সংগৃহীত ছবি
লাইফস্টাইল ডেস্ক :বর্ষাকালে পানিবাহিত ও ছোঁয়াচে রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ে। আর এই কারণে জীবনযাপন ও খাওয়াদাওয়ায় কিছু পরিবর্তন আনতে হয়।
এসময়ে মসলাদার খাবারের পরিবর্তে আরামদায়ক খাবার খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন খেতে হবে। বর্ষায় সুস্থ থাকতে কী কী প্রোটিন খেতে হবে, চলুন জেনে নেওয়া যাক-
ডিম
ডিম প্রোটিনের সবচেয়ে সহজ ও পরিচ্ছন্ন রূপ। এগুলোতে সমস্ত প্রয়োজনীয় অ্যামিনো এসিড, ভিটামিন ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাট রয়েছে। বর্ষাকালে মানুষ মাংস খাওয়া থেকে বিরত থাকে, কারণ পানি দূষিত হয় বা হজম করা কঠিন হয়। সেজন্য ডিম একটি ভালো বিকল্প। সিদ্ধ করে বা একটি সুন্দর অমলেট তৈরি করে খাওয়া যেতে পারে।
মাছ-মুরগি
মুরগি অথবা মাছ গুণগতমান পরিমাণের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি মাংস খান, তবে মুরগি বা মাছ বেছে নিন। এগুলো পরিষ্কার, উচ্চ পুষ্টিযুক্ত খাবার এবং সাধারণ মসলার সঙ্গে রান্না করা হলে সহজে হজমযোগ্য হয়।
রেড মিট
লাল মাংস সম্পূর্ণ প্রোটিন, আয়রন বি-১২ ও জিঙ্কের মতো গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টির একটি ভালো উৎস। বর্ষাকালে যখন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার অতিরিক্ত সাপোর্টের প্রয়োজন হয়, তখন এর হালকা রেসিপি বেছে নেওয়া যেতে পারে। যেমন তন্দুরি, গ্রিল করা খাসির মাংস বা খাসির হাড়ের স্যুপ।
ডাল ও শস্য
মুগ ডাল, তুর ডাল, ছোলার ডাল- এগুলো উদ্ভিজ প্রোটিনে ভরপুর এবং বর্ষাকালে পাচনের ক্ষেত্রে সু-খাদ্য। ডাল ভিজিয়ে অঙ্কুরিত করুন, যদি সম্ভব হয়। এটি হজমে সাহায্য করে এবং পুষ্টি বাড়ায়। ডালে সামান্য আদা ও জিরা যোগ করা যেতে পারে। এটি ফোলাভাব, ঠাণ্ডার উপসর্গগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করার একটি দুর্দান্ত উপায়।
পনির
গরুর দুধ থেকে তৈরি পনির বর্ষাকালে একটি দুর্দান্ত প্রোটিন সমৃদ্ধ বিকল্প। ল্যাকটোজ সমস্যা না থাকলে এটি খাওয়া যেতে পারে। এতে প্রচুর পরিমাণে ক্যাসেইন প্রোটিন থাকে, যা পেট ভরায় এবং সঠিকভাবে রান্না করলে সহজে হজম হয়। এটি ভেষজ দিয়ে গ্রিল করে, হালকা ভাজা পোড়াতে মিশিয়ে বা গরম, আরামদায়ক তরকারিতে যোগ করে উপভোগ করতে পারেন।
প্রতিদিন প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার রান্না করতে না পারলে একটি প্রোটিন পাউডারসমৃদ্ধ সাপ্লিমেন্ট ব্যবহার করতে পারেন। এটি এই সময় একটি ভালো বিকল্প হতে পারে।