ছবি সংগৃহীত
উৎসবমুখর পরিবেশে ১৭ই মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস এবং ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উদযাপন উপলক্ষ্যে নিউজিল্যান্ড বঙ্গবন্ধু পরিষদ এবং নিউজিল্যান্ডে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের উদ্যেগে রবিবার বিকেল ৬টায় অকল্যান্ড কনস্যুলেট অফিসে আলোচনা সভা, শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, দোয়া মাহফিল ও ইফতার অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নিউজিল্যান্ড বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি প্রকৌশলী ডঃ মোঃ আব্দুর রশিদের সভাপতিত্তে এবং সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী আফজালুর রহমান রনির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নিউজিল্যান্ডের অকল্যন্ডে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের অনারারি কনসাল প্রকৌশলী সফিকুর রহমান ভূঁইয়া (অনু)।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই সমবেত কন্ঠে জাতীয় সংগীত এর মাধ্যমে কনস্যুলেট প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরবর্তীতে মনীষা জাহান মিলা এবং সারমেন সেরেন রদ্রিক্সএর সহযোগিতায় শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। মূল আলোচনা পর্বে বক্তব্য প্রদান করেন কৃষিবিদ জাহান হাসনাত মুকুল, চিশতী হুসাইন, মোহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম খান, জাকির হোসেন, ডাঃ আবুল কাশেম, প্রকৌশলী মীর্জা রাকিব, মনীষা জাহান মিলা এবং অনারারি কনসাল প্রকৌশলী সফিকুর রহমান ভূঁইয়া (অনু)।
সভায় বক্তারা ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ, ১৭ই মার্চে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন এবং শিশু দিবস উদযাপনের তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা করেন। বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশ হতো না। মহান হৃদয়ের অধিকারী বঙ্গবন্ধু ছিলেন শোষিতের পক্ষের মানুষ। খোকা থেকে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি তিনি আমাদের বঙ্গবন্ধু। বাংলা মায়ের সূর্যসন্তান বঙ্গবন্ধুই আমাদের পরিচয়। শোষণহীন দুর্নীতিমুক্ত উন্নত সমাজ প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর আদর্শ আমাদের পাথেয়।
সমাপনী বক্তৃতায় প্রকৌশলী ড: মোঃ আব্দুর রশিদ বঙ্গবন্ধুর কারাগারের রোজনামচা এবং বিভিন্ন ঐতিহাসিক তথ্যের ভিত্তিতে জন্মদিন পালনে বঙ্গবন্ধুর সাদামাটা জীবনের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু আর সব নেতা-নেত্রীর মতো ঘটা করে বিপুল আয়োজনে কখনোই শোডাউন করার উদ্দেশ্যে জন্মদিন পালন করেননি। ঘটাকরে জন্মদিন পালনের চেয়ে নিপীড়িত লাঞ্ছিত দুঃখী বাঙালির সার্বিক মুক্তিই ছিল তার জীবনের মূল লক্ষ্য। তাই যতদিন বাঙালি থাকবে, বাংলাদেশ থাকবে, ততদিন বিশ্বের সকল বাঙালি প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে কৃতজ্ঞচিত্তে এই মহামানবকে স্মরণ করবে বিনম্র শ্রদ্ধায়।
এরপর শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী এবং অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। ইফতারের পূর্ব মুহূর্তে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া পরিচালনা করেন অনারারি কনসাল প্রকৌশলী সফিকুর রহমান ভূঁইয়া (অনু)।
২ দফা নামাজের বিরতি এবং ইফতার শেষে রাত ৯টায় অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। পুরো অনুষ্ঠান এবং সবার সম্মিলিত অবদানে ইফতার আয়োজনে সার্বিক সহায়তায় ছিলেন মাহবুবা আজিজ খান, মনীষা জাহান মিলা, সৈয়দ জি এম জুলফিকার হায়দার, সারমেন সেরেন রদ্রিক্স শামামা শাহরিন এবং ইলোরা জাকির। অনুষ্ঠানে নিউজিল্যান্ড বঙ্গবন্ধু পরিষদের সদস্যবৃন্দ এবং বাংলাদেশ কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। সূএ: বাংলাদেশ প্রতিদিন