নির্বাচনের তারিখ নিয়ে গড়িমসি স্বাভাবিক বিষয় নয় : রিজভী

ফাইল ছবি

 

অনলাইন ডেস্ক : বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সংস্কার চলমান প্রক্রিয়া। প্রয়োজনীয় সংস্কারের কথা তো আমরা সবাই বলেছি, কিন্তু সংস্কারের কথা আপনারা বারবার উচ্চারণ করে গণতন্ত্রের পথকে আটকে রাখবেন, এটা মানুষ স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করবে না। একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করতে এই যে গড়িমসি, আমার কাছে মনে হয় এটা কোনো স্বাভাবিক বিষয় নয়। জনগণকে অবশ্যই জানাতে হবে নির্বাচন কবে হবে।

 

রবিবার বিকেলে অমর একুশে বইমেলায় জিয়া স্মৃতি পাঠাগার ও জিয়া পরিষদের স্টলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, অনেকেই বলেছেন যে, নির্বাচনের জন্যই কি বিপ্লব হয়েছে? মানুষ ১৬-১৭ বছর ভোট দিতে পারেনি, তার নিজের চিন্তা অনুযায়ী সরকার পরিবর্তন করতে পারেনি। সুতরাং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন এবং জনগণের ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারার যে অধিকার, সেই অধিকার হরণ করা হয়েছিল, এটা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করা গণতন্ত্রের অন্যতম শর্ত।

 

তিনি বলেন, আজ আমরা যতটুকুই স্বস্তির নিশ্বাস নিতে পারছি, যতটুকুই আলো-বাতাস পাচ্ছি, এটির পরিধি আরও বিস্তর করতে হবে। সামনে আমাদের যে কাজগুলো বাকি সেগুলো নিশ্চিত করতে হবে। আমরা গণতন্ত্রের পথে হাঁটার পরিবেশ পেয়েছি, কিন্তু পরিপূর্ণ গণতন্ত্র আমরা এখনো পাইনি। মানুষ তার মালিকানা এখনো ফিরে পায়নি, অর্থাৎ জনগণ যে তার সরকার গঠন করবে, তার যে ক্ষমতা সেই ক্ষমতা এখনো নিশ্চিত হয়নি। অবাধ, সুষ্ঠু, ইনক্লুসিভ নির্বাচন যে দিন নিশ্চিত হবে, সেই দিন গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় উপাদান নিশ্চিত করা যাবে এবং জনগণ তার মালিকানা ফেরত পেয়ে গণতন্ত্রের পূর্ণ বিকাশের পথে এই জাতি হাঁটতে পারবে।

 

বিএনপির এই শীর্ষ পর্যায়ের নেতা বলেন, সত্যিকার অর্থে যদি গণতান্ত্রিক পরিবেশ থাকে, তখনই সবকিছু বিকাশ লাভ করে, এগিয়ে যাওয়ার একটা পরিবেশ তৈরি হয়। আর সেটি যদি অবরুদ্ধ থাকে, তাহলে তো কোনো কিছুরই বিকাশ হবে না। হুমায়ূন আহমেদ একটি বই লিখেছিলেন, সেই বইয়ের লেখা পরিবর্তন করার জন্য হাইকোর্ট থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, তাহলে গত ১৬-১৭ বছর কী আমল ছিল। বই পাঠ করা এবং জ্ঞানভিত্তিক সমাজ তৈরি করা অত্যন্ত জরুরি। গণতান্ত্রিক সমাজের পূর্ব ভিত্তি হচ্ছে জ্ঞানভিত্তিক সমাজ।

 

অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালামসহ জিয়া স্মৃতি পাঠাগার এবং জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» গণঅভ্যুত্থানে আহত প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন অভিমুখে যাত্রায় পুলিশের বাধা

» আওয়ামী পুনর্বাসনে ফ্যাসিস্ট আমলা-মিডিয়া উঠেপড়ে লেগেছে

» গণহত্যায় আহতদের চিকিৎসায় অবহেলা করা হয়নি : স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

» নির্বাচনের তারিখ নিয়ে গড়িমসি স্বাভাবিক বিষয় নয় : রিজভী

» সিরিয়ায় তুরস্কের অভিযানে নিহত ২৩ কুর্দি যোদ্ধা

» নির্বাচন দেরিতে হলে স্বৈরাচার ষড়যন্ত্রের সুযোগ পাবে : তারেক রহমান

» ইসলামপুরে ৪৬তম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন

» নড়াইলে কৃষকদের মাঝে প্রাইম ব্যাংকের প্রকাশ্যে কৃষি ঋণ বিতরণ

» সেরা পারফরমারদের সম্মাননা দিল বিডিঅ্যাপস অ্যাওয়ার্ড নাইট ২০২৪

» “আগামীর নির্বাচন হবে একটি মডেল নির্বাচন” ..নওগাঁয় নির্বাচন কমিশনার

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

নির্বাচনের তারিখ নিয়ে গড়িমসি স্বাভাবিক বিষয় নয় : রিজভী

ফাইল ছবি

 

অনলাইন ডেস্ক : বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সংস্কার চলমান প্রক্রিয়া। প্রয়োজনীয় সংস্কারের কথা তো আমরা সবাই বলেছি, কিন্তু সংস্কারের কথা আপনারা বারবার উচ্চারণ করে গণতন্ত্রের পথকে আটকে রাখবেন, এটা মানুষ স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করবে না। একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করতে এই যে গড়িমসি, আমার কাছে মনে হয় এটা কোনো স্বাভাবিক বিষয় নয়। জনগণকে অবশ্যই জানাতে হবে নির্বাচন কবে হবে।

 

রবিবার বিকেলে অমর একুশে বইমেলায় জিয়া স্মৃতি পাঠাগার ও জিয়া পরিষদের স্টলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, অনেকেই বলেছেন যে, নির্বাচনের জন্যই কি বিপ্লব হয়েছে? মানুষ ১৬-১৭ বছর ভোট দিতে পারেনি, তার নিজের চিন্তা অনুযায়ী সরকার পরিবর্তন করতে পারেনি। সুতরাং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন এবং জনগণের ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারার যে অধিকার, সেই অধিকার হরণ করা হয়েছিল, এটা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করা গণতন্ত্রের অন্যতম শর্ত।

 

তিনি বলেন, আজ আমরা যতটুকুই স্বস্তির নিশ্বাস নিতে পারছি, যতটুকুই আলো-বাতাস পাচ্ছি, এটির পরিধি আরও বিস্তর করতে হবে। সামনে আমাদের যে কাজগুলো বাকি সেগুলো নিশ্চিত করতে হবে। আমরা গণতন্ত্রের পথে হাঁটার পরিবেশ পেয়েছি, কিন্তু পরিপূর্ণ গণতন্ত্র আমরা এখনো পাইনি। মানুষ তার মালিকানা এখনো ফিরে পায়নি, অর্থাৎ জনগণ যে তার সরকার গঠন করবে, তার যে ক্ষমতা সেই ক্ষমতা এখনো নিশ্চিত হয়নি। অবাধ, সুষ্ঠু, ইনক্লুসিভ নির্বাচন যে দিন নিশ্চিত হবে, সেই দিন গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় উপাদান নিশ্চিত করা যাবে এবং জনগণ তার মালিকানা ফেরত পেয়ে গণতন্ত্রের পূর্ণ বিকাশের পথে এই জাতি হাঁটতে পারবে।

 

বিএনপির এই শীর্ষ পর্যায়ের নেতা বলেন, সত্যিকার অর্থে যদি গণতান্ত্রিক পরিবেশ থাকে, তখনই সবকিছু বিকাশ লাভ করে, এগিয়ে যাওয়ার একটা পরিবেশ তৈরি হয়। আর সেটি যদি অবরুদ্ধ থাকে, তাহলে তো কোনো কিছুরই বিকাশ হবে না। হুমায়ূন আহমেদ একটি বই লিখেছিলেন, সেই বইয়ের লেখা পরিবর্তন করার জন্য হাইকোর্ট থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, তাহলে গত ১৬-১৭ বছর কী আমল ছিল। বই পাঠ করা এবং জ্ঞানভিত্তিক সমাজ তৈরি করা অত্যন্ত জরুরি। গণতান্ত্রিক সমাজের পূর্ব ভিত্তি হচ্ছে জ্ঞানভিত্তিক সমাজ।

 

অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালামসহ জিয়া স্মৃতি পাঠাগার এবং জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com