ছবি সংগৃহীত
বিশ্বে ইউরিন ইনফেকশনে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যার বাড়ছেই। গত ৩৫ বছরে ইউরিন ইনফেকশনে আক্রান্ত ও এ সংক্রান্ত মৃত্যুহারও বেড়েছে উদ্বেগজনক হারে। ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের ২০২৩ সালের সমীক্ষা থেকে জানা যায়, দূষিত মাংস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বছরে প্রায় অর্ধ মিলিয়ন ইউরিন ইনফেকশনের কারণ। আর সময়ের সঙ্গে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছেই।
প্রাণীর শরীরের নাইট্রোজেন ঘটিত বর্জ্যপদার্থ রেচনতন্ত্রে জটিল প্রক্রিয়ায় পরিশোধিত হয়। শরীরের অতিরিক্ত পানির সঙ্গে সেই বজ্র্য শরীর থেকে বের হয়ে যায়। এই রেচন প্রক্রিয়া স্বাভাবিক থাকার উপর আমাদের খাদ্যতালিকার বেশ প্রভাব রয়েছে।
সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, ফ্রিজের খাবার খাওয়ার কারণে রেচন অঙ্গ মূত্রনালীর সংক্রমণ অর্থাৎ, ইউরিনারি ট্র্যাক ইনফেকশন (ইউটিআই) হতে পারে। ওয়ান হেলথ এর এক প্রতিবেদনে বিশেষজ্ঞদের এই মতামত প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ই-কোলাই দ্বারা দূষিত মাংস ইউরিন ইনফেকশন সংক্রমণ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। সাধারণত মুরগী এবং টার্কি পণ্যে এক্সটেন্ডেড-স্পেকট্রাম বিটা-ল্যাকটামেজ ব্যবহার করা হয়। ঠিকমতো রান্না না করা হলে এর থেকে ই-কোলাই তৈরি হতে পারে। এতে অন্ত্রে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ বেড়ে যেতে পারে, যা পরবর্তীতে রেচনপ্রক্রিয়ায় ছড়িয়ে যায়।
সাধারণত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং নিরাপদ যৌন কার্যকলাপের প্রতি উদাসীনতার কারণে ইউরিন ইনফেকশন হতে দেখা যায়। এবার, ইউরিন ইনফেকশন হওয়ার নতুন এই কারণটি সামনে এসেছে। এই সমস্যা এড়াতে যা করবেন-
১. মাংস এবং সবজি বা অন্যান্য খাবারের জন্য আলাদা কাটিং বোর্ড, ছুরি এবং পাত্র ব্যবহার করুন। কাঁচা মাংস কাটার পর ভালোভাবে সাবান বা হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে হাত ধুয়ে নিন।
২. পচনশীল খাবার দীর্ঘদিন হিমায়িত করে খাবেন না। যেসব খাবার ৪০ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস নিচে পচনশীল তাদের জমে থাকা অবস্থায় ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধিতে বাধা দেয়। তবুও এরমধ্যে ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি থেকে যায়, তাই নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে এই ধরনের খাবার খাবেন।
৩.পোলট্রি এবং মাংস থেকে ব্যাকটেরিয়াকে সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করার জন্য সঠিক তাপমাত্রায় সিদ্ধ করে রান্না করতে হবে। মাংসে ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি থেকেই যায়। তাই দীর্ঘসময় মাংস ফ্রিজে না রাখাই ভালো। বেশিদিন কোনো খাবার ফ্রিজে সংরক্ষণ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
সূএ: বাংলাদেশ প্রতিদিন