সুস্থ থাকতে ফল খাওয়ার বিকল্প নেই। এজন্য আমরা ফল কিনে ফ্রিজে সংরক্ষণ করি। স্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়ার কথা উঠলে সবার প্রথমেই যেটা মনে আসে সেটা হচ্ছে ফল। প্রাকৃতিক চিনি, খাদ্যতালিকাগত ফাইবার, ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ। পুষ্টিগুণে ভরপুর। কিন্তু সমস্যা হল, ফল দ্রুত পচে যায়। একসঙ্গে বেশি কেনা যায় না।
কিছু টিপস মেনে চলুন। যেগুলো মেনে চললে ফলমূল দীর্ঘদিন তাজা রাখা যায়। ফলে বার বার বাজার যেতে হয় না, টাকাপয়সাও বাঁচে।
বিশেষজ্ঞরা দিনে দুই টুকরা ফল খাওয়ার পরামর্শ দেন। শরীরকে সুস্থ রাখতে এতটুকুই যথেষ্ট। তাই ফল কেনার সময় হিসেবি হতে হবে।
কয়টা ফল আছে, কতগুলো কেনা হচ্ছে গুণে রাখতে হবে। তাহলেই ফল নষ্ট হবে না। ফেলে দেওয়ারও প্রয়োজন পড়বে না।
প্রচুর ফল কিনে সেসব ধুয়ে ফ্রিজে ঢুকিয়ে রাখার অভ্যাস অনেকেরই আছে। কিন্তু শুধু ধোয়া নয়। সেগুলো শুকিয়েও রাখতে হয়। না হলে আর্দ্রতার কারণে তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। হয় কেনার পর যেমন আছে তেমনই ফ্রিজে ঢোকাতে হবে। আর ধুলে তোয়ালে দিয়ে মুছে তারপর। খাওয়ার আগে ধোয়া সবচেয়ে ভালো।
এই কৌশলে ফল দীর্ঘদিন তাজা থাকে। বেশিরভাগ সময় আপেল বা নাসপাতির মতো ফল কিনে ফ্রিজের ড্রয়ারে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। এতে লাভ কিছু হয় না। বরং কাগজ বা প্লাস্টিক দিয়ে মুড়ে রাখলে ফল অনেক দিন তাজা রাখা যাবে। বিক্রেতারাও ফলকে দীর্ঘ দিন তাজা রাখতে এই কৌশল ব্যবহার করেন।
দীর্ঘদিন ফল তাজা রাখার এটা সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি। যেটা করতে হবে তা হল, সিঙ্কের ড্রেন পাইপটা বন্ধ করে জল ছাড়তে হবে। এবার ফলগুলো ডুবিয়ে দিতে হবে সেই জলে। এবার তাতে সামান্য নুন এবং এক কাপ ভিনিগার মিশিয়ে নেড়ে নেড়ে নিতে হবে। এতে ফলে থাকা যে কোনও ধরনের মোম এবং ময়লা তো পরিষ্কার হবেই, চোখে দেখা যায় না এমন পোকামাকড়ও মরে যাবে।
ভিনেগারের এই মিশ্রণে অন্তত ৮ থেকে ১০ মিনিট ফলগুলোকে ডুবিয়ে রাখতে হবে। এতে ছাঁচ পড়বে না। ১০ মিনিট হয়ে গেলে ফলগুলোকে তুলে সাধারণ জলে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। তারপর সেগুলো শুকিয়ে বা তোয়ালে দিয়ে মুছে প্যাকেটে মুড়ে ফ্রিজে ঢোকাতে হবে। এতে ফল যে কতদিন তাজা থাকবে কল্পনাও করা যাবে না!