ধর্ষণের ঘটনা গোপন রাখতে রাজি না হওয়ায় গার্মেন্টস কর্মী শারমিন বেগমকে হত্যা করে মাটিচাপা দেয়া হয়। হত্যাকাণ্ডের অন্যতম আসামি সুমন কুমারকে গ্রেপ্তারের পর এমন তথ্য পেয়েছে র্যাব।
গত ১৬ এপ্রিল রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকা থেকে মাটিচাপা দেয়া একটি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
গতকাল রবিবার বিকালে রাজধানীর খিলক্ষেতের কুড়াতলী কাজী বাড়ী মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে সুমন কুমারকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১। এসময় খুন হওয়া নারীর মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
সোমবার র্যাব-১ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) নোমান আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
র্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, গ্রেপ্তার সুমন পেশায় একজন রিকশাচালক। ভিকটিম শারমিন খিলক্ষেতে একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে চাকরি করতেন। সুমন বেশ কিছুদিন ধরে শারমিনের গার্মেন্টস ও বাসায় আসা যাওয়ার পথে তাকে অনুসরণ করতেন। ১০-১২ দিন আগে শারমিনের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। চার-পাঁচ দিন ধরে মোবাইলে কথা হয়। গত ১৩ এপ্রিল ভিকটিমকে তার রিকশায় নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করেন। ১৫ এপ্রিল ঘুরাঘুরির কথা বলে ভিকটিমকে তার বাসা থেকে খিলক্ষেতের ৩০০ ফিট এলাকায় ডেকে নিয়ে কৌশলে তাকে ধর্ষণ করেন।’
পরে সুমন শারমিনকে ধর্ষণের কথা গোপন করতে বললে তিনি অস্বীকৃতি জানান। এ ঘটনায় শারমিন নালিশ করবেন বলে সুমনকে জানান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গলার ওড়না পেঁচিয়ে শারমিনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন সুমন। পরে রাস্তার পাশে মাটিচাপা দিয়ে পালিয়ে যান।
গত ১৬ এপ্রিল সকালে রাজধানীর ৩০০ ফিট রাস্তার পাশ থেকে গলায় ওড়না পেঁচানো এবং মাটিচাপা দেয়া অবস্থায় এক অজ্ঞাতনামা তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করে খিলক্ষেত থানা পুলিশ। ওই হত্যাকাণ্ডে খিলক্ষেত থানায় একটি হত্যা মামলাও হয়।
গ্রেপ্তারের পর সুমন কুমারকে খিলক্ষেত থানায় স্থানান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন র্যাব কর্মকর্তা নোমান।