ছবি : সংগৃহীত
অনলাইন ডেস্ক : ডিমের মতো সস্তা ও পুষ্টিকর খাবার কমই আছে। বিরল পুষ্টির ভাণ্ডার ডিম। সকালের নাস্তাসহ দিনের নানা সময়ে ডিম খাওয়া যায়। সাধারণত দুই রকমের ডিমের বিক্রি সব থেকে বেশি। একটি হলো দেশি মুরগির ডিম, অন্যটি পোলট্রি মুরগির ডিম।
যখন গৃহপালিত মুরগির ডিম বিক্রি করা হয়, তখন তাকে বলা হয় দেশি মুরগির ডিম। পোলট্রি ফার্মে যখন চাষ বা ফার্মিং করে মুরগির ডিম উৎপন্ন করা হয়, তখন তাকে বলা হয় পোলট্রির ডিম। দেশি মুরগির ডিম ও পোলট্রির ডিমের চেহারা, স্বাদ ও পুষ্টিগুণ আলাদা। কারণ দুই রকমের মুরগির খাদ্যাভ্যাসও আলাদা।
দেশি মুরগি সাধারণত অনেক খোলামেলাভাবে প্রতিপালিত হয়। তারা ঘাসের বীজ, পোকামাকড় থেকে শুরু করে খুদ কুড়ার মতো সাধারণ খাবার খায়। অন্যদিকে, পোলট্রি মুরগিকে বিশেষ খাবার খাওয়ানো হয়।
ছোট ছোট ঘুপচি খাঁচায় প্রতিপালিত এই মুরগিদের দানাশস্য, ভুট্টার মতো খাবার খাওয়ানো হয়। এই পার্থক্যের জন্য দুই রকম ডিমের স্বাদ ও পুষ্টিমূল্য আলাদা হয়। দেশি মুরগির ডিমের স্বাদ ও পুষ্টিমূল্য অনেক বেশি। দেশি মুরগির ডিমে প্রোটিন বেশি বলে পেশিশক্তি বেড়ে ওঠে। শরীর গঠন মজবুত হয় বলে জানিয়েছেন পুষ্টিবিদরা।
দেশি মুরগির ডিমে ওমেগা-৩ এসিড ভরপুর। ফলে হার্টের সুস্থতা বজায় থাকে। এছাড়া, ভিটামিন এ, ডি এবং ই, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টস প্রচুর পরিমাণে থাকে। ফলে সার্বিক স্বাস্থ্য ও রোগ প্রতিরোধ শক্তি মজবুত হয়।
পোলট্রির ডিমের তুলনায় দেশি মুরগির ডিমে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট বেশি। এটি খেলে ইনফ্লেম্যাশন কমে, বাড়ে হৃদযন্ত্রের সুস্থতা। ওমেগা-৩ ও ওমেগা-৬ ফ্যাটি এসিডের ভারসাম্যের দিক থেকেও দেশি মুরগির ডিম এগিয়ে থাকবে। ফলে পোলট্রির ডিম খেলে বাড়তে পারে ইনফ্লেম্যাশন।
পোলট্রি মুরগিকে ওষুধ হিসেবে অ্যান্টিবায়োটিক ও হরমোন দেওয়া হয়। বেশি পরিমাণে খেলে মানবদেহে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়তে পারে। সেদিকে দেশি মুরগি অনেক বেশি প্রাকৃতিকভাবে প্রতিপালিত হয়।
দুই রকম ডিমই পুষ্টিগুণে ভরপুর। তবে কিছুটা হলেও পুষ্টিমূল্যে এগিয়ে থাকবে দেশি মুরগির ডিম। এর দামও তুলনামূলকভাবে বেশি। তাই দেশি ডিম খাওয়াই ভালো মনে করেন পুষ্টিবিদরা। সূত্র : নিউজ ১৮