পশু জবাইয়ের সময় কোরবানিদাতার নাম নেয়া কি জরুরি?

আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় পশু উৎসর্গ দেয়াকে কোরবানি বলে। যার আভিধানিক অর্থ ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ। কোরবানি ইসলামের অতি গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ ইবাদত। যারা সামর্থ্যবান তাদের জন্য কোরবানি ওয়াজিব। আল্লাহর রাসুল (সা.) প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলমানকে কোরবানি দিতে উৎসাহ দিয়েছেন।

 

অনেক জায়গায় কোরবানির পশু জবাইয়ের সময় কোরবানি দাতার নাম পড়ে শোনানো হয়। তবে পশু জবাইয়ের সময় কুরবানিদাতাদের নাম উল্লেখ করা জরুরি নয়। কেননা কাদের পক্ষ থেকে পশু কুরবানি করা হচ্ছে, সেটি তো পশু ক্রয়ের সময়ই নির্ধারিত হয়ে গেছে।

কিছু হাদিসে দোয়া পড়ে কোরবানি করার আগে কার পক্ষ থেকে কোরবানি করা হচ্ছে তার নাম বলে তারপর ‘আল্লাহু আকবার’ বলে জবাই করার সমর্থন পাওয়া যায়। যেমন হাদিসে এসেছে- হজরত জাবের বিন আবদুল্লাহ (রহ.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) যখন কোরবানির দিন দুটি শিংওয়ালা মোটাতাজা বকরি জবাই করতেন, কোরবানির পশু শোয়ানোর পর তিনি পড়তেন ‘ইন্নি ওয়াজ্জাহতু ওয়াজহিয়া লিল্লালিল্লাজি ফাতারাস সামাওয়াতি ওয়াল আরদি হানিফা, ওয়াআনা মিনাল মুসলিমিন। আল্লাহুম্মা মিনকা ওয়ালাকা ওয়া আন মুহাম্মাদিন (মুহাম্মদের পক্ষ থেকে) ওয়া উম্মাতিহি (তার উম্মতের পক্ষ থেকে) বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার।’ তারপর কোরবানি করতেন। (আবু দাউদ : ২৭৯৫)

 

শরিকানা পশুতেও জবাইয়ের সময় সবার নাম বলা যায়। যেহেতু যিনি জবাই করছেন তিনি সাতজন ব্যক্তির প্রতিনিধি হয়ে জবাই করছেন। তাই কোরবানি করার সময় তাদের পক্ষ থেকে তিনি কোরবানি করছেন, এ কথাটি পরিষ্কার করার জন্য নামগুলো বলা যায়। এতে দোষের কিছু নেই।

 

উল্লিখিত হাদিস থেকে জানা যায়, দোয়া পড়ে জবাই করলে আগে নাম উল্লেখ করায় কোনো সমস্যা নেই। তবে মুখে সব শরিকের নাম বলা জরুরি বিষয় নয়; বরং জবাইকারী শুধু পশুটির মালিকদের নামে কোরবানি করছেন- এতটুকু মনের মধ্যে রেখে জবাই করলেও কোরবানি বিশুদ্ধ হয়ে যাবে। তাই নাম বলা নিয়ে জবাইকারীকে পেরেশানি করার প্রয়োজন নেই। (ফাতাওয়া দারুল উলুম দেওবন্দ : ১৫/৫১৭; বাদায়েউস সানায়ে : ৫/৭১)

সূএ:ডেইলি বাংলাদেশ

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» সুবিচার নিশ্চিত করে সরকার প্রমাণ করতে চায় শেখ হাসিনার চাইতে ভিন্ন: আইন উপদেষ্টা

» হাসিনা ছিল পৃথিবীর সবচেয়ে বড় স্বৈরাচার: দুদু

» সংস্কার প্রতিবেদনের আলোকে গণঅভ্যুত্থানের চার্টার তৈরি হবে: ড. ইউনূস

» মালয়েশিয়ার হাইকমিশনারের সঙ্গে জামায়াত আমিরের সৌজন্য সাক্ষাৎ

» শর্তহীন মার্জনা

» ভুলে শিশুর বাম চোখের বদলে ডান চোখে অপারেশনের অভিযোগ

» ন্যায়বিচার পেয়েছি, আমরা সন্তুষ্ট: আইনজীবী জয়নুল আবেদীন

» আবারও রিমান্ডে সালমান-পলক

» শীতে পরিযায়ী পাখিরা কীভাবে সহস্র মাইল পথ চিনে যায়-আসে?

» নারীকে গলা কেটে হত্যা

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

পশু জবাইয়ের সময় কোরবানিদাতার নাম নেয়া কি জরুরি?

আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় পশু উৎসর্গ দেয়াকে কোরবানি বলে। যার আভিধানিক অর্থ ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ। কোরবানি ইসলামের অতি গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ ইবাদত। যারা সামর্থ্যবান তাদের জন্য কোরবানি ওয়াজিব। আল্লাহর রাসুল (সা.) প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলমানকে কোরবানি দিতে উৎসাহ দিয়েছেন।

 

অনেক জায়গায় কোরবানির পশু জবাইয়ের সময় কোরবানি দাতার নাম পড়ে শোনানো হয়। তবে পশু জবাইয়ের সময় কুরবানিদাতাদের নাম উল্লেখ করা জরুরি নয়। কেননা কাদের পক্ষ থেকে পশু কুরবানি করা হচ্ছে, সেটি তো পশু ক্রয়ের সময়ই নির্ধারিত হয়ে গেছে।

কিছু হাদিসে দোয়া পড়ে কোরবানি করার আগে কার পক্ষ থেকে কোরবানি করা হচ্ছে তার নাম বলে তারপর ‘আল্লাহু আকবার’ বলে জবাই করার সমর্থন পাওয়া যায়। যেমন হাদিসে এসেছে- হজরত জাবের বিন আবদুল্লাহ (রহ.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) যখন কোরবানির দিন দুটি শিংওয়ালা মোটাতাজা বকরি জবাই করতেন, কোরবানির পশু শোয়ানোর পর তিনি পড়তেন ‘ইন্নি ওয়াজ্জাহতু ওয়াজহিয়া লিল্লালিল্লাজি ফাতারাস সামাওয়াতি ওয়াল আরদি হানিফা, ওয়াআনা মিনাল মুসলিমিন। আল্লাহুম্মা মিনকা ওয়ালাকা ওয়া আন মুহাম্মাদিন (মুহাম্মদের পক্ষ থেকে) ওয়া উম্মাতিহি (তার উম্মতের পক্ষ থেকে) বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার।’ তারপর কোরবানি করতেন। (আবু দাউদ : ২৭৯৫)

 

শরিকানা পশুতেও জবাইয়ের সময় সবার নাম বলা যায়। যেহেতু যিনি জবাই করছেন তিনি সাতজন ব্যক্তির প্রতিনিধি হয়ে জবাই করছেন। তাই কোরবানি করার সময় তাদের পক্ষ থেকে তিনি কোরবানি করছেন, এ কথাটি পরিষ্কার করার জন্য নামগুলো বলা যায়। এতে দোষের কিছু নেই।

 

উল্লিখিত হাদিস থেকে জানা যায়, দোয়া পড়ে জবাই করলে আগে নাম উল্লেখ করায় কোনো সমস্যা নেই। তবে মুখে সব শরিকের নাম বলা জরুরি বিষয় নয়; বরং জবাইকারী শুধু পশুটির মালিকদের নামে কোরবানি করছেন- এতটুকু মনের মধ্যে রেখে জবাই করলেও কোরবানি বিশুদ্ধ হয়ে যাবে। তাই নাম বলা নিয়ে জবাইকারীকে পেরেশানি করার প্রয়োজন নেই। (ফাতাওয়া দারুল উলুম দেওবন্দ : ১৫/৫১৭; বাদায়েউস সানায়ে : ৫/৭১)

সূএ:ডেইলি বাংলাদেশ

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com