রে ফিরে যেতে চায় না, জঙ্গিবাদ দেখতে চায় না।

 

আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে তারেক রহমান হাওয়া ভবনে বসে ১২৫টি ছোট-বড় জঙ্গি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেছিল। এটি আমার বক্তব্য নয়; ২০০৬ সালে বিবিসি অনলাইন এ রিপোর্ট করেছিল। প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল দেশে ১২৫টি জঙ্গি সংগঠনের অস্তিত্ব আছে। জঙ্গি নেতাদের অনেকে তাদের কাছে স্বীকার করেছিলেন হাওয়া ভবনের কর্ণধার তারেক রহমানের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ আছে। তার সহায়তায় তারা কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।

 

হানিফ বলেন, বিএনপির আদর্শিক নেতা এখন তারেক রহমান। যে তারেক রহমান হত্যা, দুর্নীতির দায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে পলাতক। বাংলাদেশে হত্যা খুন, জঙ্গিবাদসহ একাধিক মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত। দুর্নীতির কারণে সিঙ্গাপুর, মার্কিন ফেডারেল আদালতে মামলা হয়েছিল। ২০০৪ সালে হাওয়া ভবনে বসে শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল।

 

বাংলাদেশের রাজনীতিতে দুটি ধারা চলছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি। একাত্তরের পরাজিত শক্তি ও পঁচাত্তরের ঘাতক বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বে স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি। শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে অন্ধকার থেকে আলোয় উদ্ভাসিত করেছেন। বিশ্বের দরবারে চরম ব্যর্থ রাষ্ট্র থেকে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। ঠিক সেই সময়ে বিএনপি-জামায়াত দেশকে পিছিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আবার অপতৎপরতা শুরু করেছে।

 

বিএনপির ‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ’ স্লোগানের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকতে আপনাদের কী অর্জন ছিল। ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে ক্ষমতায় থাকতে আপনাদের অর্জন কী ছিল বলুন? সেই সময়ে বাংলাদেশ পরপর পাঁচবার দুর্নীতিতে বিশ্বে এক নম্বর বানিয়েছিলেন। হাওয়া ভবন বানিয়ে সরকারের মধ্যে সরকার প্রতিষ্ঠা করে বাংলাদেশকে দুর্নীতিবাজ রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। দেশের অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়েছিল। ৬০ ভাগ মানুষ দরিদ্র ছিল। মাথাপিছু আয় ছিল ৬০০ ডলারের নিচে।

 

আন্দোলন করে সরকারের পতন ঘটানো যাবে না উল্লেখ করে হানিফ বলেন, বিএনপির জনসভায় কিছু কর্মী উপস্থিত হয়েছে। এই দেখে বিএনপি নেতাদের মনে হচ্ছে তারাই বোধ হয় রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসে যাচ্ছে। পরিষ্কাভাবে বলে দিতে চাই, আমরা নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছি। আওয়ামী লীগ নির্বাচিত সরকার। আওয়ামী লীগের শেঁকড় এই বাংলার মাটির অনেক গভীরে। এই সরকারকে আন্দোলন করে পতন ঘটনো যাবে না।

 

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, যারা নির্বাচন নিয়ে কথা বলছেন তাদের প্রতি আহ্বান জনপ্রিয়তা আছে কি-না যাচাই করতে নির্বাচনে অংশ নিন। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী হবে। সংবিধানের মধ্যে থেকে নির্বাচনে আসতে হবে। সংবিধান বহির্ভূত দাবি করে নির্বাচনের বাইরে থাকলে দায়ভার আপনাদের, দেশের মানুষ এর দায় নেবে না। নির্বাচনে আসুন, প্রমাণ হয়ে যাবে জনগণ কার সঙ্গে যাবে।

 

হানিফ আরও বলেন, উন্নয়ন ধারা অব্যাহত রাখতে হলে বাংলাদেশে শেখ হাসিনা কোনো বিকল্প নেই। বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে, শেখ হাসিনার প্রতি দেশের ৭২ থেকে ৮০ ভাগ মানুষের আস্থা আছে। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে বিএনপি বা এমন কোনো অপশক্তি নেই আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটাবে। জনগণ শান্তির পক্ষে। দেশের মানুষের কাছে দেশের উন্নয়ন, অগ্রগতি তুলে ধরতে হবে। আগামী নির্বাচনে জনগণকে ভোটে নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব।

লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকুর সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম।

 

বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। এছাড়া সাবেক মন্ত্রী একেএম শাহজাহান কামাল, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক হারুনুর রশিদ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলন সঞ্চালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ইন্টারন্যাশনাল ডিজ্যাবিলিটি আর্ট ফেস্টিভ্যাল শুরু

» তীব্র গরমে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করলেন ইউএনও

» লালমনিরহাটে হিট স্ট্রোকে অটোচালকের মৃত্যু

» ইউএনওর ফোন নম্বর ক্লোন করে প্রার্থীদের সাথে প্রতারণার চেষ্টা

» দেশ ও জনগণের জন্য কাজ করুন, আ.লীগ নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী

» প্রতিক্রিয়াশীল চক্র গণতন্ত্রবিরোধী অপপ্রচার চালাচ্ছে : পরশ

» আগামীকাল ১২ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়

» বন্দনা করা ছাড়া জাপার কোনো রাজনীতি নেই: ফিরোজ রশিদ

» বাংলাদেশের উন্নয়নে পাকিস্তান প্রশংসা করে অথচ বিরোধী দল দেখে না: কাদের

» থাই পিএমও-তে প্রধানমন্ত্রীকে উষ্ণ আন্তরিক অভ্যর্থনা

উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেলে দেশকে জঙ্গিবাদের চারণভূমি বানাবে: হানিফ

ঢাকায় আদালতপাড়া থেকে দুই জঙ্গি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর খুশি হয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ।

 

আজ (২২ নভেম্বর) দুপুরে লক্ষ্মীপুর জেলা স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

হানিফ বলেন, গত পরশু ঢাকার আদালত এলাকা থেকে দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনা নিয়ে বিএনপি মহাসচিব খুঁচিয়ে বক্তব্য দিচ্ছেন। তিনি এ ঘটনায় খুব খুশি হয়েছেন। কারণ বিএনপির দ্বারাই জঙ্গিবাদের সৃষ্টি।

 

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, সন্ত্রাস এবং জঙ্গিবাদের জনক তারেক রহমান। সে এখন বিএনপির শীর্ষ নেতা। দুর্নীতি, জঙ্গিবাদের কারণে মানুষ তাদের আস্তাকুঁড়ে ফেলে দিয়েছে। তারা আবার ক্ষমতায় গেলে বাংলাদেশ হবে তালেবান, জঙ্গিবাদের দেশ।

 

হানিফ বলেন, বিএনপি বাংলাদেশকে জঙ্গিরাষ্ট্র বানিয়েছিল। বাংলাদেশ পৃথিবীতে ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। শায়খ আব্দুর রহমান, বাংলা ভাই, জেএমবিসহ জঙ্গিদের প্রতিষ্ঠিত করে বাংলাদেশকে জঙ্গিবাদের চারণভূমি বানিয়েছিল। সেই দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চান। বাংলাদেশের মানুষ ব্যর্থ রাষ্ট্রে ফিরে যেতে চায় না, জঙ্গিবাদ দেখতে চায় না।

 

আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে তারেক রহমান হাওয়া ভবনে বসে ১২৫টি ছোট-বড় জঙ্গি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেছিল। এটি আমার বক্তব্য নয়; ২০০৬ সালে বিবিসি অনলাইন এ রিপোর্ট করেছিল। প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল দেশে ১২৫টি জঙ্গি সংগঠনের অস্তিত্ব আছে। জঙ্গি নেতাদের অনেকে তাদের কাছে স্বীকার করেছিলেন হাওয়া ভবনের কর্ণধার তারেক রহমানের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ আছে। তার সহায়তায় তারা কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।

 

হানিফ বলেন, বিএনপির আদর্শিক নেতা এখন তারেক রহমান। যে তারেক রহমান হত্যা, দুর্নীতির দায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে পলাতক। বাংলাদেশে হত্যা খুন, জঙ্গিবাদসহ একাধিক মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত। দুর্নীতির কারণে সিঙ্গাপুর, মার্কিন ফেডারেল আদালতে মামলা হয়েছিল। ২০০৪ সালে হাওয়া ভবনে বসে শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল।

 

বাংলাদেশের রাজনীতিতে দুটি ধারা চলছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি। একাত্তরের পরাজিত শক্তি ও পঁচাত্তরের ঘাতক বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বে স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি। শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে অন্ধকার থেকে আলোয় উদ্ভাসিত করেছেন। বিশ্বের দরবারে চরম ব্যর্থ রাষ্ট্র থেকে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। ঠিক সেই সময়ে বিএনপি-জামায়াত দেশকে পিছিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আবার অপতৎপরতা শুরু করেছে।

 

বিএনপির ‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ’ স্লোগানের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকতে আপনাদের কী অর্জন ছিল। ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে ক্ষমতায় থাকতে আপনাদের অর্জন কী ছিল বলুন? সেই সময়ে বাংলাদেশ পরপর পাঁচবার দুর্নীতিতে বিশ্বে এক নম্বর বানিয়েছিলেন। হাওয়া ভবন বানিয়ে সরকারের মধ্যে সরকার প্রতিষ্ঠা করে বাংলাদেশকে দুর্নীতিবাজ রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। দেশের অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়েছিল। ৬০ ভাগ মানুষ দরিদ্র ছিল। মাথাপিছু আয় ছিল ৬০০ ডলারের নিচে।

 

আন্দোলন করে সরকারের পতন ঘটানো যাবে না উল্লেখ করে হানিফ বলেন, বিএনপির জনসভায় কিছু কর্মী উপস্থিত হয়েছে। এই দেখে বিএনপি নেতাদের মনে হচ্ছে তারাই বোধ হয় রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসে যাচ্ছে। পরিষ্কাভাবে বলে দিতে চাই, আমরা নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছি। আওয়ামী লীগ নির্বাচিত সরকার। আওয়ামী লীগের শেঁকড় এই বাংলার মাটির অনেক গভীরে। এই সরকারকে আন্দোলন করে পতন ঘটনো যাবে না।

 

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, যারা নির্বাচন নিয়ে কথা বলছেন তাদের প্রতি আহ্বান জনপ্রিয়তা আছে কি-না যাচাই করতে নির্বাচনে অংশ নিন। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী হবে। সংবিধানের মধ্যে থেকে নির্বাচনে আসতে হবে। সংবিধান বহির্ভূত দাবি করে নির্বাচনের বাইরে থাকলে দায়ভার আপনাদের, দেশের মানুষ এর দায় নেবে না। নির্বাচনে আসুন, প্রমাণ হয়ে যাবে জনগণ কার সঙ্গে যাবে।

 

হানিফ আরও বলেন, উন্নয়ন ধারা অব্যাহত রাখতে হলে বাংলাদেশে শেখ হাসিনা কোনো বিকল্প নেই। বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে, শেখ হাসিনার প্রতি দেশের ৭২ থেকে ৮০ ভাগ মানুষের আস্থা আছে। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে বিএনপি বা এমন কোনো অপশক্তি নেই আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটাবে। জনগণ শান্তির পক্ষে। দেশের মানুষের কাছে দেশের উন্নয়ন, অগ্রগতি তুলে ধরতে হবে। আগামী নির্বাচনে জনগণকে ভোটে নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব।

লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকুর সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম।

 

বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। এছাড়া সাবেক মন্ত্রী একেএম শাহজাহান কামাল, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক হারুনুর রশিদ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলন সঞ্চালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com