নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষার্থী মিলে চালু করল ই-কমার্স প্লাটফর্ম ‘হেপিকার্ট’

ই-কমার্স বিজনেস প্ল্যান-বর্তমান সময়ে ইন্টারনেট ব্যবহার করার মাধ্যমে বিজনেস তথা ব্যবসার নতুন একটি অধ্যায় শুরু হয়েছে। তার ধারা বজায় রেখে বাংলাদেশেও ই-কমার্স ব্যবসার প্রসার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রযুক্তিগত উন্নতির ফলে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে গিয়েছে ই-কমার্স। সব কিছু একদম সহজলভ্য হওয়ার ফলে মানুষের এর প্রতি চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

 

চাহিদা সাথে তাল মিলিয়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু তরুণ উদ্যোক্তা শিক্ষার্থী মিলিত হয়ে চালু করল নতুন ই-কমার্স প্লাটফর্ম হেপিকার্ট (happycart.store)। বৃহস্পতিবার(১০ মার্চ) এক আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে ব্যবসাটির উদ্বোধন করা হয়।

বর্তমানে দেশের ক্রমবর্ধমান ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রিতে ক্রেতাদের সহজ এবং ঝামেলাবিহীন অনলাইন কেনাকাটা এবং দ্রুততম সময়ে পণ্য ক্রেতাদের দোরগোড়ায় পৌঁছানো নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বই, ড্রেস এবং ইলেকট্রনিক্স সামগ্রীর মানসম্মত পণ্যসম্ভার নিয়ে হেপিকার্ট এখন থেকে সেবা দিয়ে যাবে। এবং ধীরে ধীরে প্রায় সকল ধরনের পন্য সামগ্রী হেপিকার্টে পাওয়া যাবে।

 

হেপিকার্টের উদ্বোধনের আগে প্রি-অর্ডার নেওয়া হয় এবং বৃহস্পতিবার(১০মার্চ) পন্যগুলোর ডেলিভারির মাধ্যমে ব্যবসাটির যাত্রা শুরু হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ মিলন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রিমন সরকার,প্রভাষক সাজন সাহা এবং প্রভাষক মোঃ আতিকুর রহমান খান ।

 

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোহাম্মদ মিলন বলেন ”
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দ্বারা বাংলাদেশের ই-কমার্স খাতে হেপিকার্টের যাত্রা শুরু করায় আমি অত্যান্ত আনন্দিত। বাংলাদেশের ই-কমার্সের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছি। এই শিল্প চর্চায় বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠানের আহবান যেন সার্বোজনীন মতামত। হেপিকার্ট ক্রেতাদের বিশ্বাস অর্জনের পাশাপাশি অনলাইন ক্রেতাদের পছন্দসই চাহিদা মেটাবে বলে আমি আশাবাদী। হেপিকার্টের এর ভবিষ্যত সাফল্য কামনা করি।

 

হেপিকার্টের প্রতিষ্ঠাতা এবং সি. ই. ও. মো: সিয়াম হোসেন বলেন ” বিশ্বাসের জায়গায় থেকে আমরা পন্য হাতে পাওয়ার পর মূল্য পরিশোধের সুযোগ রাখছি। আশা করি এই ব্যবসায়ের মাধ্যমে মানুষের কেনাকাটা সহজ হবে। এবং সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে এগিয়ে নিয়ে যাবে আধুনিক প্রযুক্তি হাতের নাগালে নিয়ে আসা এবং স্মার্ট শপিংয়ের সুযোগ প্রদানের মাধ্যমে। হেপিকার্ট- বাই হেপি, স্টে হেপি অর্থাৎ হেপিকার্ট পন্য ক্রয়ে গ্রাহকদের হাসি ফোটানোর জন্য তাদের দোরগোড়ায় দ্রুত পণ্য পৌঁছে যাওয়ার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা অনলাইন শপিংয়ের অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ করতে এবং গ্রাহকের সন্তুষ্টি বাড়ানোর জন্য প্রচলিত ধারণার বাইরে গিয়ে কিছু ভিন্নতর পরিষেবা তৈরি করেছি।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ইন্টারন্যাশনাল ডিজ্যাবিলিটি আর্ট ফেস্টিভ্যাল শুরু

» তীব্র গরমে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করলেন ইউএনও

» লালমনিরহাটে হিট স্ট্রোকে অটোচালকের মৃত্যু

» ইউএনওর ফোন নম্বর ক্লোন করে প্রার্থীদের সাথে প্রতারণার চেষ্টা

» দেশ ও জনগণের জন্য কাজ করুন, আ.লীগ নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী

» প্রতিক্রিয়াশীল চক্র গণতন্ত্রবিরোধী অপপ্রচার চালাচ্ছে : পরশ

» আগামীকাল ১২ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়

» বন্দনা করা ছাড়া জাপার কোনো রাজনীতি নেই: ফিরোজ রশিদ

» বাংলাদেশের উন্নয়নে পাকিস্তান প্রশংসা করে অথচ বিরোধী দল দেখে না: কাদের

» থাই পিএমও-তে প্রধানমন্ত্রীকে উষ্ণ আন্তরিক অভ্যর্থনা

উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষার্থী মিলে চালু করল ই-কমার্স প্লাটফর্ম ‘হেপিকার্ট’

ই-কমার্স বিজনেস প্ল্যান-বর্তমান সময়ে ইন্টারনেট ব্যবহার করার মাধ্যমে বিজনেস তথা ব্যবসার নতুন একটি অধ্যায় শুরু হয়েছে। তার ধারা বজায় রেখে বাংলাদেশেও ই-কমার্স ব্যবসার প্রসার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রযুক্তিগত উন্নতির ফলে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে গিয়েছে ই-কমার্স। সব কিছু একদম সহজলভ্য হওয়ার ফলে মানুষের এর প্রতি চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

 

চাহিদা সাথে তাল মিলিয়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু তরুণ উদ্যোক্তা শিক্ষার্থী মিলিত হয়ে চালু করল নতুন ই-কমার্স প্লাটফর্ম হেপিকার্ট (happycart.store)। বৃহস্পতিবার(১০ মার্চ) এক আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে ব্যবসাটির উদ্বোধন করা হয়।

বর্তমানে দেশের ক্রমবর্ধমান ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রিতে ক্রেতাদের সহজ এবং ঝামেলাবিহীন অনলাইন কেনাকাটা এবং দ্রুততম সময়ে পণ্য ক্রেতাদের দোরগোড়ায় পৌঁছানো নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বই, ড্রেস এবং ইলেকট্রনিক্স সামগ্রীর মানসম্মত পণ্যসম্ভার নিয়ে হেপিকার্ট এখন থেকে সেবা দিয়ে যাবে। এবং ধীরে ধীরে প্রায় সকল ধরনের পন্য সামগ্রী হেপিকার্টে পাওয়া যাবে।

 

হেপিকার্টের উদ্বোধনের আগে প্রি-অর্ডার নেওয়া হয় এবং বৃহস্পতিবার(১০মার্চ) পন্যগুলোর ডেলিভারির মাধ্যমে ব্যবসাটির যাত্রা শুরু হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ মিলন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রিমন সরকার,প্রভাষক সাজন সাহা এবং প্রভাষক মোঃ আতিকুর রহমান খান ।

 

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোহাম্মদ মিলন বলেন ”
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দ্বারা বাংলাদেশের ই-কমার্স খাতে হেপিকার্টের যাত্রা শুরু করায় আমি অত্যান্ত আনন্দিত। বাংলাদেশের ই-কমার্সের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছি। এই শিল্প চর্চায় বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠানের আহবান যেন সার্বোজনীন মতামত। হেপিকার্ট ক্রেতাদের বিশ্বাস অর্জনের পাশাপাশি অনলাইন ক্রেতাদের পছন্দসই চাহিদা মেটাবে বলে আমি আশাবাদী। হেপিকার্টের এর ভবিষ্যত সাফল্য কামনা করি।

 

হেপিকার্টের প্রতিষ্ঠাতা এবং সি. ই. ও. মো: সিয়াম হোসেন বলেন ” বিশ্বাসের জায়গায় থেকে আমরা পন্য হাতে পাওয়ার পর মূল্য পরিশোধের সুযোগ রাখছি। আশা করি এই ব্যবসায়ের মাধ্যমে মানুষের কেনাকাটা সহজ হবে। এবং সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে এগিয়ে নিয়ে যাবে আধুনিক প্রযুক্তি হাতের নাগালে নিয়ে আসা এবং স্মার্ট শপিংয়ের সুযোগ প্রদানের মাধ্যমে। হেপিকার্ট- বাই হেপি, স্টে হেপি অর্থাৎ হেপিকার্ট পন্য ক্রয়ে গ্রাহকদের হাসি ফোটানোর জন্য তাদের দোরগোড়ায় দ্রুত পণ্য পৌঁছে যাওয়ার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা অনলাইন শপিংয়ের অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ করতে এবং গ্রাহকের সন্তুষ্টি বাড়ানোর জন্য প্রচলিত ধারণার বাইরে গিয়ে কিছু ভিন্নতর পরিষেবা তৈরি করেছি।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com