নতুন রাজনৈতিক জোট নিয়ে আলোচনা

আগামী নির্বাচন ও সম্ভাব্য আন্দোলন কর্মসূচি সামনে রেখে নতুন একটি রাজনৈতিক জোট গঠনের আলোচনা শুরু হয়েছে। রাজপথের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি’র বাইরে থাকা সরকার বিরোধী দলগুলো এই জোটে অংশ নেবে বলে নেতারা জানিয়েছেন। এই জোটের নেতৃত্বে থাকবেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি আ স ম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না ও গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া। উদ্যোগ গ্রহণকারীরা এরইমধ্যে সরকার বিরোধী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছেন। ঈদের পরে আনুষ্ঠানিকভাবে বৈঠক করার কথা রয়েছে। বিএনপি সরাসরি এই জোটে না আসলেও আগামীর আন্দোলন সংগ্রামে সবাই একসঙ্গে মাঠে থাকবেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

 

জানা গেছে, সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে মাঠে সরব এমন প্রত্যেক দলের সঙ্গে বৈঠক করে তাদের মতামত নিয়ে রূপরেখা তৈরির উদ্যোগ নেয়া হবে। কোনো দলের সঙ্গে মতবিরোধ দেখা দিলে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হবে। এ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে রাজনৈতিক দলগুলোর শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে ইফতারে অংশ নিয়েছেন উদ্যোক্তারা।

এই জোট হবে আন্দোলনমুখী। মূলত দুই দাবি নিয়ে এই জোট গঠন করা হবে। এক, বর্তমান সরকারের পদত্যাগ। দুই, আগামী নির্বাচনের জন্য একটি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করা।

জোটের উদ্যোক্তারা বলছেন, তারা যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা বলছেন, তার মেয়াদ ২ থেকে তিন বছর হতে পারে। এই সময়ে ওই সরকার নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নেবে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে কোনো সরকারই তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন প্রস্তুতি নিতে পারবে না।

এদিকে নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা নিয়ে ইতিমধ্যে বিভিন্ন দলের ভিন্ন ভিন্ন মত তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা নিয়ে বিএনপি’র অবস্থান স্পষ্ট করা হয়েছে। দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে। বর্তমান সরকারের অধীনে কিংবা কোনো জাতীয় সরকারের অধীনে নয়। বিজয়ী হলে নির্বাচনের পরে সব গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তিকে নিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করবে বিএনপি। নির্বাচনের আগে নয়। চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ভূমিকা রাখা কোনো দলের শীর্ষ নেতা নির্বাচনে বিজয়ী না হলেও জাতীয় সরকারে তাদের রাখা হবে বলে জানিয়েছেন দলটির নেতারা। এ নিয়ে নতুন জোটের উদ্যোগ নেয়া নেতারা জানান, বিএনপি’র এই প্রস্তাবকে তারা স্বাগত জানান। তবে নির্দলীয় সরকারের মেয়াদের বিষয়টি নিয়ে আরও আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। কারণ দেশের বর্তমান যে প্রেক্ষাপট চলছে এতে করে এত অল্প সময়ের মধ্যে কারও পক্ষেই একটা নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করা সম্ভব না।

এদিকে নতুন এই জোটে জামায়াতে ইসলামীরও অংশগ্রহণ দেখা যেতে পারে। তবে এটা নিয়ে এখনো কিছুটা ধোঁয়াশা রয়েছে। কারণ ইতিমধ্যে বাম দলগুলোর পক্ষ থেকে জামায়াতের সঙ্গে জোটবদ্ধ আন্দোলনের বিষয়ে অনীহা প্রকাশ করা হয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত জোটের উদ্যোক্তারা আন্দোলনে জামায়াতকে সঙ্গে রাখার জন্য অন্য দলগুলো সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করবেন বলে জানা গেছে। যদিও জামায়াতের সঙ্গে এ বিষয়ে কারও পক্ষ থেকে কোনো মৌখিক প্রস্তাব দেয়া হয়নি বলে জামায়াত সূত্রে জানা গেছে।
জোট সংশ্লিষ্ট এক নেতা  বলেন, বিএনপি বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম রাজনৈতিক দল। তাদের সারা দেশে লাখ লাখ নেতাকর্মী রয়েছে। বিএনপি যেমন এই সরকারের পদত্যাগ চায় আমাদের চাওয়াও একই। আমরা আমাদের আন্দোলনে শরিক হওয়ার জন্য তাদের আমন্ত্রণ জানাবো। বিএনপি আমাদের এই উদ্যোগের বিরোধিতা করবে বলে আমার মনে হয় না। আর আন্দোলনের বিষয়ে বিএনপি আমাদের যেকোনো সময় ডাকলে অবশ্যই তাদের ডাকে আমরা সাড়া দিবো।

জানতে চাইলে জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, এই সরকারের বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করতে হবে। সেটা যুগপৎ হোক আর জোটগত। সবার সঙ্গে আমাদের আলাপ আলোচনা চলছে। তবে চূড়ান্ত কিছু হয়নি এখনো। যাই হোক এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেয়া যাবে না।

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আন্দোলন অবশ্যই ঐক্যবদ্ধই হওয়া দরকার। সেটার জন্য আমরা চেষ্টা করছি। ঈদের পরে আমরা বসবো কীভাবে আন্দোলন করা যায়। আর কিছু কিছু গ্রাউন্ড ওয়ার্ক তো আমাদের করাই আছে।
গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, দেশের মানুষ এই সরকারের ওপর খুবই বিরক্ত। তারা একটা আন্দোলন চায়। আমরা মনে করি এই সরকারকে হটানোর জন্য কারও না কারও উদ্যোগ নেয়া দরকার। আশা করছি খুব শিগগিরই নতুন কিছু দেখতে পারবেন। তবে এই সরকারকে হটাতে হলে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই। সূএ:মানবজমিন

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ইন্টারন্যাশনাল ডিজ্যাবিলিটি আর্ট ফেস্টিভ্যাল শুরু

» তীব্র গরমে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করলেন ইউএনও

» লালমনিরহাটে হিট স্ট্রোকে অটোচালকের মৃত্যু

» ইউএনওর ফোন নম্বর ক্লোন করে প্রার্থীদের সাথে প্রতারণার চেষ্টা

» দেশ ও জনগণের জন্য কাজ করুন, আ.লীগ নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী

» প্রতিক্রিয়াশীল চক্র গণতন্ত্রবিরোধী অপপ্রচার চালাচ্ছে : পরশ

» আগামীকাল ১২ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়

» বন্দনা করা ছাড়া জাপার কোনো রাজনীতি নেই: ফিরোজ রশিদ

» বাংলাদেশের উন্নয়নে পাকিস্তান প্রশংসা করে অথচ বিরোধী দল দেখে না: কাদের

» থাই পিএমও-তে প্রধানমন্ত্রীকে উষ্ণ আন্তরিক অভ্যর্থনা

উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

নতুন রাজনৈতিক জোট নিয়ে আলোচনা

আগামী নির্বাচন ও সম্ভাব্য আন্দোলন কর্মসূচি সামনে রেখে নতুন একটি রাজনৈতিক জোট গঠনের আলোচনা শুরু হয়েছে। রাজপথের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি’র বাইরে থাকা সরকার বিরোধী দলগুলো এই জোটে অংশ নেবে বলে নেতারা জানিয়েছেন। এই জোটের নেতৃত্বে থাকবেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি আ স ম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না ও গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া। উদ্যোগ গ্রহণকারীরা এরইমধ্যে সরকার বিরোধী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছেন। ঈদের পরে আনুষ্ঠানিকভাবে বৈঠক করার কথা রয়েছে। বিএনপি সরাসরি এই জোটে না আসলেও আগামীর আন্দোলন সংগ্রামে সবাই একসঙ্গে মাঠে থাকবেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

 

জানা গেছে, সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে মাঠে সরব এমন প্রত্যেক দলের সঙ্গে বৈঠক করে তাদের মতামত নিয়ে রূপরেখা তৈরির উদ্যোগ নেয়া হবে। কোনো দলের সঙ্গে মতবিরোধ দেখা দিলে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হবে। এ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে রাজনৈতিক দলগুলোর শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে ইফতারে অংশ নিয়েছেন উদ্যোক্তারা।

এই জোট হবে আন্দোলনমুখী। মূলত দুই দাবি নিয়ে এই জোট গঠন করা হবে। এক, বর্তমান সরকারের পদত্যাগ। দুই, আগামী নির্বাচনের জন্য একটি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করা।

জোটের উদ্যোক্তারা বলছেন, তারা যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা বলছেন, তার মেয়াদ ২ থেকে তিন বছর হতে পারে। এই সময়ে ওই সরকার নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নেবে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে কোনো সরকারই তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন প্রস্তুতি নিতে পারবে না।

এদিকে নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা নিয়ে ইতিমধ্যে বিভিন্ন দলের ভিন্ন ভিন্ন মত তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা নিয়ে বিএনপি’র অবস্থান স্পষ্ট করা হয়েছে। দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে। বর্তমান সরকারের অধীনে কিংবা কোনো জাতীয় সরকারের অধীনে নয়। বিজয়ী হলে নির্বাচনের পরে সব গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তিকে নিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করবে বিএনপি। নির্বাচনের আগে নয়। চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ভূমিকা রাখা কোনো দলের শীর্ষ নেতা নির্বাচনে বিজয়ী না হলেও জাতীয় সরকারে তাদের রাখা হবে বলে জানিয়েছেন দলটির নেতারা। এ নিয়ে নতুন জোটের উদ্যোগ নেয়া নেতারা জানান, বিএনপি’র এই প্রস্তাবকে তারা স্বাগত জানান। তবে নির্দলীয় সরকারের মেয়াদের বিষয়টি নিয়ে আরও আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। কারণ দেশের বর্তমান যে প্রেক্ষাপট চলছে এতে করে এত অল্প সময়ের মধ্যে কারও পক্ষেই একটা নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করা সম্ভব না।

এদিকে নতুন এই জোটে জামায়াতে ইসলামীরও অংশগ্রহণ দেখা যেতে পারে। তবে এটা নিয়ে এখনো কিছুটা ধোঁয়াশা রয়েছে। কারণ ইতিমধ্যে বাম দলগুলোর পক্ষ থেকে জামায়াতের সঙ্গে জোটবদ্ধ আন্দোলনের বিষয়ে অনীহা প্রকাশ করা হয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত জোটের উদ্যোক্তারা আন্দোলনে জামায়াতকে সঙ্গে রাখার জন্য অন্য দলগুলো সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করবেন বলে জানা গেছে। যদিও জামায়াতের সঙ্গে এ বিষয়ে কারও পক্ষ থেকে কোনো মৌখিক প্রস্তাব দেয়া হয়নি বলে জামায়াত সূত্রে জানা গেছে।
জোট সংশ্লিষ্ট এক নেতা  বলেন, বিএনপি বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম রাজনৈতিক দল। তাদের সারা দেশে লাখ লাখ নেতাকর্মী রয়েছে। বিএনপি যেমন এই সরকারের পদত্যাগ চায় আমাদের চাওয়াও একই। আমরা আমাদের আন্দোলনে শরিক হওয়ার জন্য তাদের আমন্ত্রণ জানাবো। বিএনপি আমাদের এই উদ্যোগের বিরোধিতা করবে বলে আমার মনে হয় না। আর আন্দোলনের বিষয়ে বিএনপি আমাদের যেকোনো সময় ডাকলে অবশ্যই তাদের ডাকে আমরা সাড়া দিবো।

জানতে চাইলে জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, এই সরকারের বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করতে হবে। সেটা যুগপৎ হোক আর জোটগত। সবার সঙ্গে আমাদের আলাপ আলোচনা চলছে। তবে চূড়ান্ত কিছু হয়নি এখনো। যাই হোক এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেয়া যাবে না।

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আন্দোলন অবশ্যই ঐক্যবদ্ধই হওয়া দরকার। সেটার জন্য আমরা চেষ্টা করছি। ঈদের পরে আমরা বসবো কীভাবে আন্দোলন করা যায়। আর কিছু কিছু গ্রাউন্ড ওয়ার্ক তো আমাদের করাই আছে।
গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, দেশের মানুষ এই সরকারের ওপর খুবই বিরক্ত। তারা একটা আন্দোলন চায়। আমরা মনে করি এই সরকারকে হটানোর জন্য কারও না কারও উদ্যোগ নেয়া দরকার। আশা করছি খুব শিগগিরই নতুন কিছু দেখতে পারবেন। তবে এই সরকারকে হটাতে হলে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই। সূএ:মানবজমিন

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com