ফুটপাত দখলে, দুর্ভোগে পথচারীরা

এক সড়কের নেত্রকোনা পৌর শহরে নেই পর্যাপ্ত ফুটপাত। যেটুকু রয়েছে তার সবটাই ব্যবসায়ীদের দখলে। হেঁটে চলার সুযোগ নেই। এক কিলোমিটার সড়কে জ্যামে বসে থাকতে হয় আধাঘণ্টা থেকে প্রায় এ ঘণ্টা। হাঁটতে পারে না শিক্ষার্থীরাও।

 

জানা গেছে, ২১.০২ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের নেত্রকোনা পৌরসভাটি কাগজেকলমে ‘ক’ শ্রেণির হলেও সড়কে চলাফেরায় আধুনিকতার কোন ছোঁয়া লাগেনি। একটি মাত্র প্রধান সড়ক দিয়ে চলাচল করে পুরো শহরের মানুষ। মোক্তারপাড়া মগড়া নদীর ব্রিজ হতে তেরিবাজার পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটারে আবার পুরোটাতে ফুটপাত নেই। কোথাও একপাশে আছে তো অন্যপাশে নেই।

 

যেটুকু আছে তার পুরোটাই ফলমূল আর শাকসবজিসহ বিভিন্ন দোকানিদের দখলে থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে পথচারীদের। শহরটির প্রায় ১ কিলোমিটার ফুটপাতে ৭টি পয়েন্টে ৭০টি ফল, ১৫০টি শাকসবজি, ২০টি ফুচকা ও অর্ধশত কাপড়ের দোকান রয়েছে।

 

বয়স্ক থেকে শুরু করে শিক্ষার্থীসহ সব ধরনের মানুষের হাঁটাচলায় চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। সাধারণ মানুষ বলছেন, ফুটপাতমুক্ত করে দিলে জ্যাম থাকলেও মানুষ অল্প সময়ে হেঁটে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারতেন। এখন বসে থাকা লাগে।

 

স্থানীয়রা জানান, মোক্তারপাড়া থেকে মেছুয়া বাজার পর্যন্ত দু’পাশে রয়েছে ফুটপাত। আবার মেছুয়া বাজার থেকে তেরিবাজার সবটাতে নেই। পোদ্দারপট্টি পর্যন্ত একপাশে আছে অপর পাশে নেই। এরপর তেরিবাজার থেকে আবার থানার মোড় পর্যন্ত কোনো পাশেই নেই ফুটপাত। অনেক জায়গায় সরু সড়ক।

 

মোক্তারপাড়া তিনটি স্কুলের সামনে এবং মেছুয়া বাজার ও ছোট বাজার পর্যন্ত ফুটপাতে আবার ফলমূল, ফুচকা, শাকসবজি আর কাপড়চোপড়সহ নানা ধরনের ব্যবসায়ীদের দখলে।

কোনোমতেই ফুটপাত দিয়ে হেঁটে চলাচল করতে পারেন না স্কুলের শিক্ষার্থীসহ বৃদ্ধরা ছাড়াও যে কোনো বয়সেরই নারী-পুরুষ। সড়কে নেমে ঝুঁকি নিয়েই চলেন তারা। শিক্ষার্থীসহ সাধারণ নাগরিকদের অভিযোগ এগুলো দেখার কেউ নেই।

 

এদিকে সুপার মার্কেটের সামনে দখলদার ব্যবসায়ীরা বলছেন, তাদেরকে বললেই তারা দোকানে ঢুকে যাবেন। অন্যদিকে ফল ব্যবসায়ীরা বলছেন, তাদের অন্যত্র কোথাও জায়গা নেই; তাই ফুটপাত দখল করে আছেন। আর ভ্যানচালকরা জানান, তারা সড়ক পরিষ্কার রেখেই জীবিকা নির্বাহ করছেন।

 

নেত্রকোনা পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম খান বলেন, গত করোনাকালে সাবেক জেলা প্রশাসক ব্যবসায়ীদের বিপৎকালীন সময়ে সড়কে বসতে দিয়েছিলেন। তাই অনেকে রয়ে গেছে। এদেরকে সরানো হয়েছিল। কিন্তু আবার বসে পড়েছে। তবে এবার দ্রুতই সড়কের উভয় পাশ দখলমুক্ত করে মানুষের চলাচলের উপযোগী করা হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি। সূএ: বাংলাদেশ প্রতিদিন

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ইন্টারন্যাশনাল ডিজ্যাবিলিটি আর্ট ফেস্টিভ্যাল শুরু

» তীব্র গরমে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করলেন ইউএনও

» লালমনিরহাটে হিট স্ট্রোকে অটোচালকের মৃত্যু

» ইউএনওর ফোন নম্বর ক্লোন করে প্রার্থীদের সাথে প্রতারণার চেষ্টা

» দেশ ও জনগণের জন্য কাজ করুন, আ.লীগ নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী

» প্রতিক্রিয়াশীল চক্র গণতন্ত্রবিরোধী অপপ্রচার চালাচ্ছে : পরশ

» আগামীকাল ১২ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়

» বন্দনা করা ছাড়া জাপার কোনো রাজনীতি নেই: ফিরোজ রশিদ

» বাংলাদেশের উন্নয়নে পাকিস্তান প্রশংসা করে অথচ বিরোধী দল দেখে না: কাদের

» থাই পিএমও-তে প্রধানমন্ত্রীকে উষ্ণ আন্তরিক অভ্যর্থনা

উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

ফুটপাত দখলে, দুর্ভোগে পথচারীরা

এক সড়কের নেত্রকোনা পৌর শহরে নেই পর্যাপ্ত ফুটপাত। যেটুকু রয়েছে তার সবটাই ব্যবসায়ীদের দখলে। হেঁটে চলার সুযোগ নেই। এক কিলোমিটার সড়কে জ্যামে বসে থাকতে হয় আধাঘণ্টা থেকে প্রায় এ ঘণ্টা। হাঁটতে পারে না শিক্ষার্থীরাও।

 

জানা গেছে, ২১.০২ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের নেত্রকোনা পৌরসভাটি কাগজেকলমে ‘ক’ শ্রেণির হলেও সড়কে চলাফেরায় আধুনিকতার কোন ছোঁয়া লাগেনি। একটি মাত্র প্রধান সড়ক দিয়ে চলাচল করে পুরো শহরের মানুষ। মোক্তারপাড়া মগড়া নদীর ব্রিজ হতে তেরিবাজার পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটারে আবার পুরোটাতে ফুটপাত নেই। কোথাও একপাশে আছে তো অন্যপাশে নেই।

 

যেটুকু আছে তার পুরোটাই ফলমূল আর শাকসবজিসহ বিভিন্ন দোকানিদের দখলে থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে পথচারীদের। শহরটির প্রায় ১ কিলোমিটার ফুটপাতে ৭টি পয়েন্টে ৭০টি ফল, ১৫০টি শাকসবজি, ২০টি ফুচকা ও অর্ধশত কাপড়ের দোকান রয়েছে।

 

বয়স্ক থেকে শুরু করে শিক্ষার্থীসহ সব ধরনের মানুষের হাঁটাচলায় চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। সাধারণ মানুষ বলছেন, ফুটপাতমুক্ত করে দিলে জ্যাম থাকলেও মানুষ অল্প সময়ে হেঁটে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারতেন। এখন বসে থাকা লাগে।

 

স্থানীয়রা জানান, মোক্তারপাড়া থেকে মেছুয়া বাজার পর্যন্ত দু’পাশে রয়েছে ফুটপাত। আবার মেছুয়া বাজার থেকে তেরিবাজার সবটাতে নেই। পোদ্দারপট্টি পর্যন্ত একপাশে আছে অপর পাশে নেই। এরপর তেরিবাজার থেকে আবার থানার মোড় পর্যন্ত কোনো পাশেই নেই ফুটপাত। অনেক জায়গায় সরু সড়ক।

 

মোক্তারপাড়া তিনটি স্কুলের সামনে এবং মেছুয়া বাজার ও ছোট বাজার পর্যন্ত ফুটপাতে আবার ফলমূল, ফুচকা, শাকসবজি আর কাপড়চোপড়সহ নানা ধরনের ব্যবসায়ীদের দখলে।

কোনোমতেই ফুটপাত দিয়ে হেঁটে চলাচল করতে পারেন না স্কুলের শিক্ষার্থীসহ বৃদ্ধরা ছাড়াও যে কোনো বয়সেরই নারী-পুরুষ। সড়কে নেমে ঝুঁকি নিয়েই চলেন তারা। শিক্ষার্থীসহ সাধারণ নাগরিকদের অভিযোগ এগুলো দেখার কেউ নেই।

 

এদিকে সুপার মার্কেটের সামনে দখলদার ব্যবসায়ীরা বলছেন, তাদেরকে বললেই তারা দোকানে ঢুকে যাবেন। অন্যদিকে ফল ব্যবসায়ীরা বলছেন, তাদের অন্যত্র কোথাও জায়গা নেই; তাই ফুটপাত দখল করে আছেন। আর ভ্যানচালকরা জানান, তারা সড়ক পরিষ্কার রেখেই জীবিকা নির্বাহ করছেন।

 

নেত্রকোনা পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম খান বলেন, গত করোনাকালে সাবেক জেলা প্রশাসক ব্যবসায়ীদের বিপৎকালীন সময়ে সড়কে বসতে দিয়েছিলেন। তাই অনেকে রয়ে গেছে। এদেরকে সরানো হয়েছিল। কিন্তু আবার বসে পড়েছে। তবে এবার দ্রুতই সড়কের উভয় পাশ দখলমুক্ত করে মানুষের চলাচলের উপযোগী করা হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি। সূএ: বাংলাদেশ প্রতিদিন

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com